LandMutation

নামজারি করার জন্য কি কি কাগজ লাগে [২০২৫]

জমির নামজারি করতে কী কী কাগজপত্র লাগে? কীভাবে আবেদন করবেন? নামজারি ফি, সময়সীমা, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন।

জমির নামজারি / খারিজ করতে কি কি কাগজপত্র লাগে?

ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি হলে
১. ওয়ারিশ সনদ
২. ওয়ারিশদের NID
৩. ওয়ারিশদের ছবি
৪. জমির বিস্তারিত পরিচয় দিতে হয়। খতিয়ান নম্বর, দাগ নম্বর, জমির পরিমাণ, মৌজা, জেলা উল্লেখ করতে হবে এবং দলিলের স্ক্যান কপি আপলোড করতে হবে

ক্রয়সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি হলে
১. জমির দলিল
২. আবেদনকারীর ছবি, NID
৩.জমির বিস্তারিত পরিচয় দিতে হয়। খতিয়ান নম্বর, দাগ নম্বর, জমির পরিমাণ, মৌজা, জেলা উল্লেখ করতে হবে এবং দলিলের স্ক্যান কপি আপলোড করতে হবে।

নামজারির আবেদন সর্বশেষ জরিপ রেকর্ডের ভিত্তিতেই হবে, সে মতে আপনাকে আপনার এলাকার জন্য এসএ/এমআরএস, আরএস/বিএস, মহানগর, দিয়ারা, সিএস যা প্রযোজ্য জরিপটির পর্চা লাগবে। সম্পূর্ণ খরচ ১১৭০ টাকা

নামজারি করার জন্য কি কি কাগজপত্র লাগে?

জমির মালিকানা পরিবর্তন বা নামজারি (মিউটেশন) করার জন্য নির্দিষ্ট কিছু কাগজপত্র জমা দিতে হয়। নামজারি প্রক্রিয়ায় সঠিক ও সম্পূর্ণ কাগজপত্র জমা দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যাতে প্রক্রিয়াটি দ্রুত ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়। নিচে নামজারি করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের তালিকা দেওয়া হলো।

সকল জমির মালিকের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সকল উপজেলা ভূমি অফিসে ই-নামজারি সেবা চালু করা হয়েছে। এখন খুব সহজে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি আপলোড করে অনলাইনে ই-নামজারি (e-Mutation) বা জমি খারিজের আবেদন করা সম্ভব। চলুন দেখে নেই, ই-নামজারি করার জন্য কি কি কাগজপত্র লাগতে পারে।

  • আবেদনপত্র: সরকারি নির্ধারিত ফরমে সঠিকভাবে পূরণকৃত আবেদনপত্র জমা দিতে হবে। [Mutation Form.pdf]
  • জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি: আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্রের স্পষ্ট ফটোকপি জমা দিতে হবে।
  • পাসপোর্ট সাইজের ছবি: আবেদনকারীর সদ্য তোলা এক কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি প্রয়োজন।
  • মূল দলিলের ফটোকপি: জমির ক্রয়, দান বা উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দলিলের ফটোকপি জমা দিতে হবে।
  • খতিয়ানের কপি: সর্বশেষ প্রকাশিত খতিয়ানের কপি জমা দিতে হবে।
  • ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের রশিদ: সর্বশেষ ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের দাখিলার কপি জমা দিতে হবে।
  • ওয়ারিশ সনদপত্র: উত্তরাধিকার সূত্রে জমি প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ওয়ারিশ সনদপত্র জমা দিতে হবে।
  • আদালতের রায়/আদেশ/ডিক্রির কপি: জমি সংক্রান্ত কোনো মামলা বা বিরোধের ক্ষেত্রে আদালতের রায় বা আদেশের সার্টিফাইড কপি জমা দিতে হবে।
  • কলমি নকশা: জমির সীমানা ও চৌহদ্দি উল্লেখসহ কলমি নকশা জমা দিতে হবে।
  • মনোনীত ব্যক্তির হলফনামা: আবেদনকারীর পক্ষে অন্য কেউ শুনানিতে উপস্থিত থাকলে, তার ছবিসহ হলফনামার কপি জমা দিতে হবে।

উপরোক্ত কাগজপত্র সঠিকভাবে প্রস্তুত করে জমা দিলে নামজারি প্রক্রিয়া দ্রুত ও সহজে সম্পন্ন হবে। অনলাইনে নামজারি আবেদন করতে mutation.land.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদনপত্র পূরণ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করতে পারেন। এতে সময় ও শ্রম দুটোই সাশ্রয় হবে।

নামজারি করতে কি কি কাগজ লাগে?

নামজারি প্রক্রিয়া সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে নিচের ভিডিওটি দেখতে পারেন:

ই-নামজারি (e-Mutation) করার জন্য কি কি কাগজপত্র আপলোড করতে হবে?

১. আবেদনকারীর পাসপোর্ট সাইজের ছবি ১ কপি

২. জাতীয় পরিচয়পত্র/ নাগরিক সনদ/ পাসপোর্ট- এর ফটোকপি

৩. হাল সনের ভূমি উন্নয়ন কর (খাজনা) পরিশোধের দাখিলা

৪. সর্বশেষ মালিকের নামীয় খতিয়ান

৫. দলিল মূলে মালিক হলে – সাব কাবলা/হেবা/বন্টননামা – দলিলের ফটোকপি

৬. ওয়ারিশ মূলে মালিক হলে – ওয়ারিশ সনদ

৭. আদালতের রায়/ ডিক্রি হলে, রায়/ডিক্রির কপি (রেকর্ডীয় মালিকের মাধ্যম ব্যতিত)

উপরোক্ত নথিপত্র অনলাইনে আবেদন করার আগেই স্ক্যান করে নিতে হবে। 

স্ক্যান কপি সংযুক্তি সম্পর্কিত নির্দেশবলী

১। আবেদনের সাথে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের সংযুক্তির ক্ষেত্রে স্ক্যান ফাইলটি অবশ্যই jpg, png অথবা pdf ফরমেটে হতে হবে । অন্য কোন ফরমেটে হলে ফাইলটি আপলোড করা যাবেনা ।

২। স্ক্যান ফাইলটির সাইজ অবশ্যই ২৫ মেগাবাইটের (MB) এর মধ্যে হতে হবে ।

৩। ফাইল সাইজ ২৫ মেগাবাইটের বেশি হলে //www.pdf2go.com/resize-pdf অথাবা //www.sejda.com/compress-pdf অথবা এধরনের যেকোন অনলাইন টুল ব্যবহার করে pdf ফাইল সাইজ অনেক কমিয়ে আনা যায় ।

৪। স্ক্যান ফাইলটি আপলোড হওয়ার পর তা কি ধরনের ফাইল (দলিল/খতিয়ান/ওয়ারিশ সনদ) তা ড্রপডাউন হতে সিলেক্ট করে দিতে হবে । 

শেষ কথা

নামজারি (মিউটেশন) হল জমির মালিকানার বৈধতা নিশ্চিত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। সঠিক কাগজপত্র এবং সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করলে নামজারি সহজেই সম্পন্ন করা সম্ভব। বর্তমানে অনলাইনে নামজারি আবেদন করা যায়, যা সময় ও শ্রম সাশ্রয় করে। তাই দালালের খপ্পরে না পড়ে নিজেই আবেদন করুন এবং নামজারি সম্পন্ন করুন।

সাধারণ প্রশ্ন ও উত্তর (FAQs)

১. নামজারি করতে কত টাকা লাগে?

নামজারির জন্য সরকারি নির্ধারিত ফি হলো, ১১৭০ টাকা। যার মধ্যে কোর্ট ফি ২০ টাকা, নোটিশ জারি ফি ৫০ টাকা, রেকর্ড সংশোধন ফি ১০০০ টাকা, মিউটেশন খতিয়ান ফি ১০০ টাকা। (সাধারণত ফি ১,০০০ – ৩,০০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। যা জমির পরিমাণ ও স্থানভেদে ভিন্ন হতে পারে।)

২. নামজারি করতে কতদিন সময় লাগে?

সাধারণত নামজারি আবেদন অনুমোদনের জন্য ৩০-৪৫ দিন সময় লাগে, তবে এটি নির্ভর করে সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিসের কার্যক্রমের উপর।

৩. কোথায় নামজারি আবেদন করা যায়?

অনলাইনে (mutation.land.gov.bd) বা সংশ্লিষ্ট উপজেলা ভূমি অফিসে সরাসরি আবেদন করা যায়।

৪. অনলাইনে নামজারি করার জন্য কী লাগবে?

অনলাইনে আবেদন করতে হলে জাতীয় পরিচয়পত্র, দলিল, খতিয়ান, ভূমি উন্নয়ন কর রশিদ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে।

৫. ওয়ারিশ নামজারি ও জমি হস্তান্তর নামজারির মধ্যে পার্থক্য কী?

  • ওয়ারিশ নামজারি: উত্তরাধিকার সূত্রে জমির মালিকানা পরিবর্তনের জন্য করা হয়।
  • জমি হস্তান্তর নামজারি: জমি বিক্রয় বা দান করলে নতুন মালিকের নামে করা হয়।

৬. নামজারি না করলে কী সমস্যা হতে পারে?

নামজারি না করলে জমির মালিকানা প্রমাণ করা কঠিন হয় এবং ভবিষ্যতে জমি নিয়ে বিরোধ দেখা দিতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Index
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker on our website.