আল্লাহর ৯৯ নাম বাংলা অর্থ সহ ফজিলত | আসমাউল হুসনা

আল্লাহর ৯৯ নাম গুলো “আসমাউল হুসনা” নামে পরিচিত, যার অর্থ “সবচেয়ে সুন্দর নামসমূহ“। কুরআন ও হাদিসে এই নামগুলোর ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। যে ব্যক্তি এই নামগুলো মুখস্থ করবে, বুঝবে এবং আমল করবে, তার জন্য জান্নাতের সুসংবাদ রয়েছে। এই নামগুলো হলো: আর-রহমান, আর-রহিম, আল-মালিক, আল-কুদ্দুস ইত্যাদি, যার প্রতিটিই আল্লাহর এক একটি গুণকে প্রকাশ করে।
এই পোস্টে আল্লাহর ৯৯ নাম বাংলা অর্থ সহ তালিকা, ফজিলত, হাদিসের রেফারেন্স এবং ব্যবহারিক উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
আসমাউল হুসনা কী?
আল্লাহর ৯৯ নামকে আসমাউল হুসনা বলা হয়, যার অর্থ “সবচেয়ে সুন্দর নামসমূহ”। কুরআনে আল্লাহ বলেন:
“আল্লাহরই সবচেয়ে সুন্দর নামসমূহ রয়েছে। সুতরাং তোমরা তাঁকে সে নামগুলো দিয়ে ডাকো।” (সূরা আল-আরাফ: ১৮০)
এই নামগুলো আল্লাহর গুণাবলী প্রকাশ করে। প্রতিটি নামের মাধ্যমে আমরা তাঁর মহিমা, দয়া, ক্ষমতা ও ন্যায়বিচার বুঝতে পারি।
আল্লাহর ৯৯ নাম কী? আসমাউল হুসনা হলো আল্লাহর ৯৯টি সুন্দর নাম, যা কুরআন ও হাদিসে বর্ণিত। উদাহরণ: ১. আর-রহমান (দয়াময়), ২. আর-রহিম (ক্ষমাশীল) ইত্যাদি। ফজিলত: হাদিসে বলা হয়েছে, “যে এই নামগুলো মুখস্থ করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে” (সহিহ বুখারি: ২৭৩৬)।
আল্লাহর ৯৯ নাম বাংলা অর্থ সহ
নিচে আল্লাহর ৯৯ নাম বাংলা উচ্চারণ, আরবি এবং অর্থ সহ তালিকাভুক্ত করা হলো। এই তালিকা সহিহ হাদিস (তিরমিজি, ইবনু মাজাহ) থেকে সংগৃহীত।
১. الله (আল্লাহ)। অর্থ : আল্লাহ, প্রভু।
২. الرَّحْمَنُ (আর-রহমান)। অর্থ : সবচাইতে দয়ালু, কল্যাণময়, করুণাময়।
৩. الرَّحِيمُ (আর-রহিম)। অর্থ : সবচাইতে ক্ষমাশীল।
৪. الْمَلِكُ (আল-মালিক)। অর্থ : অধিপতি।
৫. الْقُدُّوسُ (আল-ক্বুদ্দুস)। অর্থ : পূতপবিত্র, নিখুঁত।
৬. السَّلَامُ (আস-সালাম)। অর্থ : শান্তি এবং নিরাপত্তার উৎস, ত্রাণকর্তা।
৭. الْمُؤْمِنُ (আল-মুমিন)। অর্থ : জামিনদার, সত্য ঘোষণাকারী।
৮. الْمُهَيْمِنُ (আল-মুহাইমিন)। অর্থ : অভিভাবক, প্রতিপালক।
৯. الْعَزِيزُ (আল-আযিয)। অর্থ : সর্বশক্তিমান, সবচেয়ে সম্মানিত।
১০. الْجَبَّارُ (আল-জাব্বার)। অর্থ : দুর্নিবার, সমু”চ, মহিমান্বিত।
১১. الْخَالِقُ (আল-খলিক)। অর্থ : সৃষ্টিকর্তা।
১২. الْبَارِئُ (আল-বারি)। অর্থ : বিবর্ধনকারী, নির্মাণকর্তা, পরিকল্পনাকারী।
১৩. الْمُصَوِّرُ (আল-মুসাউয়ির)। অর্থ : আকৃতিদানকারী।
১৪. الْغَفَّارُ (আল-গাফফার)। অর্থ: পুনঃমার্জনাকারী।
১৫. الْقَهَّارُ (আল-কাহ্হার)। অর্থ : দমনকারী।
১৬. الْوَهَّابُ (আল-ওয়াহ্হাব)। অর্থ : ¯’াপনকারী।
১৭. الرَّزَّاقُ (আর-রজ্জাক।। অর্থ : রিজিকদাতা।
১৮. الْفَتَّاحُ (আল-ফাত্তাহ)। অর্থ : প্রারম্ভকারী, বিজয়দানকারী।
১৯. الْعَلِيمُ (আল-আলীম)। অর্থ : সর্বজ্ঞানী, সর্বদর্শী।
২০. الْقَابِضُ (আল-কাবিদ)। অর্থ : নিয়ন্ত্রণকারী, সরলপথ প্রদর্শনকারী।
২১. الْبَاسِطُ (আল-বাসিত)। অর্থ : প্রসারণকারী।
২২. الْخَافِضُ (আল-খাফিদ)। অর্থ : (অবিশ্বাসীদের) অপমানকারী।
২৩. الرَّافِعُ (আর-রাফি)। অর্থ : উন্নীতকারী।
২৪. الْمُعِزُّ (আল-মুয়িজ্জিব)। অর্থ : সম্মানপ্রদানকারী।
২৫. الْمُذِلُّ (আল-মুঝিল্ল)। অর্থ : সম্মানহরণকারী।
২৬. السَّمِيعُ (আস-সামীয়ু)। অর্থ : সর্বশ্রোতা।
২৭. الْبَصِيرُ (আল-বাসির)। অর্থ : সর্বদ্রষ্টা।
২৮. الْحَكَمُ (আল-হাকাম)। অর্থ : বিচারপতি।
২৯. الْعَدْلُ (আল-আদল)। অর্থ : নিখুঁত।
৩০. اللَّطِيفُ (আল-লাতিফ)। অর্থ : অমায়িক।
৩১. الْخَبِيرُ (আল-খবির)। অর্থ : সম্যক অবগত।
৩২. الْحَلِيمُ (আল-হালিম)। অর্থ : ধৈর্যবান, প্রশ্রয়দাতা।
৩৩. الْعَظِيمُ (আল-আযিম)। অর্থ : সুমহান।
৩৪. الْغَفُورُ (আল-গফুর)। অর্থ : মার্জনাকারী।
৩৫. الشَّكُورُ (আশ-শাকুর)। অর্থ : সুবিবেচক।
৩৬. الْعَلِيُّ (আল-আলিই)। অর্থ : মহীয়ান।
৩৭. الْكَبِيرُ (আল-কাবীর)। অর্থ : সুমহান।
৩৮. الْحَفِيظُ (আল-হাফিজ)। অর্থ : সংরক্ষণকারী।
৩৯. الْمُقِيتُ (আল-মুকিত)। অর্থ : লালনপালনকারী।
৪০. الْحَسِيبُ (আল-হাসিব)। অর্থ : মীমাংসাকারী।
৪১. الْجَلِيلُ (আল-জালিল)। অর্থ : গৌরবান্বিত।
৪২. الْكَرِيمُ (আল-কারিম)। অর্থ : উদার, অকৃপণ।
৪৩. الرَّقِيبُ (আর-রকিব)। অর্থ : সদা জাগ্রত, অতন্দ্র পর্যবেক্ষণকারী।
৪৪. الْمُجِيبُ (আল-মুজীব)। অর্থ : সাড়া দানকারী, উত্তরদাতা।
৪৫. الْوَاسِعُ (আল-ওয়াসি)। অর্থ : অসীম, সর্বত্র বিরাজমান।
৪৬. الْحَكِيمُ (আল-হাকিম)। অর্থ : সুবিজ্ঞ, সুদক্ষ।
৪৭. الْوَدُودُ (আল-ওয়াদুদ)। অর্থ : স্নেহশীল।
৪৮. الْمَجِيدُ (আল-মাজিদ)। অর্থ : মহিমান্বিত।
৪৯. الْبَاعِثُ (আল-বাঈস)। অর্থ : পুনরুত্থানকারী।
৫০. الشَّهِيدُ (আশ-শাহীদ)। অর্থ : সাক্ষ্যদানকারী।
৫১. الْحَقُّ (আল-হক)। অর্থ : প্রকৃত সত্য।
৫২. الْوَكِيلُ (আল-ওয়াকিল)। অর্থ : সহায় প্রদানকারী, আ¯’াভাজন, উকিল।
৫৩. الْقَوِيُّ (আল-কুওয়াত)। অর্থ : ক্ষমতাশালী।
৫৪. الْمَتِينُ (আল মাতীন সুদৃঢ়, সু¯ি’র।
৫৫. الْوَلِيُّ (আল-ওয়ালিই)। অর্থ : বন্ধু, সাহায্যকারী, শুভাকাক্সক্ষী।
৫৬. الْحَمِيدُ (আল-হামিদ)। অর্থ : সকল প্রশংসার দাবীদার, প্রশংসনীয়।
৫৭. الْمُحْصِي (আল-মুহসি)। অর্থ : বর্ণনাকারী, গণনাকারী।
৫৮. الْمُبْدِئُ (আল-মুব্দি)। অর্থ : অগ্রণী, প্রথম প্রবর্তক, সৃজনকর্তা।
৫৯. الْمُعِيدُ (আল-মুঈদ)। অর্থ : পুন:প্রতিষ্ঠাকারী, পুনরূদ্ধারকারি।
৬০. الْمُحْيِي (আল-মুহিই)। অর্থ : জীবনদানকারী।
৬১. الْمُمِيتُ (আল-মুমীত)। অর্থ : ধ্বংসকারী, মৃত্যু আনয়নকারী।
৬২. الْحَيُّ (আল-হাইই)। অর্থ : চিরঞ্জীব, যার কোনো শেষ নাই।
৬৩. الْقَيُّومُ (আল-কাইয়ুম)। অর্থ : অভিভাবক, জীবিকানির্বাহ প্রদানকারী।
৬৪. الْوَاجِدُ (আল-ওয়াজিদ)। অর্থ : পর্যবেক্ষক, চির¯’ায়ী।
৬৫. الْمَاجِدُ (আল-মাজিদ)। অর্থ : সুপ্রসিদ্ধ।
৬৬. الْوَاحِدُ (আল-ওয়াহিদ) ।অর্থ : এক, অনন্য, অদ্বিতীয়।
৬৭. الصَّمَدُ (আস-সমাদ)। অর্থ : চিরন্তন, অবিনশ্বর, নির্বিকল্প, সুনিপুণ, স্বয়ং সম্পূর্ণ।
৬৮. الْقَادِرُ (আল-কাদির)। অর্থ : সর্বশক্তিমান।
৬৯. الْمُقْتَدِرُ (আল-মুকতাদির)। অর্থ : প্রভাবশালী, সিদ্ধান্তগ্রহণকারী।
৭০. الْمُقَدِّمُ (আল-মুকাদ্দিম)। অর্থ : অগ্রগতিতে সহায়তা প্রদানকারী।
৭১. الْمُؤَخِّرُ (আল-মুআক্ষির)। অর্থ : বিলম্বকারী।
৭২. الْأَوَّلُ (আল-আউয়াল)। অর্থ : সর্বপ্রথম, যার কোনো শুরু নাই।
৭৩ الْآخِرُ (আল-আখির)। অর্থ : সর্বশেষ, যার কোনো শেষ নাই।
৭৪. الظَّاهِرُ (আজ-জাহির)। অর্থ : সুস্পষ্ট, সুপ্রতীয়মান।
৭৫. الْبَاطِنُ (আল-বাতিন)। অর্থ : লুকায়িত, অস্পষ্ট, অন্তর¯’ (যা কিছু দেখা যায় না)।
৭৬. الْوَالِيَ (আল-ওয়ালি)। অর্থ : সুরক্ষাকারী বন্ধু, অনুগ্রহকারী, বন্ধুত্বপূর্ণ প্রভু।
৭৭. الْمُتَعَالِي (আল-মুতাআলী)। অর্থ : সর্বো”চ মহিমান্বিত, সুউ”চ।
৭৮. الْبَرُّ (আল-র্বার)। অর্থ : কল্যাণকারী।
৭৯. التَّوَّابُ (আত-তাওয়াব)। অর্থ : বিনম্র, সর্বদা আবর্তিতমান।
৮০. الْمُنْتَقِمُ (আল-মুন্তাকিম)। অর্থ : প্রতিফল প্রদানকারী।
৮১. الْعَفُوُّ (আল-আফুউ)। অর্থ : শাস্তি মউকুফকারী, গুনাহ ক্ষমাকারী।
৮২. الرَّءُوفُ (আর-রওফ)। অর্থ : সদয়, সমবেদনা প্রকাশকারী।
৮৩. مَالِكُ الْمُلْكِ (মালিকুল মুলক)। অর্থ : সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী।
৮৪. ذُو الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ (জুল-জালালি ওয়াল ইকরাম)। অর্থ : মর্যাদা ও ঔদার্যের প্রভু।
৮৫. الْمُقْسِطُ (আল-মুকসিত)। ন্যায়পরায়ণ, প্রতিদানকারী।
৮৬. الْجَامِعُ (আল-জামি)। অর্থ : একত্র আনয়নকারী, ঐক্য সাধনকারী।
৮৭. الْغَنِيُّ (আল-গানিই)। অর্থ : ঐশ্বর্যবান, স্বতন্ত্র।
৮৮. الْمُغْنِي (আল-মুগনি)। অর্থ : সমৃদ্ধকারী, উদ্ধারকারী।
৮৯. الْمَانِعُ (আল-মানি)। অর্থ : প্রতিরোধকারী, রক্ষাকর্তা।
৯০. الضَّارُّ (আদ-র্দারু)। অর্থ : যন্ত্রণাদানকারী, উৎপীড়নকারী।
৯১. النَّافِعُ (আন-নাফি)। অর্থ : অনুগ্রাহক, উপকর্তা, হিতকারী।
৯২. النُّورُ (আন-নূর)। অর্থ : আলোক।
৯৩. الْهَادِي (আল-হাদী)। অর্থ : পথপ্রদর্শক।
৯৪. الْبَدِيعُ (আল-বাদী)। অর্থ : অতুলনীয়, অনিধগম্য।
৯৫. الْبَاقِي (আল-বাকী)। অর্থ : অপরিবর্তনীয়, অনন্ত, অসীম, অক্ষয়।
৯৬. الْوَارِثُ (আল-ওয়ারিস)। অর্থ : সবকিছুর উত্তরাধিকারী।
৯৭. الرَّشِيدُ (আর-রশিদ)। অর্থ : সঠিক পথের নির্দেশক।
৯৮. الصَّبُورُ (আস-সবুর)। অর্থ : ধৈর্যশীল।
৯৯. الْمُتَكَبِّرُ (আল-মুতাকাব্বির)। অর্থ : সর্বশ্রেষ্ঠ, গৌরবান্বিত।
আল্লাহর নামের ফজিলত
১. আল্লাহর নাম দ্বারা দোয়া কবুল হয়: “সবচেয়ে সুন্দর নাম আল্লাহরই। তাই সে নামগুলো দিয়ে তাঁকে ডাকো।” (সুরা আ’আরাফ, আয়াত: ১৮০)
২. আল্লাহর নাম মুখস্থ ও বোঝা জান্নাতের পথ: “যে ব্যক্তি আল্লাহর নিরানব্বইটি নাম মুখস্থ রাখবে ও বুঝবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।” (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২৬৭৭)
৩. আল্লাহর নাম জীবনে প্রভাব ফেলে: ইমাম ইবনুল কাইয়িম (রহ.) বলেছেন: “আল্লাহর নামগুলো কেবল মুখস্থ রাখার জন্য নয়, বরং সেগুলো মানুষকে আল্লাহর মহিমা ও গুণাবলির প্রতি জাগ্রত করে।” (ইবনুল কাইয়িম, আল-নুনিয়্যা, ২/৯১, দারুস সালাম, রিয়াদ, ২০০৫)
আল্লাহর সুন্দর নামগুলো হলো ইমানের রশ্মি, হৃদয়ের প্রশান্তি এবং দোয়ার চাবিকাঠি। মুসলমানের উচিত এই নামগুলো মুখস্থ করা, দোয়া-ইবাদতে ব্যবহার করা এবং জীবনে প্রতিফলিত করা। যে ব্যক্তি সত্যিকার অর্থে আল্লাহর নামগুলো জানবে ও মানবে, তার ইমান হবে দৃঢ়, আমল হবে খাঁটি, আর জীবন হবে প্রশান্তির।
আল্লাহর ৯৯ নাম মুখস্থ করার ফজিলত
আবু হুরায়রাহ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলার নিরানব্বই— এক কম একশটি নাম রয়েছে। যে ব্যক্তি এ নামগুলো মুখস্থ করবে, সে জান্নাতে যাবে। অপর বর্ণনায় আছে, তিনি বিজোড়, (তাই) বিজোড়কে ভালবাসেন। (বুখারি, হাদিস : ২৭৩৬, ৭৩৯২; মুসলিম, হাদিস : ২৬৭৭; তিরমিজি, হাদিস : ৩৫০৬; ইবনু মাজাহ, হাদিস : ৩৮৬০)
আল্লাহর ৯৯ নাম মুখস্থ করার ফজিলত (Hadith & Scholarly Views)
হাদিসের প্রমাণ:
“আল্লাহর নিরানব্বইটি নাম রয়েছে, এক কম একশো। যে ব্যক্তি এগুলো মুখস্থ করবে (আহসাহা), সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।” (সহিহ বুখারি: ২৭৩৬, ৭৩৯২; সহিহ মুসলিম: ২৬৭৭)
- “আহসাহা” শব্দের অর্থ: মুখস্থ করা, বোঝা, আমল করা। (ইমাম নববী, শরহ মুসলিম)
বিখ্যাত আলেমদের মত:
- ইমাম ইবনুল কাইয়িম (রহ.): “এই নামগুলো শুধু মুখস্থের জন্য নয়, বরং আল্লাহর সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলার মাধ্যম।” (আল-নুনিয়্যা)
- শাইখ উসাইমিন (রহ.): “প্রতিদিন ১১টি নাম মুখস্থ করলে ৯ দিনে শেষ।”
কীভাবে মুখস্থ করবেন? (Practical Tips)
- দৈনিক ১১টি নাম → ৯ দিনে সম্পূর্ণ।
- দোয়ায় ব্যবহার: “ইয়া রাজ্জাক” বলে রিজিক চাইলে কবুল হয়।
- অডিও শুনুন: YouTube-এ “Asmaul Husna 99 Names” সার্চ করুন।
- পোস্টার লাগান: ঘরে টাঙিয়ে রাখুন।
FAQ (People Also Ask)
প্রশ্ন ১: আল্লাহর ৯৯ নাম মুখস্থ করলে কী হয়? উত্তর: হাদিস অনুযায়ী জান্নাতে প্রবেশ। (বুখারি: ২৭৩৬)
প্রশ্ন ২: কোন নাম দিয়ে দোয়া শুরু করব? উত্তর: “ইয়া রহমান”, “ইয়া রহিম” দিয়ে শুরু করুন।
প্রশ্ন ৩: নামগুলো কি কুরআনে আছে? উত্তর: না, সরাসরি ৯৯টি একসাথে নেই। হাদিসে সংকলিত।
আল্লাহ আমাদের সকলকে আসমাউল হুসনা মুখস্থ করার তাওফিক দান করুন। আমিন। আপনার মতামত কমেন্টে জানান। শেয়ার করলে সওয়াব পাবেন।