সাধারণ জ্ঞান

যমুনা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান (১০০% কমন)

চলুন আমরা যমুনা সেতু সম্পর্কে বিভিন্ন সাধারণ জ্ঞান জানার চেষ্টা করি। আশা করি এই সাধারণ জ্ঞানগুলো আপনাদের চাকরী কিংবা ভর্তি পরীক্ষার ক্ষেত্রে অনেক সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। এখানে যমুনা সেতু সম্পর্কিত প্রচুর তথ্য ও তথ্যসূত্র দেওয়া আছে, তাই আমরা আপনাকে শতভাগ কমনের নিশ্চয়তা দিতে পারছি।

বাংলাদেশের সেতুগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম সেতু হচ্ছে, যমুনা বহুমুখী সেতু। পরবর্তীতে এটিকে বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতু নামকরণ করা হয়েছে। লোকমুখে এই সেতুটি যমুনা সেতু নামেই সুপরিচিত থাকলেও কাগজে-কলমে এর নাম বঙ্গবন্ধু্ সেতু

যমুনা বহুমুখী সেতু বা বঙ্গবন্ধু সেতু বাংলাদেশের যমুনা নদীর উপরে অবস্থিত একটি সড়ক ও রেল সেতু। ৪.৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট এই সেতুটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় দীর্ঘতম সেতু। অনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা।

যমুনা নদীর উপর নির্মিত এই সেতু ১৯৯৮ সালে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। এই সেতু রাজধানী ঢাকার সাথে সংযুক্ত করেছে উত্তরের বিশাল জনগোষ্ঠীকে। উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার হিসেবে খ্যাত এই সেতুটি লম্বায় ৪.৮ কিলোমিটার।

এই সেতু উত্তরাঞ্চলের মানুষের জন্য বহুবিদ সুফল বয়ে আনে। বিশেষ করে পণ্য ও যাত্রী পরিবহন ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আসে। এক যমুনা সেতু ১৯৯৮ সালে বদলে দিয়েছিল পুরো উত্তরবঙ্গের যোগাযোগ ব্যবস্থা। যা আজও ঠায় হয়ে যমুনার বুকে দাঁড়িয়ে আছে আপন মহিমায়।

Table of Contents

যমুনা বহুমুখী সেতু

Jamuna Multi purpose Bridge

যমুনা বহুমুখী সেতু (Jamuna Multi-purpose Bridge) নির্মাণে খরচ হয়েছে ৯৬২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৪.৮ কিলোমিটার ও প্রস্থ ১৮.৫ মিটার। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাথে মোকাবিলা করার জন্য সেতুটি ৮০-৮৫ মিটার লম্বা ১২১টি ইস্পাতের বিমের উপর স্থাপন করা হয়েছে। সেতুটিতে স্প্যানের সংখ্যা ৪৯ টি ও পিলার ৫০ টি।

যমুনা সেতু স্থাপনের জন্য প্রথম উদ্যোগ নেয়া হয় ১৯৪৯ সালে। ১৯৯৪ সালের ১৫ অক্টোবর এর কাজ শুরু হয় এবং ১৯৯৮ সালের ২৩ জুন যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।


যমুনা সেতুর ইতিহাস

Bangabandhu Bridge
Bangabandhu Bridge

বাংলাদেশের পূর্বাঞ্ছলের ভুয়াপুর ও পশ্চিমাঞ্চলের সিরাজগঞ্জ জেলার সাথে সংযোগ স্থাপনকারী যমুনা বহুমুখী সেতুটি বঙ্গবন্ধু সেতু (Bangabandhu Bridge) হিসেবেও সুপরিচিত। ১৯৯৮ সালের জুন মাসে উদ্বোধন হওয়া এই সেতু দক্ষিণ এশিয়ার ৬ষ্ঠ বৃহৎ এবং বিশ্বের ১১তম দীর্ঘতম সেতু। ১৯৯৪ সালে জাপান সরকারের সহায়তায় যমুনা সেতুর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপিত হলেও ১৯৯৮ সালে সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হয়। সর্বপ্রথম মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানি যমুনা নদীর উপর সেতু নির্মাণের দাবি জানালেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা বাস্তবায়ন করেন। বঙ্গবন্ধু যমুনা বহুমুখী সেতু নির্মাণের ফলে দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের সাথে সাথে সড়ক ও রেলপথে যাত্রী ও মালামাল পরিবহনের ক্ষেত্রে ব্যপক উন্নতি সাধিত হয়েছে।

যমুনা নদীর উপর টাঙ্গাইল থেকে সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত বিস্তৃত এই সেতু এশীয় মহাসড়ক ও আন্তঃএশীয় রেলপথের উপর অবস্থিত। যমুনা বহুমুখী সেতু (Jamuna Multi-purpose Bridge) নির্মাণে খরচ হয়েছে ৯৬২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৪.৮ কিলোমিটার ও প্রস্থ ১৮.৫ মিটার। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাথে মোকাবিলা করার জন্য সেতুটি ৮০-৮৫ মিটার লম্বা ১২১টি ইস্পাতের বিমের উপর স্থাপন করা হয়েছে। সেতুটিতে স্প্যানের সংখ্যা ৪৯ টি ও পিলার ৫০ টি। যমুনা বহুমুখী সেতুর উপর দিয়ে যানবাহন ও ট্রেন চলাচলের জন্য রয়েছে ৪ লেনের সড়ক ও ২টি রেল ট্র্যাক।


যমুনা সেতুর টোল কত

সর্বশেষ আপডেট (১৮ জুলাই ২০২৩) অনুযায়ী, বর্তমানের বঙ্গবন্ধু সেতুর টোলের হার নিচে উল্লেখ করা হলো।

যানবাহনটোলের হার
মোটর সাইকেল৫০.০০
হাল্কা যানবাহন (কার/জীপ)৫৫০.০০
হাল্কা যানবাহন (মাইক্রো, পিকআপ) (১.৫ টনের কম)৬০০.০০
ছোট বাস (৩১ আসন বা এর কম)৭৫০.০০
বড় বাস (৩২ আসন বা এর বেশী)১০০০.০০
ছোট ট্রাক (৫ টন পর্যন্ত)১০০০.০০
মাঝারি ট্রাক (৫ টন  হতে ৮ টন পর্যন্ত)১২৫০.০০
মাঝারি ট্রাক (৮ টন হতে ১১ টন পর্যন্ত)১৬০০.০০
ট্রাক (৩ এক্সেল)২০০০.০০
ট্রেইলার (৪ এক্সেল পর্যন্ত)৩০০০.০০
ট্রেইলার (৪ এক্সেলের অধিক)৩০০০.০০ + প্রতি এক্সেল ১০০০.০০
ট্রেনবাৎসরিক ১ কোটি টাকা

যমুনা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান

যমুনা  সেতু সম্পর্কে অনেকেই সাধারণ জ্ঞান জানতে চান। নিম্নে যমুনা সেতু সম্পর্কিত সাধারণ জ্ঞান আলোচনা করা হলো। এখানে যমুনা সেতু সম্পর্কিত সকল প্রশ্ন উত্তর রয়েছে। আপনারা এখান থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু সম্পর্কিত সকল প্রশ্ন এবং উত্তর জানতে পারবেন। তাহলে এবার যমুনা  সেতু সম্পর্কিত সকল প্রশ্নের উত্তর জেনে নিন –

প্রশ্ন: যমুনা সেতু কত সালে উদ্বোধন হয়েছে?
উত্তর: ২৩শে জুন ১৯৯৮ সালে যমুনা সেতু উদ্বোধন করা হয়েছে।

প্রশ্ন: যমুনা সেতুর মোট প্রস্থ কত কিমি?
উত্তর: যমুনা সেতুর মোট প্রস্থ ১৮.৫ মিটার বা ০.০১৮৫ কিমি

প্রশ্ন: যমুনা সেতুর দৈর্ঘ্য কত?
উত্তর: যমুনা সেতুর মোট দৈর্ঘ্য ৪.৮ কিলোমিটার ও প্রস্থ ১৮.৫ মিটার।

প্রশ্ন: ঢাকা থেকে যমুনা সেতুর দূরত্ব কত কিলোমিটার?
উত্তর: ঢাকা থেকে যমুনা সেতুর দূরত্ব প্রায় ১১৬ কিলোমিটার

প্রশ্ন: যমুনা সেতু কত কিলোমিটার?
উত্তর: যমুনা সেতুর মোট দৈর্ঘ্য ৪.৮ কিলোমিটার ও প্রস্থ ১৮.৫ মিটার।

প্রশ্ন: যমুনা সেতু উদ্বোধন তারিখ?
উত্তর: ২৩শে জুন ১৯৯৮ সালে যমুনা সেতু উদ্বোধন করা হয়েছে।

প্রশ্ন: যমুনা সেতু নির্মাণ ব্যয় কত টাকা?
উত্তর: সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৩ হাজার ৭৪৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা (৯৬২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)।

প্রশ্ন: যমুনা সেতু বিশ্বের কততম সেতু?
উত্তর: সেতুটি বিশ্বে ১১শ তম এবং দক্ষিণ এশিয়ার ৬ষ্ঠ এবং বাংলাদেশের ২য় দীর্ঘতম সেতু।

প্রশ্ন: যমুনা সেতু দক্ষিণ এশিয়ার কততম সেতু?
উত্তর: সেতুটি দক্ষিণ এশিয়ার ৬ষ্ঠ দীর্ঘতম সেতু।

প্রশ্ন: বঙ্গবন্ধু সেতুর দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ কত?
উত্তর: বঙ্গবন্ধু সেতুর দৈর্ঘ্য — ৪.৮ কিলোমিটার, প্রস্থ — ১৮.৫ মিটার।

প্রশ্ন: যমুনা সেতু পূর্ব স্টেশন এর নাম কি?
উত্তর: বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেলওয়ে স্টেশন যা বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত।

প্রশ্ন: যমুনা সেতু প্রবেশের পূর্বে গোল চত্বর এরিয়ার নাম কি?
উত্তর: হাটিকুমরুল গোল চত্বর।

প্রশ্ন: যমুনা সেতুর পিলার কয়টি?
উত্তর: সেতুর পিলার সংখ্যা ৫০ টি।

প্রশ্ন: যমুনা সেতুর পাইল সংখ্যা কয়টি?
উত্তর: যমুনা সেতুর পিলার সংখ্যা ১২১ টি।

প্রশ্ন: যমুনা সেতুর দ্রাঘিমা রেখা কি?
উত্তর: 24° 23′ 53.95″ N 89° 45′ 7.96″ E

প্রশ্ন: যমুনা সেতুর আয়ুষ্কাল কত বছর?
উত্তর: ১২০ বছর।

প্রশ্ন: যমুনা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন কে?
উত্তর:  ১০ এপ্রিল, ১৯৯৪ সালে যমুনা নদীর দুই তীরে যমুনা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। (বিএনপি সরকারের আমলে সেতুর ৮০ ভাগেরও বেশি কাজ সম্পন্ন হয়েছিল। পরবর্তীতে, ১৯৯৮ সালের প্রথমার্ধেই সেতুটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়।)

প্রশ্ন: যমুনা সেতু কে উদ্বোধন করেন কোন সরকার?
উত্তর: ২৩ জুন, ১৯৯৮ (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামীলীগ সরকার)।

প্রশ্ন: যমুনা সেতুর খরচ কত?
উত্তর: ৯৬২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

প্রশ্ন: যমুনা সেতু নির্মাণকারী কোম্পানির নাম কি?
উত্তর: Hyundai Heavy Industries (হুন্দাই)।

প্রশ্ন: যমুনা সেতু কত সালে স্থাপিত হয়?
উত্তর: ১৯৯৪ সালের ১০ এপ্রিল সেতুর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপিত হয়। ১৯৯৪ সালের ১৫ অক্টোবর প্রকল্পের ভৌত নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন শুরু হয় এবং গ্যাস সঞ্চালন লাইন ব্যতীত সকল কাজ ১৯৯৮ সালের জুনের মধ্যে শেষ হয়। ১৯৯৮ সালের ২৩ জুন সেতুটি চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।


যমুনা সেতুর দৈর্ঘ্য কত? যমুনা সেতুর স্প্যান কয়টি?
সম্ভাব্য দুর্যোগ ও ভূমিকম্প যাতে সহ্য করতে পারে সেজন্য সেতুটিকে ৮০-৮৫ মিটার লম্বা এবং ২.৫ ও ৩.১৫ মিটার ব্যাসের ১২১টি ইস্পাতের খুঁটির ওপর বসানো হয়েছে। এই খুঁটিগুলো খুবই শক্তিশালী (২৪০ টন) হাইড্রোলিক হাতুড়ি দ্বারা বসানো হয়। সেতুটিতে স্প্যানের সংখ্যা ৪৯ এবং ডেক খণ্ডের সংখ্যা ১,২৬৩। সেতুটির ওপর দিয়ে চার লেনের সড়ক এবং দুইটি রেলট্র্যাক বসানো হয়েছে।

যমুনা সেতু কত সালে উদ্বোধন হয়েছে? ২৩শে জুন ১৯৯৮

যমুনা বহুমুখী সেতু স্থাপনের জন্য প্রথম উদ্যোগ নেয়া হয় ১৯৪৯ সালে। ১৯৯৪ সালের ১৫ অক্টোবর এর কাজ শুরু হয় এবং ১৯৯৮ সালের ২৩ জুন যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।

যমুনা সেতু কত কিলোমিটার লম্বা?

যমুনা সেতু কোন জেলায় অবস্থিত?  এটি  টাঙ্গাইল এবং সিরাজগঞ্জের মধ্যবর্তী যমুনা নদীর উপর নির্মিত।

যমুনা সেতু কয় কিলো?

যমুনা সেতু কোথায় অবস্থিত?

যমুনা সেতু কত সালে স্থাপিত হয়?

বঙ্গবন্ধু সেতুর দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ কত?

বঙ্গবন্ধু সেতু কবে উদ্বোধন করা হয়?


বঙ্গবন্ধু সেতু সাধারণ জ্ঞান

১. বঙ্গবন্ধু সেতুর স্থায়িত্ব কত বছর ধরা হয়েছে? – ১২০ বছর।

২. বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতু কর্তৃপক্ষের বর্তমান নাম কী? – বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।

৩. বাংলাদেশ ছাড়া অপর কয়টি দেশ বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মানে ব্যয় বহন করেছে? -৩টি।

হুন্দাই $৬৯৬ মিলিয়ন ইউ এস ডলারের বিনিময়ে ১৯৯৪ সালে বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মানের কাজ হাতে নেয়; এতে মোট ব্যয়ভারের $২০০ মিলিয়ন ১% নামেমাত্র সুদে IDA, ADB, OECD বহন করে এবং বাকী $৯৬ মিলিয়ন বাংলাদেশ সরকার বহন করে।

৪. বঙ্গবন্ধু সেতু কোন তারিখে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়? – ২৩ জুন ১৯৯৮ সালে।

৫. বঙ্গবন্ধু সেতুর নির্মাণ কাজ কোন তারিখে শেষ হয়? – ২৩ মার্চ ১৯৯৮।

৬. বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু করে কবে? – ৪ জুলাই ১৯৯৮।

৭. বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে উত্তরাঞ্চলের সাথে ঢাকার সরাসরি ট্রেন সার্ভিস চালু হয় কবে? – ১৪ আগস্ট ২০০৩ সালে।

৮.উদ্বোধনের সময় বঙ্গবন্ধু সেতু দৈর্ঘে্য বিশ্বের কততম সেতু ছিল? – ১১শ তম।

৯. বঙ্গবন্ধু সেতুর দৈর্ঘ্য কত? – ৪.৮ কিলোমিটার ও ১৮.৫ মিটার।

১০.বঙ্গবন্ধু সেতুর নির্মাণ কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় কত তারিখে? – ১৯৯৪ সালের ১৬ অক্টোবর।

প্রশ্ন ৭ঃ যমুনা সেতু কে নির্মাণ করেন?

উত্তরঃ প্রথম ১৯৪৯ সালে যমুনা সেতু রাজনৈতিক পর্যায়ে মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী স্থাপনের উদ্যোগ নেন। কিন্তু সেসময় এই সেতুটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। কাজ শুরু হয় ১৯৯৪ সালের ১৫ অক্টোবর এবং ১৯৯৮ সালের ২৩ জুন যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

প্রশ্ন ৮ঃ যমুনা সেতু কারা তৈরি করেছে?

উত্তরঃ যমুনা বহুমুখী সেতুটি হুন্ডাই হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ দ্বারা ৬৯৬ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত হয়েছিল। কিন্তু পুরো সেতু প্রকল্পে অজ্ঞাত কারণে ব্যয় হয়েছে ১.২৪ বিলিয়ন ডলার। ব্যয়টি IDA, ADB, OECD এবং বাংলাদেশ সরকার ভাগ করেছে।


যমুনা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন কে?
 তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ১০ এপ্রিল, ১৯৯৪ সালে সর্বপ্রথম নদীর দুই তীরে যমুনা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।  ১৯৯৪ সালের ১৫ অক্টোবর এর কাজ শুরু হয় এবং ১৯৯৮ সালের ২৩ জুন যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।

বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু কোন বিভাগে মধ্যে পড়ে?

বঙ্গবন্ধু (যমুনা) বহুমুখী সেতুর পিলার কয়টি?

বঙ্গবন্ধু (যমুনা) বহুমুখী সেতু আনুষ্ঠানিকভাবে ২৩ জুন ১৯৯৮ উদ্বোধন করা হয়। এর দৈর্ঘ্য ৪.৮ কিমি এবং প্রস্থ ১৮.৫ মিটার। সেতুটির পিলার সংখ্যা ৫০ টি এবং স্প্যান সংখ্যা ৪৯ টি।

যমুনা সেতু নির্মানকারী কোম্পানির নাম কি? হুন্দাই

বঙ্গবন্ধু সেতু বিশ্বের কততম দীর্ঘ সেতু? ১২তম

১.বঙ্গবন্ধু সেতুর স্থায়িত্ব কত বছর ধরা হয়েছে? -১২০ বছর।
২.বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতু কর্তৃপক্ষের বর্তমান নাম কী? -বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।
৩.বাংলাদেশ ছাড়া অপর কয়টি দেশ বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মানে ব্যয় বহন করেছে? – ৩টি।
৪.বঙ্গবন্ধু সেতু কোন তারিখে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়? -২৩ জুন ১৯৯৮ সালে।
৫.বঙ্গবন্ধু সেতুর নির্মাণ কাজ কোন তারিখে শেষ হয়? -২৩ মার্চ ১৯৯৮।
৬.বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু করে কবে? -৪ জুলাই ১৯৯৮।
৭.বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে উত্তরাঞ্চলের সাথে ঢাকার সরাসরি ট্রেন সার্ভিস চালু হয় কবে? -১৪ আগস্ট ২০০৩ সালে।
৮.উদ্বোধনের সময় বঙ্গবন্ধু সেতু দৈর্ঘে্য বিশ্বের কততম সেতু ছিল? – ১১শ তম।
৯.বঙ্গবন্ধু সেতুর দৈর্ঘ্য কত? -৪.৮ কিলোমিটার ও ১৮.৫ মিটার।
১০.বঙ্গবন্ধু সেতুর নির্মাণ কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় কত তারিখে? – ১৯৯৪ সালের ১৬ অক্টোবর।

বঙ্গবন্ধু সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান

যমুনা বঙ্গবন্ধু সেতুর কাজ কত সালে শুরু হয়? 

উত্তর: যমুনা সেতুর কাজ শুরু হয় ১৯৯৪ সালে।

যমুনা বঙ্গবন্ধু সেতুর নির্মাণকারী কোম্পানির নাম কি?

উত্তর: যমুনা বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণকারী কোম্পানির নাম হুন্দাই, এটি একটি জাপানি কোম্পানি।

যমুনা সেতু কোন জেলায় অবস্থিত?

উত্তর: এটি  টাঙ্গাইল এবং সিরাজগঞ্জের মধ্যবর্তী যমুনা নদীর উপর নির্মিত।

যমুনা সেতু দক্ষিণ এশিয়ার কততম সেতু?

উত্তর: এটি এশিয়ার ষষ্ঠ দীর্ঘতম সেতু। 

এটি বিশ্বের কততম সেতু ?

উত্তর: এটি বিশ্বের ১২ তম সেতু  টাঙ্গাইলেযমুনা সেতু নির্মাণে কত টাকা খরচ হয়।

বঙ্গবন্ধু সেতুর দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ কত ?

উত্তর: দৈর্ঘ্য ৪.৮ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ১৮.৫ মিটার।

ঢাকা থেকে যমুনা বঙ্গবন্ধু সেতু কত কিলোমিটার?

ঢাকা থেকে যমুনা সেতুর দূরত্ব প্রায় ১১৬ কিলোমিটার

যমুনা সেতু কত সালে উদ্বোধন হয়েছে?

সেতুটি ১৯৯৮ সালে উদ্বোধন করা হয়।

যমুনা সেতু কোন সরকার উদ্বোধন করেন?

তৎকালীন সময়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার এই সেতুটি  উদ্বোধন করেন এবং যমুনা সেতুকে বঙ্গবন্ধু সেতু নামকরণ করেন। 

যমুনা সেতুর পিলারের সংখ্যা কয়টি?

উত্তর: সেতুটির পিলারের সংখ্যা মোট ১২১ টি।

বঙ্গবন্ধু সেতুর স্প্যানের  সংখ্যা কতটি

উত্তর: স্প্যানের সংখ্যা মোট ৪৯ টি ।

যমুনা সেতুর আয়ুষ্কাল কত বছর

উত্তর: যমুনা সেতুর আয়ুষ্কাল ১২০ বছর।

বঙ্গবন্ধু সেতুটি নির্মাণ করতে কত টাকা খরচ হয়েছে?

উত্তর: সেতুটি নির্মাণে মোট খরচ হয়েছিল  ৯৬২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

জেনে নিন বাংলাদেশের যমুনা সেতু সম্পর্কিত কিছু তথ্য:

1. বাংলাদেশের বৃহত্তম সড়ক সেতু কোনটি? বর্তমানে পদ্মা সেতু। (আগে বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু, ৪.৮ কি.মি.)

2. বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন কে কবে? ১০ এপ্রিল, ১৯৯৪ (প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া)।

3. বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতুর উদ্বোধন করেন কে কবে? ২৩ জুন, ১৯৯৮ (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা)।

4. বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতুর নির্মান কাজ শুরু হয়? ১৬ অক্টোবর, ১৯৯৪।

5. বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতুর প্রাক্কলিত নির্মান ব্যয় কত? মোট ৩৭৪৫.৬০ কোটি টাকা (৩ হাজার ৭৪৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা)।

6. বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতুর স্প্যানের সংখ্যা কতটি? ৪৯ টি।

7. বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতুর পিলার সংখ্যা কতটি? ৫০ টি।

8. বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতুর পাইলের সংখ্যা কতটি? ১২১ টি।

9. বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু দৈর্ঘ্যে বিশ্বের কততম?

10. সর্বপ্রথম যমুনা সেতু নির্মাণের দাবী কে উত্থাপন করেন? মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী।

11. যমুনা সেতু নির্মাণে বঙ্গবন্ধু কবে জাপান সরকারের সহায়তা চান? ১৯৭৩

যমুনা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞানঃ

যমুনা  সেতু সম্পর্কে অনেকেই সাধারণ জ্ঞান জানতে চান। নিম্নে যমুনা  সেতু সম্পর্কিত সাধারণ জ্ঞান আলোচনা করা হলো। এখানে যমুনা সেতু সম্পর্কিত সকল প্রশ্ন উত্তর রয়েছে। আপনারা এখান থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু সম্পর্কিত সকল প্রশ্ন এবং উত্তর জানতে পারবেন। তাহলে এবার যমুনা  সেতু সম্পর্কিত সকল প্রশ্নের উত্তর জেনে নিন –

প্রশ্নঃ যমুনা  সেতু কত কিলোমিটার?
উত্তরঃ যমুনা সেতু ৪.৮ কিলোমিটার।

প্রশ্নঃ যমুনা  সেতু কত টাকা খরচ?
উত্তরঃ যমুনা সেতু ৩ হাজার ৭৪৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা খরচ।

প্রশ্নঃ যমুনা সেতুর দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ কত?
উত্তরঃ যমুনা সেতুর দৈর্ঘ্য ৪.৮ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ১৮.৫ মিটার।

প্রশ্নঃ ঢাকা থেকে যমুনা সেতু কত কিলোমিটার?
উত্তরঃ ঢাকা টাঙ্গাইল শহর থেকে যমুনা সেতুর দূরত্ব প্রায় ৩২ কিলোমিটার।

প্রশ্নঃ যমুনা সেতু কোন জেলায় অবস্থিত?
উত্তরঃ টাঙ্গাই জেলার পশ্চিম পাশে এবং সিরাজগঞ্জ জেলার পূর্ব পাশে যমুনা সেতু অবস্থিত।

প্রশ্নঃ যমুনাসেতুর দৈর্ঘ্য কত কিলোমিটার?
উত্তরঃ যমুনা সেতুর দৈর্ঘ্য ৪.৮ কিলোমিটার।

প্রশ্নঃ যমুনা সেতু নির্মাণকারী কোম্পানির নাম কি?
উত্তরঃ যমুনা সেতু নির্মাণকারী কোম্পানির নাম হুন্দাই।

প্রশ্নঃ যমুনা সেতু উদ্বোধন তারিখ?
উত্তরঃ যমুনা  সেতু উদ্বোধন তারিখ হচ্ছে ২৩ জুন।

প্রশ্নঃ যমুনা সেতু কত সালে উদ্বোধন করা হয়েছে?
উত্তরঃ যমুনা সেতু ১৯৯৮ সালে উদ্বোধন করা হয়েছে।

প্রশ্নঃ যমুনা  সেতু কে উদ্বোধন করেন?
উত্তরঃ যমুনা (সেতু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন।

প্রশ্নঃ যমুনা সেতুর পিলার সংখ্যা কয়টি?
উত্তরঃ যমুনা  সেতুর পিলার সংখ্যা ৫০ টি।

প্রশ্নঃ যমুনা  সেতুর পাইল সংখ্যা কয়টি?
উত্তরঃ যমুনা  সেতুর পিলার সংখ্যা ১২১ টি।

প্রশ্নঃ যমুনা  সেতু কোথায় অবস্থিত?
উত্তরঃ টাঙ্গাই জেলার পশ্চিম পাশে এবং সিরাজগঞ্জ জেলার পূর্ব পাশে যমুনা  সেতু অবস্থিত।

প্রশ্নঃ যমুনা সেতু বিশ্বের কততম সেতু?
উত্তরঃ যমুনা নদীর উপর ৪.৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট যমুনা  সেতুটি বিশ্বে ১১তম আর দক্ষিন এশিয়ার ৬ষ্ঠ দীর্ঘতম সেতু।

প্রশ্নঃ যমুনা সেতুর প্রস্থ কত?
উত্তরঃ যমুনা  সেতুর প্রস্থ প্রস্থ ১৮.৫ মিটার।

প্রশ্নঃ যমুনা  সেতু কত সালে স্থাপিত হয়?
উত্তরঃ মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী প্রথম ১৯৪৯ সালে যমুনা সেতু স্থাপনের উদ্যোগ নেন। কিন্তু তখন এটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। ১৯৯৪ সালের ১৫ অক্টোবর এর কাজ শুরু হয় এবং ১৯৯৮ সালের ২৩ জুন যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।

প্রশ্নঃ স্থাপত্য মান অনুযায়ী যমুনা  সেতুর আয়ুষ্কাল কত বছর?
উত্তরঃ স্থাপত্য মান অনুযায়ী যমুনা সেতুর আয়ুষ্কাল ১১০ বছর।

প্রশ্নঃ যমুনা  সেতুর দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ কত কিলোমিটার?
উত্তরঃ যমুনা  সেতুর দৈর্ঘ্য ৪.৮ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ১৮.৫ মিটার।

প্রশ্নঃ যমুনা সেতু কোন সরকারের আমলে?
উত্তরঃ যমুনা সেতু আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে।

প্রশ্ন ১ঃ যমুনা বঙ্গবন্ধু সেতু লম্বা কত?
উত্তরঃ যমনা বঙ্গবন্ধু ‍সেতু লম্বা হলো ৪.৮ কিলোমিটার।

প্রশ্ন ২ঃ যমুনা সেতুর প্রস্থ কত?
উত্তরঃ যমুনা সেতু ১৮.৫ মিটার প্রস্থ্য।

প্রশ্ন ৩ঃ যমুনা সেতু নির্মানে খরচ হয়েছে কত?
উত্তরঃ যমুনা সেতু নির্মানে খরচ হয়েছে ৩ হজার ৭৪৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা।

প্রশ্ন ৫ঃ যমুনা সেতুতে স্প্যান কয়টি?
উত্তরঃ যমুনা সেতুতে স্প্যান ৪৯ টি।

প্রশ্ন ৬ঃ যমুনা সেতুর স্থায়িত্ব কত বছর?
উত্তরঃ ধরা হয়েছে যমুনা সেতুর স্থায়িত্ব ১২০ বছর।

প্রশ্ন ৭ঃ যমুনা সেতু কে নির্মাণ করেন?
উত্তরঃ প্রথম ১৯৪৯ সালে যমুনা সেতু রাজনৈতিক পর্যায়ে মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী স্থাপনের উদ্যোগ নেন। কিন্তু সেসময় এই সেতুটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। কাজ শুরু হয় ১৯৯৪ সালের ১৫ অক্টোবর এবং ১৯৯৮ সালের ২৩ জুন যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

প্রশ্ন ৮ঃ যমুনা সেতু কারা তৈরি করেছে?
উত্তরঃ যমুনা বহুমুখী সেতুটি হুন্ডাই হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ দ্বারা ৬৯৬ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত হয়েছিল। কিন্তু পুরো সেতু প্রকল্পে অজ্ঞাত কারণে ব্যয় হয়েছে ১.২৪ বিলিয়ন ডলার। ব্যয়টি IDA, ADB, OECD এবং বাংলাদেশ সরকার ভাগ করেছে।

এক নজরে যমুনা সেতু বা বঙ্গবন্ধু সেতু:

এক নজরে যমুনা সেতু বা বঙ্গবন্ধু সেতু:
১. যমুনা সেতুর বর্তমান নাম — বঙ্গবন্ধু সেতু।
২. বঙ্গবন্ধু সেতুর প্রধান প্রকৌশলী — ইংল্যান্ডের স্টিভ পোলাড।
৩. বঙ্গবন্ধু সেতুর দৈর্ঘ্য — ৪.৮ কিলোমিটার, প্রস্থ — ১৮.৫ মিটার।
৪. বঙ্গবন্ধু সেতুতে লেনের সংখ্যা — ৪ টি
৫. বঙ্গবন্ধু সেতুতে পাইলের সংখ্যা — ১২১ টি
৬. বঙ্গবন্ধু সেতুতে পিলার সংখ্যা — ৫০ টি
৭. বঙ্গবন্ধু সেতুর স্প্যান সংখ্যা — ৪৯ টি
৮. বঙ্গবন্ধু সেতুর স্থায়িত — ১২০ বছর
৯. বঙ্গবন্ধু সেতুর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান — হুন্দাই ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন দক্ষিণ কোরিয়া
১০. বঙ্গবন্ধু সেতুর দুই প্রান্ত — সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইল জেলায় অবস্থিত
১১. বঙ্গবন্ধু সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয় — ১৬/১০/১৯৯৪ সালে
১২. বঙ্গবন্ধু সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হয় — ২৩/০৩/১৯৯৮ সালে


যমুনা রেল সেতু

যমুনা সেতুর ৩০০ মিটার উজানে বিদেশি কোম্পানির দ্বারা রেল সেতুর কাজ শুরু হয় ২০২১ সালে। টাঙ্গাইল এবং সিরাজগঞ্জের দুই প্রান্ত বরাবর দেশি-বিদেশি ইঞ্জিনিয়ারদের পরিশ্রমে এগিয়ে চলছে রেল সেতু নির্মাণ কাজ। ৪.৮ কিলোমিটার সেতুটি দাঁড়িয়ে থাকবে ৫০ টি পিলারের উপর। বর্তমানে এখন সেতুর পিলারের পাইলিং এর কাজ চলছে। ২০২৪ সালের শেষের দিকে সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার প্রত্যাশা করেছেন রেলমন্ত্রী।

যমুনা রেল সেতু সাধারণ জ্ঞান

প্রশ্ন: যমুনা রেল সেতু কত কিলোমিটার?
উত্তর: যমুনা রেল সেতুর মোট দৈর্ঘ্য ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার, রেল সেতুটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা। বঙ্গবন্ধু সেতুর ৩০০ মিটার উজানে ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা। 

একনজরে বঙ্গবন্ধু রেল সেতু

✍️ বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর উদ্বোধন করেন কে ও কত তারিখে? — যমুনা নদীতে।

✍️ বঙ্গবন্ধু রেল সেতু নির্মিত হবে– যমুনা নদীতে।

✍️ বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর দৈর্ঘ্য হবে — ৪.৮ কিলোমিটার।

✍️ অর্থসহায়তা– জাপান।

✍️ মোট ব্যয় — ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা।

✍️ কাজ শেষ হবে– ২০২৪ সালে।

✍️ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় কবে? – ২৯ নভেম্বর, ২০২০

✍️ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু কতটি দেশের অর্থায়নে নির্মিত? – ২ টি ( জাপান ও বাংলাদেশ)

✍️ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুটিতে একই সাথে কতটি ট্রেন চলাচল করতে পারবে? – ২ টি

✍️বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুটি নির্মিত হচ্ছে কত লেনের? – ডাবল লেনের

✍️বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হবে? ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে

✍️ বর্তমানে সবচেয়ে বড় রেলসেতু কোনটি? – হার্ডিঞ্জ ব্রিজ

✍️ হার্ডিঞ্জ ব্রিজ কোথায় অবস্থিত? – পাবনার পাকশীতে পদ্মার নদীর উপর

✍️ ভবিষ্যৎতে সবচেয়ে বড় রেলসেতু নির্মিত হতে যাচ্ছে কোনটি? – বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু

✍️ কোথায় বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু নির্মিত হবে? – যমুনা নদীর উপর

✍️ বঙ্গবন্ধু রেল সেতু প্রথম স্পেন বসানো হয় কবে? ২০২২ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সেতুর ভূঞাপুর প্রান্তে সেতুর প্রথম স্প্যান বসানো হয়।


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু

  • বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় কবে? – ২৯ নভেম্বর, ২০২০
  • বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু কতটি দেশের অর্থায়নে নির্মিত? – ২ টি ( জাপান ও বাংলাদেশ)
  • বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুটিতে একই সাথে কতটি ট্রেন চলাচল করতে পারবে? – ২ টি
  • বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুটি নির্মিত হচ্ছে কত লেনের? – ডাবল লেনের
  • বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হবে? ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে
  • বর্তমানে সবচেয়ে বড় রেলসেতু কোনটি? – হার্ডিঞ্জ ব্রিজ
  • হার্ডিঞ্জ ব্রিজ কোথায় অবস্থিত? – পাবনার পাকশীতে পদ্মার নদীর উপর
  • ভবিষ্যৎতে সবচেয়ে বড় রেলসেতু নির্মিত হতে যাচ্ছে কোনটি? – বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু
  • কোথায় বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু নির্মিত হবে? – যমুনা নদীর উপর

এতোক্ষণ আপনি, যমুনা সেতু, বঙ্গবন্ধু সেতু এবং যমুনা রেল সেতু সম্পর্কে বিভিন্ন সাধারণ জ্ঞান জানলেন। আশা করি পোস্টটি আপনাদের বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় কাজে আসবে। যমুনা সেতু সম্পর্কে আরও কোনো প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করুন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Table of Contents

Index

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker on our website.