বাজে অভ্যাসগুলো কীভাবে ছাড়বেন?

আমাদের অনেক অভ্যাসই আছে যেগুলো আমাদের জন্য ক্ষতিকর কিন্তু তারপরও আমরা সেটা জেনেও অভ্যাসগুলো ছাড়তে পারি না। তবে, নিয়ম মেনে চেষ্টা করলে যে-কোনো খারাপ অভ্যাসই ছাড়া সম্ভব। আপনি যদি আপনার কোনো খারাপ অভ্যাস পরিবর্তন করতে চান তবে আপনার জন্যই নিচে কিছু পরামর্শ দেওয়া হলো:

আপনার বাজে অভ্যাসগুলো কীভাবে ছাড়বেন? how-to-quit-bad-habits

বাজে অভ্যাসগুলো কীভাবে ছাড়বেন?

অভ্যাসটির কারণ চিহ্নিত করুন

খুঁজে বের করুন কোথায়, কখন, কাদের উপস্থিতিতে বা কী করলে কাজটি করতে আপনি উদ্বুদ্ধ হন। যেমন, দেরিতে ঘুমানোর অভ্যাসের কারণ হতে পারে বিছানায় শুয়ে ফোন চালানো। রাতে ফোন নাগালের বাইরে রাখা এর সমাধান হতে পারে।

কেন বদলাতে চান তা মনে রাখুন

খারাপ অভ্যাসটি বদলানো কেন আপনার জন্য লাভজনক বা আপনি কী সুফল পাবেন তা গভীরভাবে চিন্তা করুন। প্রয়োজনে বদলাতে চাওয়ার কারণগুলো লিখে রাখতে পারেন, এতে মনোবল দৃঢ় হবে।

প্রিয়জনের সাহায্য নিন

সম্ভব হলে কোনো আপনজনের সাথে বদলানোর সংকল্প করুন। যেমন ধূমপান বর্জনের অভ্যাস একা না করে কারো সাথে করার চেষ্টা করা যেতে পারে। এতে একে অপরকে উৎসাহ দেওয়া ও কঠিন সময়ে সহায়তা করা সহজ হয়। একলা কোনো অভ্যাস ছাড়তে চাইলেও কাউকে কথা দেওয়া বা কারো সাহায্য নেওয়া উপকারী হতে পারে।

মননশীলতা

নিজের চিন্তা, অনুভূতি, অভিজ্ঞতা ও পরিবেশের প্রতি মনোযোগী হওয়ার চেষ্টা করুন। এতে কোন অভ্যাসগুলো আপনার জীবনে ইতিবাচক বা নেতিবাচক ভূমিকা রাখছে তা সহজে বুঝতে পারবেন এবং কোন কাজটি কখন করছেন বা করতে চাচ্ছেন তার প্রতি সতর্ক থাকতে মননশীলতা সাহায্য করবে।

স্মারক ব্যবহার করুন

কাগজ বা ফোন ব্যবহার করে বিভিন্ন কাজ মনে রাখার চেষ্টা করতে পারেন। যেমন নির্দিষ্ট সময় সোশ্যাল মিডিয়া দেখা বন্ধ করতে ফোনে অ্যালার্ম বা রিমাইন্ডার দিয়ে রাখা, ফ্যানের সুইচ অফ করতে দরজায় কাগজ আটকে রাখা ইত্যাদি।

অল্প করে শুরু করুন

হঠাৎ করে বড়ো কোনো পরিবর্তন সম্ভব না। একই সাথে দুটি বা তিনটি অভ্যাস ছাড়ার চেষ্টা না করে একটি অভ্যাস ত্যাগ করার প্রতি মনোযোগ দিন। একটি উদ্দেশ্য জয় করতে পারলে নিজের ওপর বিশ্বাস বাড়বে এবং পরেরটি আরো সহজ হবে।

পরিবেশ বদলান

চারপাশের পরিবেশ, এমনকি মানুষের সঙ্গ আমাদের অভ্যাসে প্রভাব ফেলে। উদাহরণস্বরূপ আপনার যদি বই পড়ুয়া কোনো বন্ধুর সাথে বেশি সময় কাটানো হয় তবে আপনারও বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করা সহজ হয়।

নিজের যত্ন নিন

অসুস্থতা, কর্মক্ষেত্রের চাপ ইত্যাদির কারণে পুরনো অভ্যাস ভাঙ্গার প্রক্রিয়াটি খারাপ অভ্যাসটির চেয়েও অস্বস্তিকর লাগতে পারে। নিজেকে ভালো রাখতে এবং জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পর্যাপ্ত ঘুম, পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ, ব্যায়াম ইত্যাদির চর্চা করুন।

সফলতা উদযাপন করুন

কোন অভ্যাস ত্যাগ করার ছোট পদক্ষেপগুলোতে আপনার অগ্রগতি উদযাপন করুন। উদযাপন আপনাকে আরো সফল হতে অনুপ্রাণিত করে।  

ভুল হলে নিজেকে ক্ষমা করুন

অনেক চেষ্টার পরও পুরনো পরিচিত অভ্যাসে ফিরে যাওয়া একটি স্বাভাবিক ভুল। এতে হতাশ হবেন না। বরং ভুল থেকে শেখার চেষ্টা করুন। কেন কাজটিতে ফিরে গেলেন এবং এর পুনরাবৃত্তি প্রতিরোধ করতে কি করতে পারেন তা চিন্তা করুন, প্রয়োজনে লিখে রাখুন।

পর্যাপ্ত সময় নিন

মনে রাখবেন, কোন অভ্যাস ছাড়তে কমপক্ষে দুই থেকে তিন মাস প্রয়োজন হয়। এই সময়সীমা নির্ভর করে অভ্যাসটি কত পুরনো, কেন করতেন, এর থেকে পাওয়া আনন্দ ইত্যাদির উপর। 


খারাপ অভ্যাস গুরুতর সমস্যা হয়ে দাঁড়ালে কাউন্সেলিং নেওয়া বিবেচনা করতে পারেন। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কাউন্সিলর আপনাকে সর্বোচ্চ সাহায্য দিতে সক্ষম।

Source:
https://www.healthline.com/health/how-to-break-a-habit
https://corona.gov.bd/content/how-to-quit-bad-habits

বাজে অভ্যাস দূর করার উপায়, বাজে অভ্যাস দূর করার উপায় গুলো কি কি, নিজের বদ অভ্যাস দূর করার উপায়, যে কোনও বাজে অভ্যাস দূর করার উপায়, বাজে অভ্যাস দূর করার আশ্চর্য উপায়, অভ্যাস বদলানোর সূত্র, বদ অভ্যাস ত্যাগ করার উপায়, নিজের বদ অভ্যাস দূর করার উপায়, খারাপ অভ্যাস ত্যাগ করার সেরা উপায় কী?, নিজের বদ অভ্যাসগুলি ত্যাগ করার জন্য কী করা উচিত, খারাপ অভ্যাস দূর করার সহজ পদ্ধতি, মাথা থেকে বাজে চিন্তা দূর করার উপায়, যেকোনো বদভ্যাস দূর করার ৯টি উপায়, কীভাবে ত্যাগ করবেন খারাপ অভ্যাস?

Exit mobile version