জাতীয়
জাতীয় পতাকা তৈরির মাপ এবং ব্যবহার
জাতীয় পতাকার রঙে নিজেকে রাঙিয়ে যেমন আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে ওঠে মানুষ, তেমনি লাল-সবুজের পতাকাও যেন বিশ্বকে জানান দেয় একাত্তরের মহান বিজয়ের কথা, আমাদের ত্যাগ-তিতিক্ষা আর অসীম সাহসিকতার কথা। জাতীয় পতাকা যেন তখন আর পতাকা থাকে না, পতাকা হয়ে ওঠে বাঙালির বিজয়ের শ্রেষ্ঠ প্রতিনিধি।
বহু ত্যাগ ও ভালোবাসার এই জাতীয় পতাকা তৈরি করে নিতে চাইলে মাপ এবং ব্যবহার সম্পর্কে জেনে নিন:
- বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার দৈর্ঘ্য ১০ ফুট হলে প্রস্থ হবে ৬ ফুট, লাল বৃত্তের ব্যাসার্ধ হবে ২ ফুট, পতাকার দৈর্ঘ্যের সাড়ে ৪ ফুট ওপরে প্রস্থের মাঝে হবে লাল বৃত্তের কেন্দ্রবিন্দু।
- জাতীয় পতাকা সঠিক রং ও মাপে তৈরি করতে হবে।
- গাড়িতে জাতীয় পতাকা লাগাতে চাইলে অব্যশই সামনে রাখতে হবে, পেছনে নয়।
- জাতীয় পতাকা মাটি, পানি বা মেঝেতে ফেলা যাবে না।
- জাতীয় পতাকার ওপর কিছু লেখা বা মুদ্র্রন করা যাবে না।এমন কি কোনো অনুষ্ঠান উপলক্ষে কিছু আঁকা যাবে না।
- নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট স্থানেই কেবল জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা যাবে। সূর্য উদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পতাকা ওড়ানো যা…
- শোক দিবসে পতাকা অর্ধ নিমিত করতে থাকবে। পতাকা অর্ধনিমিত রাখার ক্ষেত্রে প্রথমে পতাকা শীর্ষ স্থান পর্যন্ত ওঠাতে হবে। তারপর অর্ধনিমিত অবস্থানে রাখতে হবে। দিনের শেষে পতাকা নামানোর সময় পুনরায় শীর্ষ স্থান পর্যন্ত ওঠিয়ে তারপর নামাতে হবে।
- যখনই জাতীয় পতাকা প্রদর্শিত হবে, অবশ্যই দাড়িয়ে সম্মান জানাতে হবে।
- পতাকার অবমাননা হলে সর্বোচ্চ ২ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে।
ছোটবেলা থেকেই শিশুদের দেশ, জাতীয় পতাকা ও দেশের মানুষকে ভালোবাসতে শেখাতে হবে।
Source: https://www.banglanews24.com/share/news/bd/758675.details