র্যাপিড পাস কার্ডের নিবন্ধন প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে! দেশের গণপরিবহন ব্যবস্থাকে আধুনিক করার ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা যাত্রীদের জন্য ঝামেলামুক্ত, নগদবিহীন এবং আরও কার্যকর যাতায়াত সুবিধা দিবে।
র্যাপিড পাস কার্ড একটি যুগান্তকারী স্মার্ট কার্ড সমাধান, যা মেট্রো রেল, বাস এবং ভবিষ্যতে অন্যান্য পরিষেবা সহ বিভিন্ন গণপরিবহন ব্যবস্থায় আপনার দৈনন্দিন যাতায়াতকে সহজ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
Rapid Pass ব্যবহারকারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নোটিশ আপনার Rapid Pass কার্ডের নিবন্ধন এখন অত্যন্ত জরুরি।
কেন রেপিড পাস নিবন্ধন করবেন?
- নিবন্ধন ছাড়া রি-ইস্যু সেবা পাওয়া সম্ভব নয়।
- হারিয়ে যাওয়া কার্ড পুনরুদ্ধার বা ফেরত দেওয়া সম্ভব নয়।
তাই যারা ইতিমধ্যে Rapid Pass কার্ড সংগ্রহ করেছেন, তারা অবশ্যই এখনই অনলাইনে নিবন্ধন সম্পন্ন করুন।পূর্বের ওয়েবসাইটে যারা কার্ড নিবন্ধন করেছিলেন, তারা আগের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার দিয়ে পুনরায় নিবন্ধন করে নিন।
রেপিড পাস নিবন্ধনের লিংক: https://rapidpass.com.bd/register
রেপিড পাস নিবন্ধন করার নিয়ম
নিচে Rapid Pass এর রেজিস্ট্রেশন পেইজে নিবন্ধন করার নিয়মগুলো সুন্দর ও সহজভাবে বাংলায় দেওয়া হলো:
Rapid Pass Card নিবন্ধন করার নিয়ম
র্যাপিড পাস রেজিস্ট্রেশন করতে আপনাকে rapidpass.com.bd ওয়েবসাইটে যেতে হবে, যেখানে আপনি ‘সাইন আপ’ (Sign Up) বা ‘নিবন্ধন করুন’ (Register) অপশনটিতে ক্লিক করে নতুন অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন।
রেপিড পাস অ্যাকাউন্ট তৈরি করার সময় একটি মোবাইল নম্বর এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে ফর্মটি পূরণ করতে হবে, এবং যদি আপনার একটি কার্ড থাকে, তবে আগের মোবাইল নম্বরটি ব্যবহার করতে হবে।
- প্রথম নাম লিখুন: আপনার আসল প্রথম নামটি প্রবেশ করান।
- শেষ নাম লিখুন: আপনার আসল শেষ নামটি প্রবেশ করান।
- মোবাইল নম্বর লিখুন: আপনার সক্রিয় মোবাইল নম্বর দিন।
- ইমেইল ঠিকানা লিখুন: একটি বৈধ ইমেইল ঠিকানা প্রবেশ করান।
- পাসওয়ার্ড তৈরি করুন: একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড সেট করুন।
- পাসওয়ার্ড নিশ্চিত করুন: একই পাসওয়ার্ড আবার লিখুন।
- “নিবন্ধন করুন” বাটনে ক্লিক করুন।
- যদি আপনার Rapid Pass কার্ড ইতোমধ্যে রেজিস্ট্রেশন করা থাকে, তাহলে নতুন অ্যাকাউন্ট খুলতে অবশ্যই পূর্বে ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর ব্যবহার করুন।
- নতুন কার্ডের ক্ষেত্রে যেকোনো মোবাইল নম্বর ব্যবহার করা যাবে।

ধাপে ধাপে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া
১। ওয়েবসাইটে যান: প্রথমে র্যাপিড পাসের ওয়েবসাইটে যান।
২। নিবন্ধন অপশন খুঁজুন: ‘সাইন আপ’ (Sign Up) বা ‘নিবন্ধন করুন’ (Register) বাটনটিতে ক্লিক করুন।
৩। অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন:
নতুন কার্ডের জন্য যেকোনো মোবাইল নম্বর ব্যবহার করা যাবে।
যদি আপনার কার্ড আগে থেকেই রেজিস্ট্রেশন করা থাকে, তাহলে নতুন অ্যাকাউন্ট খোলার সময় অবশ্যই পূর্বে ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি ব্যবহার করুন।
৪। ফর্ম পূরণ করুন: প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে নিবন্ধন ফর্মটি পূরণ করুন।
এই নিয়মগুলো অনুসরণ করে আপনি সহজেই Rapid Pass-এ নিবন্ধন করতে পারবেন। আর আপনার যদি আগে থেকেই অ্যাকাউন্ট থাকে তাহলে সাইন ইন করুন।
রেপিড পাস মূল্য
র্যাপিড পাস কার্ডের প্রাথমিক মূল্য ৪০০/- টাকা। এর মধ্যে ২০০/- টাকা প্রাথমিক রিচার্জ এবং ২০০/- টাকা কার্ডের জমা মূল্য হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে।
Rapid Pass Card Registration Form
পিডিএফ লিংকঃ https://rapidpass.com.bd/storage/download/1748072717-registration-form.pdf

র্যাপিড পাস কার্ডের সুবিধা
র্যাপিড পাস হলো গণপরিবহনের জন্য একটি সমন্বিত ই-টিকেটিং ব্যবস্থা, যা একই কার্ডে সকল পরিবহন (যেমন বাস, মেট্রো) ব্যবহারের সুযোগ দেয়।
- নগদবিহীন যাতায়াত: খুচরা টাকার ঝামেলা নেই। দ্রুত এবং সহজে ট্যাপ-অ্যান্ড-গো পেমেন্ট উপভোগ করুন।
- দ্রুত আরোহণ: লাইনে অপেক্ষার সময় কমিয়ে দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছান।
- সহজ রিচার্জ: আপনার র্যাপিড পাসের ব্যালেন্স সহজে রিচার্জ করা যায়।
- সুবিধা: সহজেই আপনার যাতায়াত খরচ পরিচালনা করুন এবং ব্যবহারের তথ্য ট্র্যাক করুন।
- সমন্বিত ব্যবস্থা: একাধিক পরিবহন বিকল্পের জন্য একটি একক কার্ড।

কারা র্যাপিড পাস কার্ডের নিবন্ধন করবেন?
যারা নিয়মিত ঢাকা এবং এর বাইরে গণপরিবহন ব্যবহার করেন বা করার পরিকল্পনা করছেন, তারা র্যাপিড পাস কার্ড থেকে ব্যাপক উপকৃত হবেন। আপনার দৈনন্দিন যাতায়াতকে ঝামেলামুক্ত ও স্মার্ট করে তুলুন। আজই র্যাপিড পাস কার্ডের নিবন্ধন করুন, নিশ্চিন্তে যাতায়াত করুন!
সাধারণ জিজ্ঞাসিত প্রশ্নোত্তর
কার্ড বাতিলের সময় অবশিষ্ট ব্যালেন্স ফেরত নেওয়া যাবে। নির্ধারিত ফি এবং প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে।
বর্তমানে মেট্রো রেল এবং নির্দিষ্ট কিছু বাস রুটে Rapid Pass ব্যবহার করা যায়। ভবিষ্যতে আরও পরিবহনে সংযুক্তির পরিকল্পনা রয়েছে।
যে কোনো বাংলাদেশী নাগরিক যার জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে, Rapid Pass এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।