ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার প্রশ্ন ২০২৪ (PDF)
বাংলাদেশে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য BRTA-তে আবেদন করলে, আপনাকে লিখিত, মৌখিক ও ব্যবহারিক (Driving test) পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় কিছু প্রায় কমন প্রশ্ন করা হয়। এখানে এমনই কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলো দেয়া হলো।
এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়লে বাংলাদেশে ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষায় পাস করা আপনার জন্য অনেক সহজ হবে। আজকের পোস্টে, ড্রাইভিং সংক্রান্ত পরীক্ষার ক্ষেত্রে সম্ভাব্য প্রশ্ন ও ড্রাইভিং সংক্রান্ত বেশ কিছু বইয়ের PDF লিংক দেয়া আছে। যা ভবিষ্যতে আপনার অনেক কাজে লাগবে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার জন্য ১২০টি প্রশ্নোত্তর
দেশে বিদেশে শিক্ষিত ও দক্ষ পেশাদার ড্রাইভারের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন স্কীল ফর এমপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (SEIP) প্রকল্পের অর্থায়নে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে, সম্পূর্ণ বিনা খরচে “মোটর ড্রাইভিং উইথ বেসিক মেইনটেন্যান্স” প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে।
সেইপ প্রকল্পের আওতায় সম্পূর্ণ ফ্রি প্রশিক্ষণ কোর্সে একটি বই সরবরাহ করা হয়ে থাকে। এই বইটিতে, ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার জন্য মোট ১২০টি প্রশ্নোত্তর দেওয়া আছে। যা ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমরা সেই সকল প্রশ্নগুলো নিচে উল্লেখ করলাম। (এছাড়াও, পোস্টের শেষে ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা সংক্রান্ত সকল পিডিএফ লিংক দেয়া থাকবে।)
০১. প্রশ্ন: মোটরযান কাকে বলে ?
উত্তর: মোটরযান আইনে মোটরযান অর্থ কোনো যন্ত্রচালিত যান, যার চালিকাশক্তি বাইরের বা ভিতরের কোনো উৎস হতে সরবরাহ হয়ে থাকে।
০২. প্রশ্ন: গাড়ি চালনার আগে করণীয় কাজ কী কী ?
উত্তর: গাড়ি চালনার আগে কয়েকটি জিনিস পরীক্ষা করে দেখা প্রয়োজন। যেমন,
- ক. গাড়ির হালনাগাদ বৈধ কাগজপত্র (রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, ফিটনেস সার্টিফিকেট, ট্যা·টোকেন, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ইনসিওরেন্স (বিমা) সার্টিফিকেট, রুট পারমিট ইত্যাদি) গাড়ির সঙ্গে রাখা।
- খ. গাড়িতে জ্বালানি আছে কি না পরীক্ষা করা, না থাকলে পরিমাণ মতো নেওয়া।
- গ. রেডিয়েটর ও ব্যাটারিতে পানি আছে কি না পরীক্ষা করা, না থাকলে পরিমাণ মতো নেওয়া।
- ঘ. ব্যাটারি কানেকশন পরীক্ষা করা।
- ঙ. লুব/ইঞ্জিন অয়েলের লেবেল ও ঘনত্ব পরীক্ষা করা, কম থাকলে পরিমাণ মতো নেওয়া।
- চ. মাস্টার সিলিন্ডারের ব্রেকফ্লুইড, ব্রেকঅয়েল পরীক্ষা করা, কম থাকলে নেওয়া।
- ছ. গাড়ির ইঞ্জিন, লাইটিং সিস্টেম, ব্যাটারি, স্টিয়ারিং ইত্যাদি সঠিকভাবে কাজ করছে কি না, নাট-বোল্ট টাইট আছে কি না অর্থাৎ সার্বিকভাবে মোটরযানটি ত্রুটিমুক্ত আছে কি না পরীক্ষা করা।
- জ. ব্রেক ও ক্লাচের কার্যকারিতা পরীক্ষা করা।
- ঝ. অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র এবং ফাস্টএইড বক্স গাড়িতে রাখা।
- ঞ. গাড়ির বাইরের এবং ভিতরের বাতির অবস্থা, চাকা (টায়ার কন্ডিশন/হাওয়া/নাট/এলাইমেন্ট/রোটেশন/স্পেয়ার চাকা) পরীক্ষা করা।
০৩. প্রশ্ন: মোটরযানের মেইনটেনেন্স বা রক্ষণাবেক্ষণ বলতে কী বুঝায় ?
উত্তর: ত্রুটিমুক্ত অবস্থায় একটি গাড়ি হতে দীর্ঘদিন সার্ভিস পাওয়ার জন্য প্রতিদিন গাড়িতে যে সমস্ত মেরামত কাজ করা হয়, তাকে মোটরযানের মেইনটেনেন্স বলে।
০৪. প্রশ্ন : একটি মোটরযানে প্রতিদিন কী কী মেইনটেনেন্স করতে হয় ?
উত্তর: ২ নং প্রশ্নের উত্তরের খ থেকে ঞ পর্যন্ত।
০৫. প্রশ্ন: সার্ভিসিং বলতে কী বুঝায় ?
উত্তর: মোটরযানের ইঞ্জিন ও বিভিন্ন যন্ত্রাংশের কার্যক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য নির্দিষ্ট সময় পরপর যে কাজগুলো করা হয়, তাকে সার্ভিসিং বলে।
০৬. প্রশ্ন: গাড়ি সার্ভিসিংয়ে কী কী কাজ করা হয় ?
উত্তর: ক. ইঞ্জিনের পুরাতন লুবঅয়েল (মবিল) ফেলে দিয়ে নতুন লুবঅয়েল দেওয়া। নতুন লুবঅয়েল দেওয়ার আগে ফ্লাশিং অয়েল দ্বারা ফ্লাশ করা।
খ. ইঞ্জিন ও রেডিয়েটরের পানি ড্রেন আউট করে ডিটারজেন্ট ও ফ্লাশিংগান দিয়ে পরিষ্কার করা, অতঃপর পরিষ্কার পানি দিয়ে পূর্ণ করা।
গ. ভারী মোটরযানের ক্ষেত্রে বিভিন্ন গ্রিজিং পয়েন্টে গ্রিজগান দিয়ে নতুন গ্রিজ দেওয়া।
ঘ. গাড়ির স্পেয়ার হুইলসহ প্রতিটি চাকাতে পরিমাণমতো হাওয়া দেওয়া।
ঙ. লুবঅয়েল (মবিল) ফিল্টার, ফুয়েল ফিল্টার ও এয়ারক্লিনার পরিবর্তন করা।
০৭. প্রশ্ন : গাড়ি চালনাকালে কী কী কাগজপত্র গাড়ির সঙ্গে রাখতে হয় ?
উত্তর : ক. ড্রাইভিং লাইসেন্স, খ. রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট (ব্লু-বুক)/স্মার্ট কার্ট, গ. ট্যাক্স টোকেন, ঘ. ইনসিওরেন্স সার্টিফিকেট, ঙ.ফিটনেস সার্টিফিকেট (মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়) এবং চ. রুট পারমিট (মোটরসাইকেল এবং চালক ব্যতীত সর্বোচ্চ ৭ আসন বিশিষ্ট ব্যক্তিগত যাত্রীবাহী গাড়ির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়)।
০৮. প্রশ্ন : রাস্তায় গাড়ির কাগজপত্র কে কে চেক করতে পারেন/কোন কোন ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণকে গাড়ির কাগজ দেখাতে বাধ্য ?
উত্তর : সার্জেন্ট বা সাব-ইনসপেক্টরের নিচে নয় এমন পুলিশ কর্মকর্তা, মোটরযান পরিদর্শকসহ বিআরটিএর কর্মকর্তা এবং মোবাইলকোর্টের কর্মকর্তা।
০৯. প্রশ্ন : মোটরসাইকেলে হেলমেট পরিধান ও আরোহী বহন সম্পর্কে আইন কী ?
উত্তর: মোটরসাইকেলে চালক ব্যতীত ১ জন আরোহী বহন করা যাবে এবং উভয়কেই হেলমেট পরিধান করতে হবে (মোটরযান অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ এর ধারা-১০০)।
১০. প্রশ্ন : সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ কী কী?
উত্তর: ক. অত্যধিক আত্মবিশ্বাস, খ. মাত্রাতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো, গ. অননুমোদিত ওভারটেকিং এবং ঘ. অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল বহন।
১১. প্রশ্ন : গাড়ি দুর্ঘটনায় পতিত হলে চালকের করণীয় কী ?
উত্তর: আহত ব্যক্তির চিকিৎসা নিশ্চিত করা, প্রয়োজনে নিকটস্থ হাসপাতালে স্থানান্তর করা এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিকটবর্তী থানায় দুর্ঘটনার বিষয়ে রিপোর্ট করা।
১২. প্রশ্ন : আইন অনুযায়ী গাড়ির সর্বোচ্চ গতিসীমা কত ?
উত্তর: হালকা মোটরযান ও মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৭০ মাইল, মাঝারি বা ভারী যাত্রীবাহী মোটরযানের ক্ষেত্রে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩৫ মাইল এবং মাঝারি বা ভারী মালবাহী মোটরযানের ক্ষেত্রে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩০ মাইল।
১৩. প্রশ্ন : মোটর ড্রাইভিং লাইসেন্স কী ?
উত্তর: সর্বসাধারণের ব্যবহার্য স্থানে মোটরযান চালানোর জন্য লাইসেন্স কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইস্যুকৃত বৈধ দলিলই মোটর ড্রাইভিং লাইসেন্স।
১৪. প্রশ্ন: অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স কাকে বলে ?
উত্তর: যে লাইসেন্স দিয়ে একজন চালক কারো বেতনভোগী কর্মচারী না হয়ে মোটর সাইকেল, হালকা মোটরযান এবং অন্যান্য মোটরযান (পরিবহনযান ব্যতীত) চালাতে পারে, তাকে অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স বলে।
১৫. প্রশ্ন : ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন বয়স কত ?
উত্তর: পেশাদার চালকের ক্ষেত্রে ২০ বছর এবং অপেশাদার চালকের ক্ষেত্রে ১৮ বছর।
১৬. প্রশ্ন : কোন কোন ব্যক্তি ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে ?
উত্তর: মৃগীরোগী, উন্মাদ বা পাগল, রাতকানারোগী, কুষ্ঠরোগী, হৃদরোগী, অতিরিক্ত মদ্যপব্যক্তি, বধিরব্যক্তি এবং বাহু বা পা চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে অসুবিধা হয় এমন ব্যক্তি।
১৭. প্রশ্ন : হালকা মোটরযান কাকে বলে ?
উত্তর: যে মোটরযানের রেজিস্ট্রিকৃত বোঝাইওজন ৬,০০০ পাউন্ড বা ২,৭২৭ কেজির অধিক নয়, তাকে হালকা মোটরযান বলে।
১৮. প্রশ্ন : মধ্যম বা মাঝারি মোটরযান কাকে বলে ?
উত্তর: যে মোটরযানের রেজিস্ট্রিকৃত বোঝাইওজন ৬,০০০ পাউন্ড বা ২,৭২৭কেজির অধিক কিন্তু ১৪,৫০০ পাউন্ড বা ৬,৫৯০ কেজির অধিক নয়, তাকে মধ্যম বা মাঝারি মোটরযান বলে।
১৯. প্রশ্ন : ভারী মোটরযান কাকে বলে ?
উত্তর: যে মোটরযানের রেজিস্ট্রিকৃত বোঝাইওজন ১৪,৫০০ পাউন্ড বা ৬,৫৯০ কেজির অধিক, তাকে ভারী মোটরযান বলে।
২০. প্রশ্ন : প্রাইভেট সার্ভিস মোটরযান (Private Service Vehicle) কাকে বলে ?
উত্তর: ড্রাইভার ব্যতীত আটজনের বেশি যাত্রী বহনের উপযোগী যে মোটরযান মালিকের পক্ষে তার ব্যবসা সম্পর্কিত কাজে এবং বিনা ভাড়ায় যাত্রী বহনের জন্য ব্যবহৃত হয়, তাকে প্রাইভেট সার্ভিস মোটরযান বলে।
ট্রাফিক চিহ্ন
২১. প্রশ্ন : ট্রাফিক সাইন বা রোড সাইন (চিহ্ন) প্রধানত কত প্রকার ও কী কী ?
উত্তর: ট্রাফিক সাইন বা চিহ্ন প্রধানত তিন প্রকার। ক. বাধ্যতাম‚লক, যা প্রধানত বৃত্তাকৃতির হয়,
খ. সতর্কতাম‚লক, যা প্রধানত ত্রিভুজাকৃতির হয় এবং গ. তথ্যম‚লক, যা প্রধানত আয়ত¶েত্রাকার হয়।
২২. প্রশ্ন : লাল বৃত্তাকার সাইন কী নির্দেশনা প্রদর্শন করে ?
উত্তর: নিষেধ বা করা যাবে না বা অবশ্যবর্জনীয় নির্দেশনা প্রদর্শন করে।
২৩. প্রশ্ন : নীল বৃত্তাকার সাইন কী নির্দেশনা প্রদর্শন করে ?
উত্তর: করতে হবে বা অবশ্যপালনীয় নির্দেশনা প্রদর্শন করে।
২৪. প্রশ্ন : লাল ত্রিভুজাকৃতির সাইন কী নিদের্শনা প্রদর্শন করে ?
উত্তর: সতর্ক হওয়ার নির্দেশনা প্রদর্শন করে।
২৫. প্রশ্ন : নীল রঙের আয়তক্ষেত্র কোন ধরনের সাইন ?
উত্তর: সাধারণ তথ্যমূলক সাইন।
২৬. প্রশ্ন : সবুজ রঙের আয়তক্ষেত্র কোন ধরনের সাইন?
উত্তর: পথনির্দেশক তথ্যম‚লক সাইন, যা জাতীয় মহাসড়কে ব্যবহৃত হয়।
২৭. প্রশ্ন : কালো বর্ডারের সাদা রঙের আয়তক্ষেত্র কোন ধরনের সাইন?
উত্তর: এটিও পথনির্দেশক তথ্যম‚লক সাইন, যা মহাসড়ক ব্যতীত অন্যান্য সড়কে ব্যবহৃত হয়।
২৮. প্রশ্ন :ট্রাফিক সিগন্যাল বা সংকেত কত প্রকার ও কী কী ?
উত্তর: ৩ (তিন) প্রকার। যেমন- ক. বাহুর সংকেত, খ. আলোর সংকেত ও গ. শব্দ সংকেত।
২৯. প্রশ্ন :ট্রাফিক লাইট সিগন্যালের চক্র বা অনুক্রম (Sequence) গুলি কী কী ?
উত্তর: লাল-সবুজ-হলুদ এবং পুনরায় লাল।
৩০. প্রশ্ন : লাল, সবুজ ও হলুদ বাতি কী নির্দেশনা প্রদশন করে ?
উত্তর ঃ লালবাতি জ্বললে গাড়িকে ‘থামুনলাইন’এর পেছনে থামায়ে অপে¶া করতে হবে, সবুজবাতি জ্বললে গাড়ি নিয়ে অগ্রসর হওয়া যাবে এবং হলুদবাতি জ্বললে গাড়িকে থামানোর জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।
৩১. প্রশ্নঃ নিরাপদ দূরত্ব বলতে কী বুঝায়?
উত্তরঃ সামনের গাড়ির সাথে সংঘর্ষ এড়াতে পেছনের গাড়িকে নিরাপদে থামানোর জন্য যে পরিমাণ দূরত্ব বজায় রেখে গাড়ি চালাতে হয়
সেই পরিমাণ নিরাপদ দূরত্ব বলে।
৩২. প্রশ্ন : পাকা ও ভালো রাস্তায় ৫০ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চললে নিরাপদ দূরত্ব কত হবে?
উত্তর ঃ ২৫ মিটার।
৩৩. প্রশ্ন : পাকা ও ভালো রাস্তায় ৫০ মাইল গতিতে গাড়ি চললে নিরাপদ দূরত্ব কত হবে ?
উত্তর ঃ ৫০ গজ বা ১৫০ ফুট।
৩৪. প্রশ্ন : লাল বৃত্তে ৫০ কি.মি. লেখা থাকলে কী বুঝায় ?
উত্তর ঃ গাড়ির সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৫০ কি.মি. অর্থাৎ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে গাড়ি চালানো যাবে না।
৩৫. প্রশ্ন : নীল বৃত্তে ঘণ্টায় ৫০ কি.মি. লেখা থাকলে কী বুঝায় ?
উত্তর ঃ সর্বনিম্ন গতিসীমা ঘণ্টায় ৫০ কি.মি. অর্থাৎ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটারের কম গতিতে গাড়ি চালানো যাবে না।
৩৬. প্রশ্ন : লাল বৃত্তের মধ্যে হর্ন আঁকা থাকলে কী বুঝায় ?
উত্তর ঃ হর্ন বাজানো নিষেধ।
৩৭. প্রশ্ন : লাল বৃত্তের ভিতরে একটি বড় বাসের ছবি থাকলে কী বুঝায় ?
উত্তর ঃ বড় বাস প্রবেশ নিষেধ।
৩৮. প্রশ্ন : লাল বৃত্তে একজন চলমান মানুষের ছবি আঁকা থাকলে কী বুঝায় ?
উত্তর ঃ পথচারী পারাপার নিষেধ।
৩৯. প্রশ্ন : লাল ত্রিভুজে একজন চলমান মানুষের ছবি আঁকা থাকলে কী বুঝায় ?
উত্তর ঃ সামনে পথচারী পারাপার, তাই সাবধান হতে হবে।
৪০. প্রশ্ন : লাল বৃত্তের ভিতর একটি লাল ও একটি কালো গাড়ি থাকলে কী বুঝায় ?
উত্তর ঃ ওভারটেকিং নিষেধ।
৪১. প্রশ্ন : আয়ত¶েত্র লেখা থাকলে কী বুঝায় ?
উত্তর ঃ পার্কিংয়ের জন্য নির্ধারিত স্থান।
৪২. প্রশ্ন : কোন কোন স্থানে গাড়ির হর্ন বাজানো নিষেধ ?
উত্তর ঃ নীরব এলাকায় গাড়ির হর্ন বাজানো নিষেধ। হাসপাতাল, শি¶াপ্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালত বা অনুরূপ প্রতিষ্ঠানসম‚হের চতুর্দিকে
১০০ মিটার পর্যন্ত এলাকা নীরব এলাকা হিসাবে চিহ্নিত।
৪৩. প্রশ্ন : কোন কোন স্থানে ওভারটেক করা নিষেধ ?
উত্তর ঃ ক. ওয়ারটেকিং নিষেধ সম্বলিত সাইন থাকে এমন স্থানে, খ. জাংশনে, গ. ব্রিজ/কালভার্ট ও তার আগে পরে নির্দিষ্ট দ‚রত্ব, ঘ. সরু
রাস্তায়, ঙ. হাসপাতাল ও শি¶া প্রতিষ্ঠান এলাকায়।
৪৪. প্রশ্ন : কোন কোন স্থানে গাড়ি পার্ক করা নিষেধ ?
উত্তর ঃ ক. যেখানে পার্কিং নিষেধ বোর্ড আছে এমন স্থানে, খ. জাংশনে, গ. ব্রিজ/কালভার্টের ওপর, ঘ. সরু রাস্তায়,
ঙ. হাসপাতাল ও শি¶া প্রতিষ্ঠান এলাকায়, চ. পাহাড়ের ঢালে ও ঢালু রাস্তায়, ফুটপাত, পথচারী পারাপার এবং তার আশেপাশে, ছ. বাস
স্টপেজ ও তার আশেপাশে এবং জ. রেলক্রসিং ও তার আশেপাশে।
৪৫. প্রশ্ন : গাড়ি রাস্তার কোনপাশ দিয়ে চলাচল করবে ?
উত্তর ঃ গাড়ি রাস্তার বামপাশ দিয়ে চলাচল করবে। যে রাস্তায় একাধিক লেন থাকবে সেখানে বামপাশের লেনে ধীর গতির গাড়ি, আর
ডানপাশের লেনে দ্রুত গাতির গাড়ি চলাচল করবে।
৪৬. প্রশ্ন : কখন বামদিক দিয়ে ওভারটেক করা যায় ?
উত্তর ঃ যখন সামনের গাড়ি চালক ডানদিকে মোড় নেওয়ার ইচ্ছায় যথাযথ সংকেত দিয়ে রাস্তার মাঝামাঝি স্থানে যেতে থাকবেন তখনই
পেছনের গাড়ির চালক বামদিক দিয়ে ওভারটেক করবেন।
৪৭. প্রশ্ন : চলন্ত অবস্থায় সামনের গাড়িকে অনুসরণ করার সময় কী কী বিষয় ল¶্য রাখা উচিত ?
উত্তরঃ (ক) সামনের গাড়ির গতি (স্পিড) ও গতিবিধি, (খ) সামনের গাড়ি থামার সংকেত দিচ্ছে কি না, (গ) সামনের গাড়ি ডানে/বামে
ঘুরার সংকেত দিচ্ছে কি না, (ঘ) সামনের গাড়ি হতে নিরাপদ দ‚রত্ব বজায় থাকছে কি না।
৪৮. প্রশ্ন : রাস্তারপাশে সতর্কতাম‚লক ‘‘স্কুল/শিশু” সাইন বোর্ড থাকলে চালকের করণীয় কী ?
উত্তরঃ (ক) গাড়ির গতি কমিয়ে রাস্তার দু-পাশে ভালোভাবে দেখে-শুনে সতর্কতার সাথে অগ্রসর হতে হবে।
(খ) রাস্তা পারাপারের অপে¶ায় কোনো শিশু থাকলে তাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
৪৯. প্রশ্ন : গাড়ির গতি কমানোর জন্য চালক হাত দিয়ে কীভাবে সংকেত দিবেন ?
উত্তর ঃ চালক তার ডানহাত গাড়ির জানালা দিয়ে সোজাসুজি বের করে ধীরে ধীরে উপরে-নীচে উঠানামা করাতে থাকবেন।
৫০. প্রশ্ন : লেভেলক্রসিং বা রেলক্রসিং কত প্রকার ও কী কী ?
উত্তর ঃ লেভেলক্রসিং বা রেলক্রসিং ২ প্রকার। ক. র¶িত রেলক্রসিং বা পাহারাদার নিয়ন্ত্রিত রেলক্রসিং, খ. অর¶িত রেলক্রসিং বা
পাহারাদারবিহীন রেলক্রসিং।
৫১. প্রশ্নঃ র¶িত লেভেলক্রসিংয়ে চালকের কর্তব্য কী ?
উত্তর ঃ গাড়ির গতি কমিয়ে সতর্কতার সাথে সামনে আগাতে হবে। যদি রাস্তা বন্ধ থাকে তাহলে গাড়ি থামাতে হবে, আর খোলা থাকলে
ডানেবামে ভালোভাবে দেখে অতিক্রম করতে হবে।
৫২. প্রশ্নঃ অর¶িত লেভেলক্রসিংয়ে চালকের কর্তব্য কী ?
উত্তর ঃ গাড়ির গতি একদম কমিয়ে সতর্কতার সাথে সামনে আগাতে হবে, প্রয়োজনে লেভেলক্রসিংয়ের নিকট থামাতে হবে। এরপর ডানে
বামে দেখে নিরাপদ মনে হলে অতিক্রম করতে হবে।
৫৩. প্রশ্ন : বিমানবন্দরের কাছে চালককে সতর্ক থাকতে হবে কেন ?
উত্তর ঃ (ক) বিমানের প্রচণ্ড শব্দে গাড়ির চালক হঠাৎ বিচলিত হতে পারেন, (খ) সাধারণ শ্রবণ ¶মতার ব্যাঘাত ঘটতে পারে, (গ)
বিমানবন্দরে ভিভিআইপি/ভিআইপি বেশি চলাচল করে বিধায় এই বিষয়ে সতর্ক থাকতে হয়।
৫৪. প্রশ্নঃ মোটরসাইকেল চালক ও আরোহীর হেলমেট ব্যবহার করা উচিত কেন ?
উত্তর ঃ মানুষের মাথা শরীরের অন্যান্য অঙ্গের মধ্যে সবচেয়ে বেশি স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপ‚র্ণ একটি অঙ্গ। এখানে সামান্য আঘাত লাগলেই
মানুষের মৃত্যু ঘটতে পারে। তাই দুর্ঘটনায় মানুষের মাথাকে র¶া করার জন্য হেলমেট ব্যবহার করা উচিত।
৫৫. প্রশ্ন : গাড়ির পেছনের অবস্থা পর্যবে¶ণের জন্য কত¶ণ পর পর লুকিং গ-াস দেখতে হবে ?
উত্তর ঃ প্রতিমিনিটে ৬ থেকে ৮ বার।
৫৬. প্রশ্নঃ পাহাড়ি রাস্তায় কী কী সতর্কতা অবলম্বন করতে হয় ?
উত্তরঃ সামনের গাড়ি থেকে নিরাপদ দ‚রত্ব বজায় রেখে ১ নং গিয়ারে বা ফার্স্ট গিয়ারে সতর্কতার সাথে ধীরে ধীরে ওপরে উঠতে হবে। পাহাড়ের চ‚ড়ার কাছে গিয়ে আরো ধীরে উঠতে হবে, কারণ চ‚ড়ায় দৃষ্টিসীমা অত্যন্ত সীমিত। নিচে নামার সময় গাড়ির গতি ক্রমে বাড়তে থাকে বিধায় সামনের গাড়ি থেকে বাড়তি দ‚রত্ব বজায় রেখে নামতে হবে। ওঠা-নামার সময় কোনোক্রমেই ওভারটেকিং করা যাবে না।
৫৭. প্রশ্নঃ বৃষ্টির মধ্যে গাড়ি চালনার বিষয়ে কী কী সতর্কতা অবলম্বন করতে হয় ?
উত্তরঃ বৃষ্টির সময় রাস্তা পিচ্ছিল থাকায় ব্রেক কম কাজ করে। এই কারণে বাড়তি সতর্কতা হিসাবে ধীর গতিতে (সাধারণ গতির চেয়ে
অর্ধেক গতিতে) গাড়ি চালাতে হবে, যাতে ব্রেক প্রয়োগ করে অতি সহজেই গাড়ি থামানো যায়। অর্থাৎ ব্রেক প্রয়োগ করে গাড়ি যাতে অতি
সহজেই থামানো বা নিয়ন্ত্রণ করা যায়, সেইরূপ ধীর গতিতে বৃষ্টির মধ্যে গাড়ি চালাতে হবে।
৫৮. প্রশ্ন : ব্রিজে ওঠার প‚র্বে একজন চালকের করণীয় কী ?
উত্তর ঃ ব্রিজ বিশেষকরে উঁচু ব্রিজের অপরপ্রান্ত থেকে আগত গাড়ি সহজে দৃষ্টিগোচর হয় না বিধায় ব্রিজে ওঠার প‚র্বে সতর্কতার সাথে গাড়ির গতি কমিয়ে উঠতে হবে। তাছাড়া, রাস্তার তুলনায় ব্রিজের প্রস্থ অনেক কম হয় বিধায় ব্রিজে কখনো ওভারটেকিং করা যাবে না।
৫৯. প্রশ্ন : পার্শ্বরাস্তা থেকে প্রধান রাস্তায় প্রবেশ করার সময় কী কী সতর্কতা অবলম্বন করতে হয় ?
উত্তর ঃ পার্শ্বরাস্তা বা ছোট রাস্তা থেকে প্রধান রাস্তায় প্রবেশ করার আগে গাড়ির গতি কমায়ে, প্রয়োজনে থামায়ে, প্রধান রাস্তার গাড়িকে
নির্বিঘেœ আগে যেতে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রধান সড়কে গাড়ির গতিবিধি পর্যবে¶ণ করে সুযোগমত সতর্কতার সাথে প্রধান রাস্তায়
প্রবেশ করতে হবে।
৬০. প্রশ্ন : রাস্তার ওপর প্রধানত কী কী ধরনের রোডমার্কিং অঙ্কিত থাকে ?
উত্তর ঃ রাস্তার ওপর প্রধানত ০৩ ধরনের রোডমাকিং অঙ্কিত থাকে।
ক. ভাঙালাইন, যা অতিক্রম করা যায়।
খ. একক অখন্ডলাইন, যা অতিক্রম করা নিষেধ, তবে প্রয়োজনবিশেষ অতিক্রম করা যায়।
গ. দ্বৈত অখন্ডলাইন, যা অতিক্রম করা নিষেধ এবং আইনত দণ্ডনীয়। এই ধরনের লাইন দিয়ে ট্রাফিকআইল্যান্ড বা রাস্তার বিভক্তি বুঝায়।
৬১. প্রশ্ন : জেব্রাক্রসিংয়ে চালকের কর্তব্য কী ?
উত্তর ঃ জেব্রাক্রসিংয়ে পথচারীদের অবশ্যই আগে যেতে দিতে হবে এবং পথচারী যখন জেব্রাক্রসিং দিয়ে পারাপার হবে তখন গাড়িকে
অবশ্যই তার আগে থামাতে হবে। জেব্রাক্রসিংয়ের ওপর গাড়িকে থামানো যাবে না বা রাখা যাবে না।
৬২. প্রশ্ন : কোন কোন গাড়িকে ওভারটেক করার সুযোগ দিতে হবে ?
উত্তর ঃ যে গাড়ির গতি বেশি, এ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস ইত্যাদি জরুরি সার্ভিস, ভিভিআইপি গাড়ি ইত্যাদিকে।
৬৩. প্রশ্ন : হেড লাইট ফ্ল্যাশিং বা আপার ডিপার ব্যবহারের নিয়ম কী ?
উত্তর ঃ শহরের মধ্যে সাধারণত ‘লো-বিম বা ডিপার বা মৃদুবিম’ ব্যবহার করা হয়। রাতে কাছাকাছি গাড়ি না থাকলে অর্থাৎ বেশিদ‚র পর্যন্ত
দেখার জন্য হাইওয়ে ও শহরের বাইরের রাস্তায় ‘হাই বা আপার বা তী² বিম’ ব্যবহার করা হয়। তবে, বিপরীতদিক থেকে আগত গাড়ি
১৫০ মিটারের মধ্যে চলে আসলে হাইবিম নিভিয়ে লো-বিম জ্বালাতে হবে। অর্থাৎ বিপরীতদিক হতে আগত কোনো গাড়িকে পাস/পার
হওয়ার সময় লো-বিম জ্বালাতে হবে।
৬৪. প্রশ্ন : গাড়ির ব্রেক ফেল করলে করণীয় কী ?
উত্তর ঃ গাড়ির ব্রেক ফেল করলে প্রথমে অ্যা·িলারেটর থেকে পা সরিয়ে নিতে হবে। ম্যানুয়াল গিয়ার গাড়ির ¶েত্রে গিয়ার পরিবর্তন করে
প্রথমে দ্বিতীয় গিয়ার ও পরে প্রথম গিয়ার ব্যবহার করতে হবে। এর ফলে গাড়ির গতি অনেক কমে যাবে। এই পদ্ধতিতে গাড়ি থামানো
সম্ভব না হলে রাস্তার আইল্যান্ড, ডিভাইডার, ফুটপাত বা সুবিধামত অন্যকিছুর সাথে ঠেকিয়ে গাড়ি থামাতে হবে। ঠেকানোর সময়
যানমালের ¶য়¶তি যেনো না হয় বা কম হয় সেইদিকে সজাগ থাকতে হবে।
৬৫. প্রশ্ন : গাড়ির চাকা ফেটে গেলে করণীয় কী ?
উত্তর ঃ গাড়ির চাকা ফেটে গেলে গাড়ি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে। এই সময় গাড়ির চালককে স্টিয়ারিং দৃঢ়ভাবে ধরে রাখতে হবে এবং অ্যা·িলারেটর থেকে পা সরিয়ে ক্রমাš^য়ে গতি কমিয়ে আস্তে আস্তে ব্রেক করে গাড়ি থামাতে হবে। চলন্ত অবস্থায় গাড়ির চাকা ফেটে গেলে সাথে সাথে ব্রেক করবেন না। এতে গাড়ি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে।
৬৬. প্রশ্ন : হ্যাজার্ড বা বিপদ সংকেত বাতি কী ?
উত্তর ঃ প্রতিটি গাড়ির সামনে ও পিছনে উভয়পাশের কর্ণারে একজোড়া করে মোট দু-জোড়া ইন্ডিকেটর বাতি থাকে। এই চারটি ইন্ডিকেটর বাতি সবগুলো একসাথে জ্বললে এবং নিভলে তাকে হ্যাজার্ড বা বিপদ সংকেত বাতি বলে। বিপজ্জনক মুহূর্তে, গাড়ি বিকল হলে এবং দূর্যোগপ‚র্ণ আবহাওয়ায় এই বাতিগুলো ব্যবহার করা হয়।
৬৭. প্রশ্ন : গাড়ির ড্যাশবোর্ডে কী কী ইন্সট্রুমেন্ট থাকে ?
উত্তর ঃ ক. স্পিডোমিটার- গাড়ি কত বেগে চলছে তা দেখায়।
খ. ওডোমিটার – তৈরির প্রথম থেকে গাড়ি কত কিলোমিটার বা মাইল চলছে তা দেখায়।
গ. ট্রিপমিটার- এক ট্রিপে গাড়ি কত কিলোমিটার/মাইল চলে তা দেখায়।
ঘ. টেম্পারেচার গেজ- ইঞ্জিনের তাপমাত্রা দেখায়।
ঙ. ফুয়েল গেজ- গাড়ির তেলের পরিমাণ দেখায়।
৬৮. প্রশ্ন : গাড়িতে কী কী লাইট থাকে ?
উত্তর ঃ ক. হেডলাইট, খ. পার্কলাইট, গ. ব্রেকলাইট, ঘ. রিভার্সলাইট ঙ. ইন্ডিকেটরলাইট, চ. ফগলাইট এবং ছ. নাম্বারপে-ট লাইট।
৬৯. প্রশ্ন : পাহাড়ি ও ঢাল/চ‚ড়ায় রাস্তায় গাড়ি কোন গিয়ারে চালাতে হয় ?
উত্তর ঃ ফার্স্ট গিয়ারে। কারণ ফার্স্ট গিয়ারে গাড়ি চালানোর জন্য ইঞ্জিনের শক্তি বেশি প্রয়োজন হয়।
৭০. প্রশ্ন : গাড়ির সামনে ও পিছনে লাল রঙের ইংরেজি “খ” অক্ষরটি বড় আকারে লেখা থাকলে এরদ্বারা কী বুঝায় ?
উত্তর ঃ এটি একটি শিক্ষানবিশ ড্রাইভারচালিত গাড়ি। এই গাড়ি হতে সাবধান থাকতে হবে।
৭১. প্রশ্ন : শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে গাড়ি চালানো বৈধ কী ?
উত্তর ঃ ইনসট্রাক্টরের উপস্থিতিতে ডুয়েল সিস্টেম (ডাবল স্টিয়ারিং ও ব্রেক) সম্বলিত গাড়ি নিয়ে সামনে ও পিছনে “খ” লেখা প্রদর্শন করে নির্ধারিত এলাকায় চালানো বৈধ।
৭২. প্রশ্ন : ফোরহুইলড্রাইভ গাড়ি বলতে কী বুঝায় ?
উত্তর ঃ সাধারণত ইঞ্জিন হতে গাড়ির পেছনের দু-চাকায় পাওয়ার (¶মতা) সরবরাহ হয়ে থাকে। বিশেষ প্রয়োজনে যে গাড়ির চারটি চাকায় (সামনের ও পিছনের) পাওয়ার সরবরাহ করা হয়, তাকে ফোরহুইলড্রাইভ গাড়ি বলে।
৭৩. প্রশ্ন : ফোরহুইলড্রাইভ কখন প্রয়োগ করতে হয় ?
উত্তর ঃ ভালো রাস্তাতে চলার সময় শুধুমাত্র পেছনের দু-চাকাতে ড্রাইভ দেওয়া হয়। কিন্তু পিচ্ছিল, কর্দমাক্ত রাস্তায় চলার সময় চার চাকাতে ড্রাইভ দিতে হয়।
৭৪. প্রশ্ন : টুলবক্স কী ?
উত্তর ঃ টুলবক্স হচ্ছে যন্ত্রপাতির বাক্স, যা গাড়ির সঙ্গে রাখা হয়। মোটরযান জরুরি মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও মালামাল টুলবক্সে রাখা হয়।
আইন ও শাস্তির বিধান
৭৫. প্রশ্ন : ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যতীত গাড়ি চালালে বা চালানোর অনুমতি দিলে শাস্তি কী ?
উত্তর ঃ সর্বোচ্চ ৪ মাস কারাদণ্ড অথবা ৫০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয়দণ্ড (মোটরযান অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ এর ১৩৮ ধারা)। এই ক্ষেত্রে মালিক ও চালক উভয়েই দণ্ডিত হতে পারেন।
৭৬. প্রশ্ন : গাড়িতে গাড়িতে নিষিদ্ধ হর্ন কিংবা উচ্চশব্দ উৎপাদনকারী যন্ত্র সংযোজন ও তা ব্যবহার করলে শাস্তি কী ?
উত্তর ঃ ১০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা (মোটরযান অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ এর ১৩৯ ধারা)।
৭৭. প্রশ্ন : রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, ফিটনেস সার্টিফিকেট ও রুটপারমিট ব্যতীত গাড়ি চালালে বা চালানোর অনুমতি দিলে শাস্তি কী?
উত্তর ঃ প্রথমবার অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ৩ মাস কারাদণ্ড অথবা ২০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয়দণ্ড। দ্বিতীয়বার বা পরবর্তী সময়ের জন্য সর্বোচ্চ ৬ মাস কারাদণ্ড অথবা ৫০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয়দণ্ড (মোটরযান অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ এর ১৫২ ধারা)। এই ক্ষেত্রে মালিক ও চালক উভয়েই দণ্ডিত হতে পারেন ।
৭৮. প্রশ্ন : মদ্যপ বা মাতাল অবস্থায় গাড়ি চালনার শাস্তি কী ?
উত্তর ঃ সর্বোচ্চ ৩ মাস কারাদণ্ড বা ১০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয়দণ্ড। পরবর্তী সময়ে প্রতিবারের জন্য সর্বোচ্চ ২ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা ১০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয়দণ্ড এবং নির্দিষ্ট মেয়াদে ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল (মোটরযান অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ এর ১৪৪ ধারা)।
৭৯. প্রশ্ন : নির্ধারিত গতির চেয়ে অধিক বা দ্রুত গতিতে গাড়ি চালনার শাস্তি কী ?
উত্তর ঃ প্রথমবার অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ৩০ দিন কারাদণ্ড বা ৩০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয়দণ্ড। পরবর্তীতে একই অপরাধ করলে সর্বোচ্চ ৩ মাস কারাদণ্ড বা ৫০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয়দণ্ড এবং ড্রাইভিং লাইসেন্সের কার্যকারিতা ১ মাসের জন্য স্থগিত (মোটরযান অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ এর ১৪২ ধারা)।
৮০. প্রশ্ন : বেপরোয়া ও বিপজ্জনকভাবে গাড়ি চালনার শাস্তি কী ?
উত্তর ঃ সর্বোচ্চ ৬ মাস কারাদণ্ড বা ৫০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা এবং যে কোনো মেয়াদের জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্সের কার্যকারিতা স্থগিত (মোটরযান অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ এর ১৪৩ ধারা)।
৮১. প্রশ্ন : ক্ষতিকর ধোঁয়া নির্গত গাড়ি চালনার শাস্তি কী ?
উত্তর ঃ ২০০ টাকা জরিমানা (মোটরযান অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ এর ধারা-১৫০)।
৮২. প্রশ্ন : নির্ধারিত ওজন সীমার অধিক ওজন বহন করে গাড়ি চালালে বা চালানোর অনুমতি দিলে শাস্তি কী ?
উত্তর ঃ প্রথমবার ১,০০০ পর্যন্ত জরিমানা এবং পরবর্তী সময়ে ৬ মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা ২,০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয়দণ্ড (ধারা-১৫৪)। এই ক্ষেত্রে মালিক ও চালক উভয়েই দণ্ডিত হতে পারেন ।
৮৩. প্রশ্ন : ইনসিওরেন্স বিহীন অবস্থায় গাড়ি চালনার শাস্তি কী ?
উত্তর ঃ ২,০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা (মোটরযান অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ এর ধারা-১৫৫)।
৮৪. প্রশ্ন : প্রকাশ্য সড়কে অথবা প্রকাশ্য স্থানে মোটরযান রেখে মেরামত করলে বা কোনো যন্ত্রাংশ বা দ্রব্য বিক্রয়ের জন্য সড়কে রেখে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে শাস্তি কী ?
উত্তর ঃ সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা জরিমানা। অনুরূপ মোটরযান অথবা খুচরা যন্ত্র বা জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করা যাবে (ধারা-১৫৭)।
টেকনিক্যাল
৮৫. প্রশ্ন : ফুয়েল গেজের কাজ কী ?
উত্তর ঃ ফুয়েল বা জ্বালানি ট্যাংকে কী পরিমাণ জ্বালনি আছে তা ফুয়েল গেজের মাধ্যমে জানা যায়।
৮৬. প্রশ্ন : গাড়ি রাস্তায় চলার সময় হঠাৎ ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে গেলে প্রথমে কী চেক করতে হবে ?
উত্তর ঃ ফুয়েল বা জ্বালানি আছে কি না চেক করতে হবে।
৮৭. প্রশ্ন : পেট্রোল ইঞ্জিন স্টার্ট করতে ব্যর্থ হলে কোন দুটি প্রধান বিষয় চেক করতে হয় ?
উত্তর ঃ (ক) প্লাগ পয়েন্টে ঠিকভাবে স্পার্ক হচ্ছে কি না চেক করতে হয়।
(খ) কার্বুরেটরে পেট্রোল যাচ্ছে কি না চেক করতে হয়।
৮৮. প্রশ্ন : ফুয়েল ও অয়েল বলতে কী বুঝায় ?
উত্তর ঃ ফুয়েল বলতে জ্বালানি অর্থাৎ পেট্রোল, অকটেন, সিএনজি, ডিজেল ইত্যাদি বুঝায় এবং অয়েল বলতে লুব্রিকেটিং অয়েল বা লুব অয়েল বা মবিল বুঝায়।
৮৯. প্রশ্ন : অয়েল (মবিল) এর কাজ কী ?
উত্তর ঃ ইঞ্জিনের বিভিন্ন ওয়ার্কিংপার্টস (যন্ত্রাংশ) সম‚হকে ঘুরতে বা নড়াচড়া করতে সাহায্য করা, ক্ষয়হতে রক্ষা করা এবং ইঞ্জিন পার্টস সমূহকে ঠান্ডা ও পরিষ্কার রাখা মবিলের কাজ।
৯০. প্রশ্ন : কম মবিল বা লুব অয়েলে ইঞ্জিন চালালে কী ক্ষতি হয় ?
উত্তর ঃ বিয়ারিং অত্যধিক গরম হয়ে গলে যেতে পারে এবং পিস্টন সিলিন্ডার জ্যাম বা সিজড্ হতে পারে।
৯১. প্রশ্ন : অয়েল (মবিল) কেন এবং কখন বদলানো উচিত ?
উত্তর ঃ দীর্ঘদিন ব্যবহারে মবিলে ইঞ্জিনের কার্বন, ক্ষয়িত ধাতু, ফুয়েল, পানি ইত্যাদি জমার কারণে এর গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যায় বিধায় মবিল বদলাতে হয়। গাড়ি প্রস্তুতকারক প্রদত্ত ম্যানুয়াল/হ্যান্ডবুকের নির্দেশ মোতাবেক নির্দিষ্ট মাইল/কিলোমিটার চলার পর মবিল বদলাতে হয়।
৯২. প্রশ্ন : লুব অয়েল (মবিল) কোথায় দিতে হয় ?
উত্তর ঃ ইঞ্জিনের ওপরের অংশে হেড কভার বা ট্যাপেট কভারের নির্ধারিত পোর্টে ক্যাপ খুলে মবিল দিতে হয়।
৯৩. প্রশ্ন : ইঞ্জিনে অয়েল (মবিল) এর পরিমাণ কিসের সাহায্যে পরীক্ষা করা হয় ?
উত্তর ঃ ডিপস্টিক এর সাহায্যে।
৯৪. প্রশ্ন : কখন ক্লাচে চাপ দিতে হয় ?
উত্তর ঃ ক. গিয়ার পরিবর্তন করার সময়।
খ. ব্রেক করার সময় যদি গাড়ি থেমে যেতে চায় বা থামাতে হয়।
৯৫. প্রশ্ন : টায়ার প্রেসার বেশি বা কম হলে কী অসুবিধা হয় ?
উত্তর ঃ টায়ার প্রেসার বেশি বা কম হওয়া কোনটিই ভালো নয়। টায়ার প্রেসার বেশি হলে মাঝখানে বেশি ¶য়প্রাপ্ত হয়, আবার টায়ার প্রেসার কম হলে দু-পাশে বেশি ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। ফলে টায়ার তারাতারি নষ্ট হয়ে যায়।
৯৬. প্রশ্ন : কোন নির্দিষ্ট টায়ারের প্রেসার কত হওয়া উচিত তা কীভাবে জানা যায় ?
উত্তর ঃ টায়ারের আকার, ধরন ও লোড (বোঝা) বহন ক্ষমতার ওপর নির্ভর করে প্রস্তুতকারক কর্তৃক সঠিক প্রেসার নির্ধারণ করা হয়, যা প্রস্তুতকারকের হ্যান্ডবুক/ম্যানুয়ালে উল্লেখ থাকে।
৯৭. প্রশ্ন : গাড়ি না চালালে টায়ার কী করা উচিত ?
উত্তর ঃ গাড়ি দীর্ঘ সময়ের জন্য না চালালে টায়ার খুলে ঠান্ডা স্থানে দাঁড় করিয়ে রাখা উচিত। অল্প সময়ের জন্য হলে চাকাগুলি মাটি হতে ওপরে উঠিয়ে রাখা উচিত অথবা মাঝে মাঝে হাওয়া দেওয়া উচিত।
৯৮. প্রশ্ন : টায়ার রোটেশন কী ?
উত্তর ঃ বিভিন্ন কারণে গাড়ির সবগুলো টায়ারের ক্ষয় সমহারে হয় না। গাড়ির চাকাগুলোর ক্ষয়ের সমতা রক্ষার জন্য একদিকের টায়ার খুলে অপরদিকে কিংবা সামনের টায়ার খুলে পেছনে লাগানোকে অর্থাৎ টায়ারের স্থান পরিবর্তন করে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে লাগানোর পদ্ধতিকেই টায়ার রোটেশন বলে। এর ফলে টায়ারের আয়ু বহুলাংশে বেড়ে যায়।
৯৯. প্রশ্ন : ব্যাটারির কাজ কী ?
উত্তর ঃ ক. ইঞ্জিনকে চালু করতে সহায়তা করা।
খ. পেট্রোল ইঞ্জিনের ইগনিশন সিস্টেমে কারেন্ট সরবরাহ করা।
গ. সকল প্রকার লাইট জ্বালাতে এবং মিটারসম‚হ চালাতে সহায়তা করা।
ঘ. হর্ন বাজাতে সাহায্য করা।
১০০. প্রশ্ন : নিয়মিত ব্যাটারির কী পরীক্ষা করা উচিত ?
উত্তর ঃ পানির লেভেল।
১০১. প্রশ্ন : সময় ও প্রয়োজনমতো ব্যাটারিতে ডিস্টিল্ড ওয়াটার না দিলে কী হয় ?
উত্তর ঃ ব্যাটারি ক্যাপাসিটি কমে যায় এবং প্লেট নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
১০২. প্রশ্ন : ব্যাটারির টার্মিনাল হতে মরিচা দূর করা হয় কেন ?
উত্তর ঃ মরিচা সন্তোষজনক বৈদ্যুতিক সংযোগে বাধা দেয় এবং কালক্রমে টার্মিনালের ভিতর দিয়ে মরিচা পড়ে ও সম্পূর্ণ টার্মিনাল নষ্ট হয়ে যায়।
১০৩. প্রশ্ন : মরিচা পরিষ্কার করার পর টার্মিনালে কী করা উচিত ?
উত্তর ঃ গ্রিজ লাগানো উচিত।
১০৪. প্রশ্ন : মোটরগাড়িতে ব্যবহৃত ব্যাটারির ভোল্টেজ কত থাকে ?
উত্তর ঃ ৬ ভোল্ট এবং ১২ ভোল্ট থাকে। (বড় ট্রাকে এবং বাসে ২৪ ভোল্টের ব্যাটারিও ব্যবহৃত হয়ে থাকে)।
পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর
১০৫. প্রশ্ন : পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স কাকে বলে ?
উত্তর ঃ যে লাইসেন্স দিয়ে একজন চালক বেতনভোগী কর্মচারী হিসাবে কোনো মোটরযান চালিয়ে থাকে, তাকে পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স বলে।
১০৬. প্রশ্ন : পিএসভি লাইসেন্স কী ?
উত্তর ঃ পিএসভি অর্থ পাবলিক সার্ভিস ভেহিকেল। ভাড়ায় চালিত যাত্রীবাহী মোটরযান চালানোর জন্য প্রত্যেক চালককে তার লাইসেন্সের অতিরিক্ত হিসাবে পিএসভি লাইসেন্স গ্রহণ করতে হয়।
১০৭. প্রশ্ন : পাবলিক সার্ভিস মোটরযান কাকে বলে ?
উত্তর ঃ যে মোটরযান ভাড়ার বিনিময়ে যাত্রী বহনের জন্য ব্যবহৃত হয়, তাকে পাবলিক সার্ভিস মোটরযান বলে। ভাড়ায় চালিত বাসমিনিবাস, হিউম্যানহলার (লেগুনা), ট্যা·িক্যাব ইত্যাদি পাবলিক সার্ভিস মোটরযানের অন্তর্ভুক্ত।
১০৮. প্রশ্ন : বাসের আসন সংখ্যা কত?
উত্তর ঃ চালকসহ ৩১ জনের বেশি অর্থাৎ চালকসহ সর্বনিম্ন ৩২ জন।
১০৯. প্রশ্ন : মিনিবাসের আসন সংখ্যা কত?
উত্তর ঃ চালকসহ সর্বনিম্ন ১৬ জন এবং সর্বোচ্চ ৩১ জন।
১০০. প্রশ্ন : একজন পেশাদার চালক দৈনিক কত ঘণ্টা গাড়ি চালাবে বা মোটরযানে কর্মঘন্টা কত ?
উত্তর ঃ এক নাগাড়ে ৫ ঘণ্টার বেশি নয়। অতঃপর আধাঘণ্টা বিশ্রাম বা বিরতি নিয়ে আবার ৩ ঘণ্টা অর্থাৎ ১ দিনে ৮ ঘণ্টার বেশি নয়। তবে ১ সপ্তাহে ৪৮ ঘণ্টার বেশি নয়।
১১১. প্রশ্ন : ইঞ্জিন কাকে বলে ?
উত্তর ঃ ইঞ্জিন হচ্ছে এক ধরনের যন্ত্র যেখানে জ্বালানি বা ফুয়েলকে পুড়িয়ে রাসায়নিক শক্তিকে প্রথমে তাপশক্তিতে এবং তাপশক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তর করা।
১১২. প্রম্ন: মোটরযান চালকের সর্বনিম্ন বয়স কত?
উত্তর: ক. অপেশাদার চালকের জন্য সর্বনিম্ন বয়স ১৮ (আঠার) বছর।
খ. পেশাদার চালকের জন্য ২০ (বিশ) বছর।
১১৩. একজন পেশাদার চালক সর্বোচ্চ কত ঘন্টা গাড়ি চালাতে পারেন?
উত্তর: দৈনিক একনাগাড়ে ৫ (পাঁচ) ঘন্টা আর মাঝে ৩০ মিনিট বিশ্রাম নিয়ে দৈনিক ৮ ঘন্টা গাড়ি চালাতে পারে। আর সপ্তাহে মোট ৪৮ ঘন্টার বেশী গাড়ি চালানো উচিত নয়।
১১৪। বাংলাদেশের জাতীয় গতি সীমা কত?
উত্তর: বিভিন্ন ধরনের যানবাহনের জন্য জাতীয় গতি সীমা নিচে দেওয়া হল
যানবাহনের শ্রেনী | শহর ও লোকালয় (কি.মি./ঘন্টা) | মহাসড়ক (কি.মি./ঘন্টা) |
---|---|---|
মোটর সাইকেল/কার/জীপ/স্টেশন ওয়াগন | ৫০ | ১১০ |
বাস/কোচ/পিকআপ | ৪০ | ৫৫ |
ভারী ট্রাক/লরী | ৪০ | ৫০ |
ট্রাকটর ও অন্যান্য ভারী যান | ২০ | ৩০ |
১১৫। প্রশ্ন: গাড়ির আয়নার সাহায্যে পিছনের অবস্থা কতক্ষণ পর পর দেখতে হয়?
উত্তর: প্রতি মিনিটে ৬-৮ বার ।
১১৬। প্রশ্ন: ইঞ্জিন কি?
উত্তর : ইঞ্জিন এক প্রকার যন্ত্র যা জ্বালানী হতে প্রাপ্ত তাপ শক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে রুপান্তর করে অর্থাৎ জ্বালানীকে পুড়িয়ে যে তাপ শক্তি পাওয়া যায় তাকে যান্ত্রিক শক্তিতে পরিণত করে।
১১৭। প্রশ্ন: ইঞ্জিন অতিরিক্ত গরম হয় কেন?
উত্তর: ক. রেডিয়েটরে পানি না থাকলে বা কম থাকলে ।
খ. ইঞ্জিন অয়েল (মবিল) না থাকলে বা কম থাকলে।
গ. ফ্যান বেল্ট ছিঁড়ে গেলে
ঘ. অতিরিক্ত মাল বোঝাই করলে।
ঙ. ইঞ্জিনের পানির পাম্প নষ্ট হলে।
চ. ব্রেক জ্যাম হয়ে থাকলে।
১১৮. প্রশ্ন: কুলিং সিস্টেম বলতে কি বুঝ?
উত্তর : যে পদ্ধতির মাধ্যমে ইঞ্জিনের অতিরিক্ত তাপকে অপসারণ করে ইঞ্জিনকে কার্যকারী তাপমাত্রায় রাখা হয় তাকে কুলিং সিস্টেম বলে।
১১৯. প্রশ্ন: কুলিং সিস্টেম কত প্রকার ও কি কি?
উত্তর : কুলিং সিস্টেম মূলত দুই প্রকার। যথা- ক. ওয়াটার কুলিং সিস্টেম ও খ. এয়ার কুলিং সিস্টেম।
১২০. প্রশ্ন : কোন গাড়ীর সামনে ও পিছনে এল (খ) লেখা থাকলে কি বুঝায়?
উত্তর: ড্রাইভিং শিক্ষানবিশদের গাড়ির সামনে ও পিছনে বড় অক্ষরে ‘এল’ (খ) লেখা থাকে। এই গাড়ি থেকে সাবধান থাকতে হবে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার প্রশ্ন ২০২৩
এখানে বিগত বছরের ড্রাইভিং লাইসেন্স লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন ও উত্তর দেয়া আছে। এই প্রশ্নগুলো আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার সময় কাজে আসতে পারে।
চালকের দায়িত্ব ও কর্তব্য
১। চলন্তরত অবস্থায় ইঞ্জিন ওভারহিট হলে কী করনীয় ?
উত্তরঃ (ক) গাড়ি চালিয়ে যেতে হবে।
✅(খ) গাড়ি পার্ক করে ইঞ্জিন অফ করে ঠান্ডা করতে হবে
(গ) গাড়ি ব্রেক করতে হবে
(ঘ) আস্তে আস্তে এগিয়ে যেতে হবে
২। ইঞ্জিন ওয়েলের মেয়াদ শেষ হলে আর কী কী পরিবর্তন অবশ্যই দরকার?
উত্তরঃ (ক) এয়ার ফিল্টার
✅(খ) ইঞ্জিন ওয়েল ফিল্টার
(গ) গিয়ার ওয়েল ফিল্টার
(ঘ) ফুয়েল ফিল্টার
৩। ইঞ্জিনের মবিল কত কিলোমিটার চালানাের পর বদলানো উচিত ?
উত্তরঃ (ক) ২,৫০০ কিঃ মিঃ
(খ) ৪,০০০ কিঃ মিঃ
(গ) ৮,০০০ কিঃ মিঃ
✅(ঘ) প্রস্তুতকারক প্রদত্ত ম্যানুয়াল/কিলােমিটার চলার পর/হ্যান্ডবুক মােতাবেক নির্দিষ্ট মাইল
৪। গাড়িতে ব্যবহৃত ব্যাটারির ইলেট্রোলাইডের লেভেল কমে গেলে নিচের কোনটা ব্যবহার করতে হবে ?
উত্তরঃ (ক) নদীর পানি
(খ) মিনারেল ওয়াটার
✅(গ) ডিস্টিল্ড ওয়াটার
(ঘ) সাগরের পানি
৫। হেড লাইট না জ্বললে সবার আগে কী চেক করতে হয় ?
উত্তরঃ ✅(ক) নির্ধারিত ফিউজ
(খ) নির্ধারিত লাইন
(গ) ইঞ্জিন ওয়েল
(ঘ) সুইচ
৬। টায়ার বাষ্ট হলে (আল্লাহ না করুক) গাড়ি নিয়ন্ত্রন রাখার জন্য
উত্তরঃ (ক) তাৎক্ষনিকভাবে ব্রেক প্রয়ােগ করুন
(খ) এক্সিলেটর ছেড়ে দিয়ে গাড়ি থামা পর্যন্ত হ্যান্ডেল/ষ্টিয়ারিং ধরে রাখা
✅(গ) গিয়ার নিরপেক্ষ অবস্থানে রাখুন।
(ঘ) গাড়ি রোডের সাইটে নেওয়ার চেষ্টা করুন
৭। লুব ওয়েল কোথায় দিতে হয়?
উত্তরঃ ✅(ক) হেড কভারে
(খ) ব্যাক কভারে।
(গ) জয়েন্ট পাটর্স
(ঘ) ফুয়েল গেজে
৮। ডিসটিল্ড ওয়াটার কোথায় ঢালতে হয়?
উত্তরঃ (ক) কার্বুরেটরে
(খ) রেডিয়েটারে
✅(গ) ব্যাটারিতে
(ঘ) ইয়ার ক্লিনারে
৯। গাড়ির গিয়ার পরিবর্তনের সময় অবশ্যই
উত্তরঃ (ক) ব্রেক পেডেল চাপ দিতে হবে
(গ) এক্সিলেটর পেডেল চাপ দিতে হবে
✅(খ) ক্লাচ পেডেল চাপ দিতে হবে
(ঘ) গাড়ির গতি কমাতে হবে
সহজ শর্তে অটোমোবাইলের প্রক্রিয়া
১। কুলিং ফ্যানের কাজ কী ?
উত্তরঃ ✅(ক) রেডিয়েটরের পানিকে ঠাণ্ডা করা
(খ) ইঞ্জিন অয়েলকে ঠাণ্ডা করা
(গ) ব্রেক অয়েলকে ঠাণ্ডা করা
(ঘ) ব্যাটারীকে ঠাণ্ডা করা
২। টেম্পারেচার মিটারে ইঞ্জিনের কী নির্দেশ করে ?
উত্তরঃ ✅(ক) ইঞ্জিনের কার্যকরী তাপমাত্রা
(খ) গিয়ার বক্সের কার্যকারী তাপমাত্রা
(গ) রেডিয়েটরের কর্যকরী তাপমাত্রা
(ঘ) গাড়ির কার্যকারী তাপমাত্রা
৩। গাড়ি স্টার্ট না হওয়ার কারন কী ?
উত্তরঃ (ক) গাড়িতে ব্রেক ওয়েল না থাকলে
(খ) গিয়ার ওয়েল না থাকলে
✅(গ) প্রয়ােজনীয় জ্বালানী না থাকলে
(ঘ) ক্ল্যাস ওয়েল না থাকলে
৪। ব্রেক মাস্টার সিলিন্ডারের মধ্যে ওয়েল কম থাকলে কী ঘটতে পারে ?
উত্তরঃ ✅(ক) ব্রেক ফেল
(খ) ইঞ্জিন ওভারহিট
(গ) কালাে ধােয়া।
(ঘ) বিকট আওয়াজ
৫। ক্লাচের কাজ কি?
উত্তরঃ (ক) গাড়ির গতি কম ও বেশী করা
(খ) ইঞ্জিন এবং গিয়ার বক্সের কানেক্ট করা ও বিচ্ছিন্ন করা
(গ) গাড়িকে নিউট্রাল করা।
✅(ঘ) উপরের সবগুলি
৬। ইঞ্জিন অতিরিক্ত গরম হওয়ার কারণ
উত্তরঃ (ক) কুলিং ফ্যান কাজ না করলে
(খ) রেডিয়টরে পানি এবং মবিল কম থাকলে বা না থাকলে
✅(গ) উপরের সবগুলি
৭। এয়ার ক্লিনারের কাজ
উত্তরঃ (ক) ইঞ্জিনকে ঠাণ্ডা করা
(খ) বাতাস ও পেট্রোল এর মিশ্রণ তৈরী করা
✅(গ) বাতাস পরিষ্কার করা
(ঘ) ইঞ্জিন চালু করতে সহায়তা করা
৮। টায়ার অতিরিক্ত ক্ষয় হয় কেন ?
উত্তরঃ (ক) চাকার এলাইনমেন্ট সঠিক না থাকিলে
(খ) চাকার হাওয়া পরিমনের থেকে কম বা বেশী থাকিলে
(গ) অতিরিক্ত মালামাল বহন করিলে
✅(ঘ) উপরের সবগুলাে
৯। মবিলের কাজ কি ?
উত্তরঃ (ক) ইঞ্জিনের ঘূর্ণয়ামান যন্ত্রাংশকে পিচ্ছিল করা
(খ) ঘূর্ণমান যন্ত্রাংশের ক্ষয়রােধ করে
(গ) ইঞ্জিন আংশিক ঠাণ্ডা রাখে
✅(ঘ) উপরের সবগুলাে
১০। পেট্রোল ইঞ্জিনের প্রতিটা সিলিন্ডারের জন্য কয়টি স্পার্ক প্লাগ থাকে ?
উত্তরঃ ✅(ক) ১টি
(খ) ২টি
(গ) ৩টি
(ঘ) ৪টি
১১। সাইলেন্সারের কাজ কি?
উত্তরঃ ✅(ক) শব্দকে নিয়ন্ত্রণ করা
(খ) ধোঁয়া নির্গমন করা
(গ) বায়ু দূষণমুক্ত করা
(ঘ) ইঞ্জিনের গরম বাতাস বের করে
১২। ইঞ্জিনে কুলিং সিষ্টেমে নিচের কোনটা ব্যবহৃত হয়?
উত্তরঃ (ক) তৈল
(খ) গ্যাস
✅(গ) পানি
(ঘ) ডিজেল
১৩। গিয়ার স্লিপ করার কারণ কি?
উত্তরঃ (ক) গিয়ারের দাঁত ভাঙ্গা থাকিলে ।
(খ) ক্লাচ প্লেট ঠিক সময় কাজ না করলে
(গ) গিয়ার ভালাে ভাবে সংযােগ না হলে
✅(ঘ) উপরের সবগুলাে
১৪। ফুয়েল সরবরাহ লাইনে বাতাস প্রবেশের ফলে ফুয়েল সরবরাহ বন্ধ হওয়াকে কি বলে?
উত্তরঃ ✅(ক) এয়ার লক।
(খ) ডেপার লক
(গ) অটো লক
(ঘ) এন্টি লক
১৫। স্পার্ক প্লাগ কোথায় থাকে?
উত্তরঃ (ক) ডিজেল ইঞ্জিনের ব্লকে
✅(খ) পেট্রোল ইঞ্জিন সিলিন্ডার হেডে
(গ) কার্বুরেটরের ভেতরে
(ঘ) ডিস্ট্রিবিউটরের মধ্যে
১৬। ফুয়েল ও বাতাসকে নিচের কোনটি মিশ্রিন করে ইঞ্জিনের মধ্যে সরবরাহ করে
উত্তরঃ (ক) এয়ার ক্লিানার
(খ) স্পার্ক প্লাগ
✅(গ) কার্বুরেটর
(ঘ) মিক্সার
১৭। রেডিয়েটরের কাজ কি?
উত্তরঃ ✅(ক) পানি ঠাণ্ডা করা
(খ) রেডিও চালনা
(গ) জয়েন্ট পাটর্স
(ঘ) কোনটি নয়
রােড কোড ও রােড সাইন
১। বাধ্যতামূলক না বােধক চিহ্ন থাকে ?
উত্তরঃ ✅(ক) লাল বৃত্তে।
(গ) চতুর্ভুজের মধ্যে
(খ) নীল ত্রিভূজে
(ঘ) নীল বৃত্তে
২। রাস্তায় আলােক সংকেত যেভাবে আসে তা হলাে?
উত্তরঃ (ক) হলুদ-সবুজ-লাল।
✅(গ) লাল-সবুজ-হলুদ
(খ) লাল-হলুদ-সবুজ
(ঘ) সবুজ-লাল-হলুদ
৩। লাল বৃত্ত বিশিষ্ট সড়ক সংকেতের মধ্যে ৪০ কিলোমিটার লেখা থাকলে কি বুঝায়।?
উত্তরঃ (ক) সর্বনিম্ন গতি সীমা ৪০ কিলোমিটার
✅(খ) সর্বোচ্চ গতি সীমা ৪০ কিলোমিটার
(গ) রাস্তা ৪০ কিলোমিটার লম্বা
(ঘ) রাস্তা ৪০ কিলোমিটার দূরে বাক।
৪। রােড সাইনকে সাধারনত কোন তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়?
উত্তরঃ (ক) লাল, হলুদ, সবুজ
(খ) সিগন্যাল, রােড মার্কিং এবং ট্রাফিক সাইন।
(গ) সতর্কতামূলক, বাধ্যতামূলক, রােড মার্কিং
✅(ঘ) সতর্কতামূলক, বাধ্যতামূলক এবং তথ্যমূলক
৫। অরক্ষিত লেভেল ক্রসিং এ চালকের দ্বায়িত্ব কি?
উত্তরঃ (ক) ধীর গতিতে গাড়ী চালাবে
(গ) প্রতিবন্ধক না থাকলে সামনের দিকে অগ্রসর হবে
(খ) ট্রেন না আসা সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করবে
✅(ঘ) গাড়ি দারকরিয়ে ডানে বা বামে দেখে নিরাপদ মনে হলে লেভেল ক্রসিং অতিবাহিত করবে
৬। রাস্তার মাঝবরাবর অখন্ডিত একটি সাদা দাগ/রেখা থাকিলে কি করণীয়?
উত্তরঃ (ক) ওভার টেক করা যাবে
✅(খ) ওভার টেক করা যাবে না
(গ) গাড়ির গতি কমাতে হবে
(ঘ) গাড়ির গতি বাড়াতে হবে।
৭৷এই চিহ্নটি দ্বারা কি বুঝায়?
উত্তরঃ (ক) শুধুমাত্র সাইকেল চলাচলের জন্য
✅(খ) সাইকেল চলাচল নিষেধ
(গ) মােটরসাইকেল চলাচল নিষেধ
(ঘ) শুধুমাত্র মােটরসাইকেল চলাচলের জন্য
৮। ফোরহুইলড্রাইভ কোথায় প্রয়ােগ করতে হয় ?
উত্তরঃ (ক) ভালাে রাস্তায়
(গ) আঁকা বাকা রাস্তায়
✅(খ) পিচ্ছিল, কর্দমাক্ত রাস্তায়
(ঘ) নিচু রাস্তায়
৯। লেভেলক্রসিং বা রেলক্রসিং কত প্রকার?
উত্তরঃ (ক) ৩ প্রকার
(গ) ৫ প্রকার
(খ) ৪ প্রকার
✅(ঘ) ২ প্রকার
উত্তরঃ (ক) মােটরকার চলাচলের জন্য
(গ) মােটরসাইকেল চলাচল নিষেধ
✅(খ) মােটরযান চলাচল নিষেধ
(ঘ) পিকআপ চলাচলের জন্য
উত্তরঃ ✅(ক) ওভারটেকিং নিষেধ
(খ) ওভারটেকিং করা যাবে
(গ) গাড়ি থামাতে হবে
উত্তরঃ ✅(ক) পার্কিং নিষেধ
(খ) পার্কিং করা যাবে
(গ) পথচারী চলাচল নিষেধ।
উত্তরঃ ✅(ক) থামানাে নিষেধ
(খ) থামাতে হবে
(গ) ওভারটেকিং নিষেধ
উত্তরঃ ✅(ক) পথচারী চলাচল নিষেধ
(খ) পথচারী চলাচল করা যাবে
(গ) কোনটিই নয়
উত্তরঃ ✅(ক) পথচারী পারাপার
(খ) পথচারী চলাচল নিষেধ
(গ) উভয়টি
উত্তরঃ ✅(ক) সড়কে পথচারী
(খ) পথচারী চলাচল নিষেধ
(গ) শিশু-কিশাের
উত্তরঃ ✅(ক) শিশু-কিশাের
(খ) সামনে পশু চলাচল করে
(গ) সামনে রাস্তা বন্ধ
উত্তরঃ ✅(ক) প্রবেশ নিষেধ
(খ) সব ধরনের গাড়ি চলাচল করবে
(গ) ওভারটেকিং নিষেধ
উত্তরঃ ✅(ক) অসমতল/ক্রতিপূর্ণ সড়ক
(খ) সামনে সমতলা সড়ক
(গ) সামনে পিছিল সড়ক
উত্তরঃ ✅(ক) সামনে গতিরােধক
(খ) গতি বাড়াতে হবে
(গ) সামনে সমতল সড়ক
২১। মােটরসাইকেলের সর্বোচ্চ গতিবেগ কত?
উত্তরঃ (ক) ৪০ মাইল/ঘন্টা
(গ) ৫০ মাইল/ঘন্টা
✅(খ) ৭০ মাইল/ঘণ্টা
(ঘ) ১১২ মাইল/ঘন্টা
২২। গােল চক্করে গাড়ি চালানাের নিয়ম
উত্তরঃ (ক) সুযােগ মত বের হয়ে যান
(গ) বাম দিকের সকল গাড়ির আগে যেতে দিন।
✅(খ) ডান দিক থেকে আশা সকল গাড়িকে প্রাধান্য দিন
(ঘ) যে দিকে মােড় নিবেন ঠিক সেদিকে সিগন্যাল দিন
২৩। নীল রঙের আয়তক্ষেত্র কোন ধরনের সাইন?
উত্তরঃ ✅(ক) তথ্যমূলক সাইন
(গ) সতর্কতামূলক সাইন
(খ) বাধ্যতামূলক সাইন।
(ঘ) উপরের সবগুলি
২৪। ট্রাফিক সিগন্যাল বা সংকেত কত প্রকার?
উত্তরঃ ✅(ক) ৩ প্রকার
(গ) ৫ প্রকার।
(খ) ৪ প্রকার
(ঘ) ২ প্রকার
২৫। সবুজ আয়তক্ষেত্রে ট্রাফিক সাইন ফলক কোনটি?
উত্তরঃ (ক) রাস্তার দিক/দুরুত্বের তথ্য প্রদান করে
(গ) বাধ্যতামূলক তথ্য প্রদান করে
✅(খ) সাধারণ তথ্য প্রদান করে
(ঘ) সতর্কতামূলক তথ্য প্রদান করে
২৬। গাড়ি চালানাে রত অবস্থায় সামনে ট্রাফিক সিগনালের হলুদ লাইট জ্বলতে দেখলে
উত্তরঃ (ক) দ্রুত গতিতে গাড়ি চালিয়ে যেতে হবে
✅(খ) থামার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে
(গ) গাড়ির ষ্টার্ট সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করতে দিতে হবে
(ঘ) আস্তে আস্তে এগিয়ে যেতে হবে
ট্রাফিক রুলস ও রেগুলেশন
১। ড্রাইভিং লাইসেন্সের ধরন
উত্তরঃ (ক) পেশাদার
✅(গ) পেশাদার এবং অপেশাদার
(খ) অপেশাদার
(ঘ) কোনটি নয়
২। ড্রাইভিং লাইসেন্স অপেশাদার পাওয়ার জন্য সর্বনিম্ন বয়স কত?
উত্তরঃ (ক) ২৪ বছর
(খ) ২৫ বছর
(গ) ২০ বছর
✅(ঘ) ১৮ বছর
৩। কোন জায়গায় অবশ্যই হর্ণ বাজাতে হবে ?
উত্তরঃ (ক) গােল চক্করে ।
(গ) ইউ টার্নের নিকট
✅(খ) অন্ধ বাঁকে
(ঘ) হাসপাতাল
৪। ঘন কুয়াশা থাকলে, রাস্তায় মটর গাড়ি চালাইতে গাড়ির হেড লাইট অন রাখতে হবে কেন ?
উত্তরঃ (ক) রাস্তা দেখিবার জন্য।
✅(খ) গাড়ির অবস্থান বুঝানাের জন্য
(গ) ডানে মােড় নিবার জন্য।
(ঘ) ওভারটেক করার জন্য
৫। বাজার এলাকা পার হওয়ার সময় গাড়ির গতি বেগ কত থাকা উচিৎ ?
উত্তরঃ (ক) ৫০ কিঃ মিঃ/ঘন্টা
(খ) ১৫ কিঃ মিঃ/ঘন্টা
(গ) ৪৫ কিঃ মিঃ/ঘন্টা
✅(ঘ) ট্রাফিক সাইনে নির্দেশিত গতিসীমা
৬। মােটর গাড়ির পেপার রাস্থায় সর্বদা কে কে চেক করতে পারবে ?
উত্তরঃ (ক) ট্রাফিক পুলিশ, পুলিশ সার্জেন্ট, আনসার ও সেনাবাহিনীর সদস্য
(খ) পুলিশ সার্জেন্ট, বিআরটিএ’র কমকর্তা, ও আনসার
✅(গ) সর্বনিম্ন সাব-ইন্সপেক্টর পুলিশ অফিসার, মােবাইল কোর্ট , বিআরটিএ’র কর্মকর্তা
(ঘ) ট্রাফিক পুলিশ, মােবাইল কোর্ট ও সেনাবাহিনীর সদস্য
৭। যেখানে ওভারটেকিং করা সম্পূ্রন নিষেধ সেখানে ওভারটেকিং করলে আইনত কত টাকা জরিমানা ?
উত্তরঃ ✅(ক) ১০০ টাকা পর্যন্ত
(খ) ২০০ টাকা পর্যন্ত
(গ) ৩০০ টাকা পর্যন্ত
(ঘ) ৪০০ টাকা পর্যন্ত
৮। গাড়ি চলন্ত অবস্থায় অত্যাধিক ধোয়া বের হলে আইনত কত টাকা জরিমানা ?
উত্তরঃ (ক) ১০০ টাকা পর্যন্ত
✅(খ) ২০০ টাকা পর্যন্ত
(গ) ৩০০ টাকা পর্যন্ত
(ঘ) ৪০০ টাকা পর্যন্ত
৯। নিষিদ্ধ হর্ণ অথবা শব্দ উৎপাদনকারী ডিভাইস গাড়িতে লাগালে ও ব্যবহার করলে আইনত কত টাকা জরিমানা ?
উত্তরঃ ✅(ক) ১০০ টাকা পর্যন্ত
(খ) ২০০ টাকা পর্যন্ত
(গ) ৩০০ টাকা পর্যন্ত
(ঘ) ৪০০ টাকা পর্যন্ত
১০। অননুমােদিত ওজনের বেশি ওজন নিয়ে গাড়ি চালালে আইনত কত টাকা জরিমানা ?
উত্তরঃ (ক) ৫০০ টাকা পর্যন্ত।
✅(খ) ১০০০ টাকা পর্যন্ত
(গ) ২০০০ টাকা পর্যন্ত
(ঘ) ৩০০০ টাকা পর্যন্ত
১১। সড়কে বা প্রকাশ্য স্থানে প্রতিকূল সৃষ্টি করলে কত আয়নত টাকা জরিমানা ?
উত্তরঃ ✅(ক) ৫০০ টাকা পর্যন্ত
(খ) ১০০০ টাকা পর্যন্ত
(গ) ২০০০ টাকা পর্যন্ত
(ঘ) ৩০০০ টাকা পর্যন্ত
১২। ইনসুরেন্সবিহীন অবস্থায় গাড়ি চালনার শাস্তি কি?
উত্তরঃ (ক) ২০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা
(গ) ৫০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা
✅(খ) ২,০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা
(ঘ) ১,৫০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা
১৩। ড্রাইভিং লাইসেন্স পেশাদার পাওয়ার জন্য সর্বনিম্ন বয়স কত?
উত্তরঃ (ক) ২৪ বছর
(খ) ২৫ বছর
✅(গ) ২০ বছর
(ঘ) ১৮ বছর
১৪। শুকনা এবং পাকা রাস্তায় ৫০ কিঃ মিঃ গতিতে চলমান অবস্থায় গাড়ি ব্রেক করলে থামার দূরত্ব কত?
উত্তরঃ ✅(ক) ২৫ মিটার
(খ) ৩৫ মিটার
(গ) ৫০ মিটার
(ঘ) ২৫ গজ
১৫। একজন গাড়ি চালক কত ঘন্টা সময় বিরতিহীন ভাবে গাড়ি চালাতে পারে?
উত্তরঃ ✅(ক) ০৫ ঘন্টা
(খ) ১০ ঘন্টা
(গ) ১২ ঘন্টা
(ঘ) ৭ ঘন্টা
১৬। গাড়ি দুর্ঘটনা ঘটলে সর্বপ্রথম দায়িত্ব কি?
উত্তরঃ (ক) নিকটস্থ থানায় খবর দেওয়া
(খ) দুর্ঘটনা রত গাড়িটি সর্ব প্রথম নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া
(গ) পালিয়ে যাওয়া
✅(ঘ) আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা
১৭। গাড়ি চালানো অবস্থায় লুকিং গ্লাসের দিকে প্রতি মিনিটে কয়বার বার দেখা উচিৎ?
উত্তরঃ (ক) ৮ বার
✅(খ) ৬ বার
(গ) ১০ বার
(ঘ) ৩ বার
১৮। মােটরযান আইনে গাড়ির ক্ষতিকর ধোঁয়া নির্গত অবস্থায় গাড়ি চালনার শাস্তি কি ?
উত্তরঃ ✅(ক) ২০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা।
(খ) ৪০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা
(গ) ৩৫০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা
(ঘ) ৫০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা
১৯। রাত্রিকালীন সময় উল্টা দিক থেকে আগত গাড়ির সামনাসামনি হলে নিজের গাড়ির হেড লাইটের কি করা উচিত?
উত্তরঃ ✅(ক) ডিম করা উচিত
(খ) হাই করা উচিত
(গ) বন্ধ করা উচিত।
(ঘ) কোটিই না।
২১। পেশাদার ও অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য সর্বনিম্ন বয়স কত?
উত্তরঃ (ক) ২৪ ও ২৬ বছর
(খ) ২৫ ও ২৭ বছর।
(গ) ২০ ও ২২ বছর
✅(ঘ) ১৮ ও ২০ বছর
ইনস্যুরেন্স রিকোয়ারমেন্টস
১। মােটরযান আইনে বীমার প্রয়ােজনীয়তা কিসের জন্য?
উত্তরঃ (ক) প্রথমপক্ষের ঝুকির জন্য
✅(খ) তৃতীয় পক্ষের ঝুকির জন্য
(গ) স্থানীয় কর্তৃপক্ষের ঝুকির জন্য
(ঘ) দ্বিতীয় পক্ষের ঝুকির জন্য
২। মােটরযানের বীমা (ইস্যুরেন্স) কোথায় করতে হয় ?
উত্তরঃ (ক) বিআরটিএ অফিসে
(খ) সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে
(গ) গাড়ির শাে-রুমে
✅(ঘ) সাধারণ বীমা কোম্পানিতে
৩। মােটরযানের ইস্যুরেন্স (বীমা) কোন ধরনের ইস্যুরেন্সর আওতাভুক্ত ?
উত্তরঃ ✅(ক) সাধারন বীমা
(খ) জীবন বীমা
(গ) মেয়াদী হিসাব বীমা
(ঘ) তিন কিস্তি বীমা
৪। মােটর গাড়ির বীমার প্রয়ােজনীয়তা মােটর গাড়ির অধ্যাদেশে কত ধারায় বর্ণিত আছে?
উত্তরঃ (ক) ১০৮ ধারায়
✅(খ) ১০৯ ধারায
(গ) ১০৫ ধারায়
(ঘ) ১০২ ধারায়।
৫। অবীমাকৃত মােটর গাড়ির চালালে সর্বোচ্চ কত টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে ?
উত্তরঃ (ক) ২০০ টাকা পর্যন্ত।
✅(খ) ২০০০ টাকা পর্যন্ত
(গ) ৩০০ টাকা পর্যন্ত
(ঘ) ৪০০ টাকা পর্যন্ত
৭। দুর্ঘটনার কত মাসের মধ্যে বীমা (ইনসুরেন্স) কোম্পানীর কাছে ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন করতে
হবে?
উত্তরঃ ✅(ক) ৬ মাস সময়ের মধ্যে
(খ) ৩ মাস সময়ের মধ্যে
(গ) ২ মাস সময়ের মধ্যে
(ঘ) ১ মাস সময়ের মধ্যে
৮। বীমাকৃত গাড়ির ফিটনেস/ট্যাক্স টোকেন এর মেয়াদ শেষ হয়েছে এমন অবস্থায় দুর্ঘটনায় ঘটলে বীমাকৃত ব্যক্তি কি পাবে ক্ষতিপূরণ ?
উত্তর : (ক) হ্যাঁ পাবে যদি বীমার মেয়াদ থাকে
✅(খ) পাবে না
৯। কম্প্রিহেনসিভ বীমার ক্ষেত্রে কে ক্ষতিপূরণ পাবে ?
উত্তরঃ (ক) গাড়ি (গাড়ির ক্ষতি পূরণ)
(খ) পথচারী
(গ) ড্রাইভার
✅(ঘ) গাড়ি ও তৃতীয় পক্ষ উভয়ই
১০। তৃতীয়পক্ষ বীমার জন্য কাহাকে ক্ষতিপূরন দেয়া হয় না –
উত্তরঃ ✅(ক) গাড়ির
(খ) আহত ব্যক্তির
(গ) আহত যাত্রীর
(ঘ) আহত পথচারীর
১১। মােটরযান আইনে কোন প্রকারের বীমা বাধ্যতামূলক?
উত্তরঃ (ক) প্রথমপক্ষ
(খ) কম্প্রিহেনসিভ
✅(গ) তৃতীয়পক্ষ
১২। তৃতীয়পক্ষের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হবে কে?
উত্তরঃ ✅(ক) সরকার
(খ) গাড়ির মালিক
(গ) গাড়ি বিক্রেতা
১৩। ক্ষতিপূরণের জন্য দরখাস্ত করতে পারবেন –
উত্তরঃ (ক) যিনি নিজে আহত হয়েছেন বা যার সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তিনি
(খ) দুর্ঘটনার ফলে যদি কোন ব্যক্তি মারা যায় তাহে তার আইনানুগ উত্তরাধিকারী
✅(গ) উভয়ই প্রযােজ্য
ফাস্ট এইড
১। ফাষ্ট এইড কি ?
উত্তরঃ (ক) দ্রুত চিকিৎসা
(খ) দুর্ঘটনা চিকিৎসা
(গ) হাড় জোড়া চিকিৎসা।
✅(ঘ) প্রাথমিক চিকিৎসা
২। ফাষ্ট এইড বাক্সে নিচের কোনটা থাকে সাধারনত ?
উত্তরঃ (ক) অক্ৰিজেন সিলিন্ডার
✅(খ) সামান্য কিছু ঔষধ, ব্যান্ডেজ,এন্টিসেপটিক, তুলা
(গ) স্ট্রেচার
(ঘ) অপারেশনের ইকুইপমেন্ট
PDF ডাউনলোড
ড্রাইভিং শেখার জন্য এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় বেশ কিছু পিডিএফ লিঙ্ক নিচে দেওয়া হলো।
- ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার প্রশ্নোত্তর
- ড্রাইভিং লাইসেন্সের লিখিত পরীক্ষার স্ট্যান্ডার্ড প্রশ্ন ব্যাংক ও উত্তর
- নমুনা প্রশ্ন: Written_Question_for_Driving_License.pdf
- বই: মোটর ড্রাইভিং উইথ বেসিক মেইনটেন্যান্স
- বই: মোটর ড্রাইভিং ট্রেনিং এবং সড়ক দুর্ঘটনা রোধে করণীয়
- Driving License Medical Form