নিজে নিজে বাংলা যুক্তবর্ণ টাইপিং শিখুন

কম্পিউটারে বাংলা যুক্তবর্ণ টাইপিং শিখতে চান? এই যুক্তবর্ণের তালিকাটি আপনাকে সঠিকভাবে বাংলা যুক্তবর্ণ টাইপ করার ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে।
কীভাবে বাংলা যুক্তবর্ণ টাইপ করতে হয়?
বাংলা যুক্তবর্ণ টাইপ করার জন্য, প্রথমে হসন্ত বা ‘্’ (ইংরেজি ‘G’ কী) চাপতে হয় এবং তারপর দ্বিতীয় বর্ণটি টাইপ করতে হয়। যেমন, ‘ক্ত’ লেখার জন্য ‘ক’ + ‘্’ + ‘ত’ এবং ‘ক্ষ’ লেখার জন্য ‘ক’ + ‘্’ + ‘ষ’ চাপতে হবে। বিভিন্ন বাংলা টাইপিং পদ্ধতি (যেমন বিজয়, অভ্র) অনুযায়ী নির্দিষ্ট কী-সাঁচ ব্যবহার করতে হয়, তবে মূল নিয়ম একই থাকে।
প্রধান নিয়ম
- যুক্তাক্ষর: দুটি ব্যঞ্জনবর্ণের মধ্যে প্রথমটির পর হসন্ত বা ‘্’ (ইংরেজি ‘G’ কী) এবং তারপর দ্বিতীয় বর্ণটি টাইপ করুন।
- উদাহরণ:
- ক্ত: ক + G + t (ক + ্ + ত)
- ক্ষ: ক + G + n (ক + ্ + ষ) (এখানে ‘ষ’ এর জন্য ‘N’ চাপতে হবে এবং এটি Shift কী-এর সাথে ব্যবহার করতে হবে, যেমন
J+G+(Shift+N)
যদি ‘J’ ক এবং ‘G’ হসন্ত হয়) - হ্ম: h + G + m (হ + ্ + ম)
- জ্ঞ: u + G + i (জ + ্ + ঞ) (এখানে ‘জ’ এর জন্য ‘U’ এবং ‘ঞ’ এর জন্য ‘I’ ব্যবহার করতে হবে)
- ঞ্চ: Shift+i + G + y (ঞ + ্ + চ)
সর্বাধিক ব্যবহৃত বাংলা যুক্তবর্ণ
বাংলা টাইপিং এর গুরুত্বপূর্ণ যুক্তবর্ণ হলো-
- ১. ক্ষ = ক+ষ
- ২. ষ্ণ = ষ+ণ
- ৩. জ্ঞ = জ+ঞ
- ৪. ঞ্জ = ঞ+জ
- ৫. হ্ম = হ+ম
- ৬. ঞ্চ = ঞ+চ
- ৭. ঙ্গ = ঙ+গ
- ৮. ঙ্ক = ঙ+ক
- ৯. ট্ট = ট + ট
- ১০. ক্ষ্ম = ক্ষ + ম = ক + ষ + ম
- ১১. হ্ন = হ + ন
- ১২. হ্ণ = হ + ণ
- ১৩. ব্ধ = ব + ধ
- ১৪. ক্র = ক + ্র (র-ফলা)
- ১৫. গ্ধ = গ + ধ
- ১৬. ত্র = ত + ্র (র-ফলা)
- ১৭. ক্ত = ক + ত
- ১৮. ক্স = ক + স
- ১৯. ত্থ = ত + থ (উদাহরন: উত্থান, উত্থাপন)
- ২০. ত্ত = ত + ত (উদাহরন: উত্তম, উত্তর, সত্তর)
- ২১. ত্ম = ত + ম (উদাহরন: মাহাত্ম্য)
বাংলা যুক্তবর্ণ টাইপিং
এখানে বাংলায় ব্যবহৃত ২৮৫টি যুক্তবর্ণ দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে কোন যুক্তবর্ণ সম্ভবত বাংলায় প্রচলিত নয়।
ক্ক = ক + ক; যেমন- আক্কেল, টেক্কা
ক্ট = ক + ট; যেমন- ডক্টর (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/ বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
ক্ট্র = ক + ট + র; যেমন- অক্ট্রয়
ক্ত = ক + ত; যেমন- রক্ত
ক্ত্র = ক + ত + র; যেমন- বক্ত্র
ক্ব = ক + ব; যেমন- পক্ব, ক্বণ
ক্ম = ক + ম; যেমন- রুক্মিণী
ক্য = ক + য; যেমন- বাক্য
ক্র = ক + র; যেমন- চক্র
ক্ল = ক + ল; যেমন- ক্লান্তি
ক্ষ = ক + ষ; যেমন- পক্ষ
ক্ষ্ণ = ক + ষ + ণ; যেমন- তীক্ষ্ণ
ক্ষ্ব = ক + ষ + ব; যেমন- ইক্ষ্বাকু
ক্ষ্ম = ক + ষ + ম; যেমন- লক্ষ্মী
ক্ষ্ম্য = ক + ষ + ম + য; যেমন- সৌক্ষ্ম্য
ক্ষ্য = ক + ষ + য; যেমন- লক্ষ্য
ক্স = ক + স; যেমন- বাক্স
খ্য = খ + য; যেমন- সখ্য
খ্র = খ+ র যেমন; যেমন- খ্রিস্টান
গ্ণ = গ + ণ; যেমন – রুগ্ণ
গ্ধ = গ + ধ; যেমন- মুগ্ধ
গ্ধ্য = গ + ধ + য; যেমন- বৈদগ্ধ্য
গ্ধ্র = গ + ধ + র; যেমন- দোগ্ধ্রী
গ্ন = গ + ন; যেমন- ভগ্ন
গ্ন্য = গ + ন + য; যেমন- অগ্ন্যাস্ত্র, অগ্ন্যুৎপাত, অগ্ন্যাশয়
গ্ব = গ + ব; যেমন- দিগ্বিজয়ী
গ্ম = গ + ম; যেমন- যুগ্ম
গ্য = গ + য; যেমন- ভাগ্য
গ্র = গ + র; যেমন- গ্রাম
গ্র্য = গ + র + য; যেমন- ঐকাগ্র্য, সামগ্র্য, গ্র্যাজুয়েট
গ্ল = গ + ল; যেমন- গ্লানি
ঘ্ন = ঘ + ন; যেমন- কৃতঘ্ন
ঘ্য = ঘ + য; যেমন- অশ্লাঘ্য
ঘ্র = ঘ + র; যেমন- ঘ্রাণ
ঙ্ক = ঙ + ক; যেমন- অঙ্ক
ঙ্ক্ত = ঙ + ক + ত; যেমন- পঙ্ক্তি
ঙ্ক্য = ঙ + ক + য; যেমন- অঙ্ক্য
ঙ্ক্ষ = ঙ + ক + ষ; যেমন- আকাঙ্ক্ষা
ঙ্খ = ঙ + খ; যেমন- শঙ্খ
ঙ্গ = ঙ + গ; যেমন- অঙ্গ
ঙ্গ্য = ঙ + গ + য; যেমন- ব্যঙ্গ্যার্থ, ব্যঙ্গ্যোক্তি
ঙ্ঘ = ঙ + ঘ; যেমন- সঙ্ঘ
ঙ্ঘ্য = ঙ + ঘ + য; যেমন- দুর্লঙ্ঘ্য
ঙ্ঘ্র = ঙ + ঘ + র; যেমন- অঙ্ঘ্রি
ঙ্ম = ঙ + ম; যেমন- বাঙ্ময়
চ্চ = চ + চ; যেমন- বাচ্চা
চ্ছ = চ + ছ; যেমন- ইচ্ছা
চ্ছ্ব = চ + ছ + ব; যেমন- জলোচ্ছ্বাস
চ্ছ্র = চ + ছ + র; যেমন- উচ্ছ্রায়
চ্ঞ = চ + ঞ; যেমন- যাচ্ঞা
চ্ব = চ + ব; যেমন- চ্বী
চ্য = চ + য; যেমন- প্রাচ্য
জ্জ = জ + জ; যেমন- বিপজ্জনক
জ্জ্ব = জ + জ + ব; যেমন- উজ্জ্বল
জ্ঝ = জ + ঝ; যেমন- কুজ্ঝটিকা
জ্ঞ = জ + ঞ; যেমন- জ্ঞান
জ্ব = জ + ব; যেমন- জ্বর
জ্য = জ + য; যেমন- রাজ্য
জ্র = জ + র; যেমন- বজ্র
ঞ্চ = ঞ + চ; যেমন- অঞ্চল
ঞ্ছ = ঞ + ছ; যেমন- লাঞ্ছনা
ঞ্জ = ঞ + জ; যেমন- কুঞ্জ
ঞ্ঝ = ঞ + ঝ; যেমন- ঝঞ্ঝা
ট্ট = ট + ট; যেমন- চট্টগ্রাম
ট্ব = ট + ব; যেমন- খট্বা
ট্ম = ট + ম; যেমন- কুট্মল
ট্য = ট + য; যেমন- নাট্য
ট্র = ট + র; যেমন- ট্রেন (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/ বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
ড্ড = ড + ড; যেমন- আড্ডা
ড্ব = ড + ব; যেমন- অন্ড্বান
ড্য = ড + য; যেমন- জাড্য
ড্র = ড + র; যেমন- ড্রাইভার, ড্রাম (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/ বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
ড়্গ = ড় + গ; যেমন- খড়্গ
ঢ্য = ঢ + য; যেমন- ধনাঢ্য
ঢ্র = ঢ + র; যেমন- মেঢ্র (ত্বক) (মন্তব্য: অত্যন্ত বিরল)
ণ্ট = ণ + ট; যেমন- ঘণ্টা
ণ্ঠ = ণ + ঠ; যেমন- কণ্ঠ
ণ্ঠ্য = ণ + ঠ + য; যেমন- কণ্ঠ্য
ণ্ড = ণ + ড; যেমন- গণ্ডগোল
ণ্ড্য = ণ + ড + য; যেমন- পাণ্ড্য
ণ্ড্র = ণ + ড + র; যেমন- পুণ্ড্র
ণ্ঢ = ণ + ঢ; যেমন- ষণ্ঢ
ণ্ণ = ণ + ণ; যেমন- বিষণ্ণ
ণ্ব = ণ + ব; যেমন- স্হাণ্বীশ্বর
ণ্ম = ণ + ম; যেমন- চিণ্ময়
ণ্য = ণ + য; যেমন- পূণ্য
ৎক = ত + ক; যেমন- উৎকট
ত্ত = ত + ত; যেমন- উত্তর
ত্ত্ব = ত + ত + ব; যেমন- সত্ত্ব
ত্ত্য = ত + ত + য; যেমন- উত্ত্যক্ত
ত্থ = ত + থ; যেমন- অশ্বত্থ
ত্ন = ত + ন; যেমন- যত্ন
ত্ব = ত + ব; যেমন- রাজত্ব
ত্ম = ত + ম; যেমন- আত্মা
ত্ম্য = ত + ম + য; যেমন- দৌরাত্ম্য
ত্য = ত + য; যেমন- সত্য
ত্র = ত + র যেমন- ত্রিশ, ত্রাণ
ত্র্য = ত + র + য; যেমন- বৈচিত্র্য
ৎল = ত + ল; যেমন- কাৎলা
ৎস = ত + স; যেমন- বৎসর, উৎসব
থ্ব = থ + ব; যেমন- পৃথ্বী
থ্য = থ + য; যেমন- পথ্য
থ্র = থ + র; যেমন- থ্রি (three) (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/ বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
দ্গ = দ + গ; যেমন- উদ্গম
দ্ঘ = দ + ঘ; যেমন- উদ্ঘাটন
দ্দ = দ + দ; যেমন- উদ্দেশ্য
গুরুত্বপূর্ণ টিপস
- সঠিক কীবোর্ড লেআউট: আপনার কম্পিউটারে একটি বাংলা কীবোর্ড লেআউট (যেমন ‘বিজয়’ বা ‘অভ্র’) ইনস্টল করা আছে কিনা তা নিশ্চিত করুন।
- অনুশীলন: যুক্তাক্ষর টাইপিং অনুশীলনের মাধ্যমে সহজ হয়ে যায়। নিয়মিত অনুশীলন করুন।
- কীবোর্ড লেআউট ডায়াগ্রাম: অনলাইনে ‘বাংলা কীবোর্ড লেআউট ডায়াগ্রাম’ খুঁজে বের করে অনুশীলন করতে পারেন। এটি আপনাকে কোন অক্ষরটি কোন কী-তে আছে তা জানতে সাহায্য করবে।