সকল জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচী ২০২৩

সেহরি ও ইফতার সময়সূচি ২০২৩। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি দেশের সকল জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচী জেনে নিতে পারবেন। এছাড়াও শেষ অংশে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুসারে, ঢাকা জেলার সাথে সকল জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি এবং সময়ের পার্থক্য উল্লেখ করা হয়েছে।
সেহরি ও ইফতার সময়সূচি ২০২৩
বাংলাদেশে পবিত্র রমজান মাস শুরু হয়েছে, আগামী ২৩শে মার্চ ২০২৩ তারিখে, রোজ শনিবার, সন্ধ্যা থেকে এবং রমজান মাস শেষ হবে ২রা মে ২০২২, রোজ সোমবার, সন্ধ্যায়৷ অর্থাৎ, আগামী ৩রা মে ২০২২, রোজ মঙ্গলবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হবে। উল্লেখ্য! আরবী মাস চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল। তাই ঈদুল ফিতর এর তারিখ পরিবর্তিত হতে পারে৷
শবে কদর কবে ২০২৩: রমজানের শেষ দশকের যেকোনো বিজোড় রাতে শবে কদর কদর হতে পারে। তবে ২৬ রমজানের দিবাগত রাতকে অধিকাংশ আলেমগণ লাইলাতুল কদর বলে অভিমত প্রকাশ করেন।
সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৩
ঢাকা ও ঢাকার বাইরের জেলার জন্য, ২০২৩ সালের (১৪৪৪ হিজরি) পবিত্র রমজান মাসের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন। নিচে ২০২৩ সালের মাহে রমাদানের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি সংযুক্ত করা হলো।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: সাহরির শেষ সময় সতর্কতামূলকভাবে সুব্হি সাদিকের ৩ মিনিট পূর্বে ধরা হয়েছে এবং ফজরের ওয়াক্তের শুরু সুব্হি সাদিকের ৩ মিনিট পর রাখা হয়েছে। অতএব, সাহরির সতর্কতামূলক শেষ সময়ের ৬ মিনিট পর ফজরের আযান দিতে হবে। সূর্যাস্তের পর সতর্কতামূলকভাবে ৩ মিনিট বাড়িয়ে ইফতারের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য! দেশের অন্যান্য বিভাগ ও জেলার সাহরী ও ইফতারের সময়সূচি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয় থেকে প্রকাশ করা হবে।

Download: ২০২৩ সালের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি.jpg
Calendar Source: Islamic Foundation Bangladesh.
সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ডাউনলোড 2022
পবিত্র রমজান মাসের সেহরি ও ইফতার সময়সূচি ২০২২ আপলোড করা হয়েছে। এতে করে আপনি খুব সহজেই সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২২ জানতে পারবেন। এছাড়াও, আপনি এখান থেকে রমজান মাসের ক্যালেন্ডার ২০২২ ডাউনলোড করতে পারবেন।
২০২২ সালের পবিত্র রমজান মাসের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ডাউনলোড করতে নিচের লিঙ্কগুলোতে ক্লিক করুন।
সকল জেলার সেহরি ও ইফতার সময়সূচি ২০২৩
ঢাকা জেলার উল্লেখিত সময়সূচির সাথে নিম্নোক্ত জেলাগুলোর সেহরি ও ইফতারের সময় সমন্বয় করে নিতে হবে। আপনি আপনার জেলা অনুযায়ী সময় কমিয়ে বা বাড়িয়ে সমন্বয় করে নিতে পারবেন।
সকল জেলার সেহরি ও ইফতারের জন্য স্থানীয় সময় প্রযোজ্য।

ঢাকার সময় থেকে বাড়াতে হবে
দেখে নিন, আপনার জেলা অনুযায়ী ঢাকা জেলার ইফতার ও সেহরির সময় হতে কত মিনিট বাড়াতে হবে। এই চার্ট ফলো করে আপনি আপনার জেলার সেহরির শেষ সময় ও ইফতারের সময় জানতে পারবেন।
ঢাকা জেলা থেকে সাহরির সময় বাড়াতে হবে
সাহরির সময় বাড়াতে হবে | জেলা |
---|---|
১ মিনিট | মানিকগঞ্জ, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, পঞ্চগড়, নীলফামারী |
২ মিনিট | – ভোলা, শরীয়তপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, জয়পুরহাট, ফরিদপুর, মাদারীপুর, বরিশাল |
৩ মিনিট | নওগাঁ, ঝালকাঠি |
৪ মিনিট | নাটোর, পাবনা, রাজবাড়ী, মাগুরা, পটুয়াখালি, গোপালগঞ্জ |
৫ মিনিট | কুষ্টিয়া, রাজশাহী, পিরোজপুর, বরগুনা, নড়াইল, বাগেরহাট, ঝিনাইদহ |
৬ মিনিট | চাপাইনবাবগঞ্জ, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, খুলনা |
৭ মিনিট | মেহেরপুর |
৮ মিনিট | সাতক্ষীরা |
ঢাকা জেলা থেকে ইফতারের সময় বাড়াতে হবে
ইফতারের সময় বাড়াতে হবে | জেলা |
---|---|
১ মিনিট | গোপালগঞ্জ, বাগেরহাট, ময়মনসিংহ |
২ মিনিট | মানিকগঞ্জ, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, নড়াইল, খুলনা |
৩ মিনিট | শেরপুর, মাগুরা |
৪ মিনিট | সিরাজগঞ্জ, জামালপুর, রাজবাড়ী, যশোর, সাতক্ষীরা |
৫ মিনিট | কুষ্টিয়া, পাবনা, ঝিনাইদহ |
৬ মিনিট | চুয়াডাঙ্গা, গাইবান্ধা, বগুড়া |
৭ মিনিট | নাটোর, মেহেরপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট |
৮ মিনিট | রাজশাহী, নওগাঁ, রংপুর, জয়পুরহাট |
১০ মিনিট | নীলফামারী, দিনাজপুর, চাপাইনবাবগঞ্জ |
১২ মিনিট | পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও |
ঢাকার সময় থেকে কমাতে হবে
এক নজরে দেখে নিন, ঢাকা জেলার ইফতার ও সেহরির সময় হতে যেসব জেলার সেহরি ও ইফতারের সময় কমাতে হবে।
ঢাকা জেলা থেকে সাহরির সময় কমাতে হবে
সাহরির সময় কমাতে হবে | জেলা |
---|---|
১ মিনিট | গাজীপুর, লক্ষীপুর, রংপুর, নোয়াখালী, গাইবান্ধা, কক্সবাজার |
২ মিনিট | শেরপুর, জামালপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, চট্টগ্রাম, নরসিংদী |
৩ মিনিট | কুমিল্লা, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, ফেনী |
৪ মিনিট | বি.বাড়িয়া, রাঙ্গামাটি, বান্দরবন |
৫ মিনিট | নেত্রকোনা, খাগড়াছড়ি |
৬ মিনিট | হবিগঞ্জ |
৭ মিনিট | সুনামগঞ্জ |
৮ মিনিট | মৌলভীবাজার |
৯ মিনিট | সিলেট |
ঢাকা জেলা থেকে ইফতারের সময় কমাতে হবে
ইফতারের সময় কমাতে হবে | জেলা |
---|---|
১ মিনিট | শরীয়তপুর, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, ঝালকাঠি |
২ মিনিট | বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, সুনামগঞ্জ, চাঁদপুর |
৩ মিনিট | বি.বাড়িয়া, লক্ষীপুর, ভোলা, হবিগঞ্জ |
৪ মিনিট | কুমিল্লা, নোয়াখালী, সিলেট, মৌলভীবাজার |
৫ মিনিট | ফেনী |
৮ মিনিট | খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রাম |
৯ মিনিট | রাঙ্গামাটি |
১০ মিনিট | বান্দরবন, কক্সবাজার |
রোযা ভঙ্গ হওয়ার কারণ
- রোযা স্মরণ থাকা অবস্থায় কোন কিছু খাওয়া বা পান করা অথবা স্ত্রী সহবাস করা। এতে কাযা ও কাফফারা (একাধারে দুই মাস রোযা রাখা) ওয়াজিব হয়।
- নাকে বা কানে তেল বা ঔষধ প্রবেশ করানো।
- নস্য ব্য হাঁপানীর জন্য ইনহেলার গ্রহণ করা।
- ইচ্ছাকৃতভাবে মুখ ভরে বমি করা।
- বমি আসার পর তা গিলে ফেলা।
- কুলি করার সময় পানি গলার ভিতরে চলে যাওয়া।
- দাঁতে আটকে থাকা ছোলা বা তার চেয়ে বড় ধরনের খাদ্যকণা গিলে ফেলা।
- মুখে পান রেখে ঘুমিয়ে পড়ে সুবহে সাদিকের পর জাহাত হওয়া।
- ধূমপান করা।
- ইচ্ছাকৃতভাবে আগরবাতি কিংবা অন্য কোন সুগন্ধি দ্রব্যের ধোঁয়া গলধকরণ করা বা নাকের ভিতরে টেনে নেয়া।
- রাত মনে করে সুবহে সাদিকের পর খাওয়া বা পান করা।
- সূর্যাস্তের পূর্বে সূর্য অস্তমিত হয়েছে ভেবে ইফতার করা।
এগুলোতে শুধু কাযা ওয়াজিব হয়, কাফ্ফারা ওয়াজিব হয় না। কিন্তু রোযা ভেঙ্গে যাওয়ার পর দিনের অবশিষ্ট সময় রোযাদারের ন্যায় পানাহার ইত্যাদি থেকে বিরত থাকতে হবে।
যে সব কারণে রোযার কোনো ক্ষতি হয় না
- ভুলক্রমে পানাহার করা।
- আতর-সুগন্ধি ব্যবহার করা বা ফুল ইত্যাদির ঘ্রাণ নেয়া।
- নিজ মুখের থুথু-কফ জমা না করে গিলে ফেলা।
- শরীর বা মাথায় তেল ব্যবহার করা।
- ঠান্ডার জন্য গোসল করা।
- ঘুমে স্বপ্নদোষ হওয়া
- মিসওয়াক করা।
- অনিচ্ছাকৃত বমি হওয়া।
- চোখে ঔষধ বা সুরমা ব্যবহার করা।
- যে কোন ধরনের ইনজেকশন নেয়া।
যাকাত ফিতরার মাসাইল
যদি কোনো সাবালক-সজ্ঞান মুসলমান ঋণ ও মৌলিক প্রয়োজনের অতিরিক্ত সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ অথবা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপা বা সমমূল্যের নগদ টাকা বা ব্যবসায়ী মালের মালিক হয় এবং এ সম্পদের উপর এক বছর অতিক্রম করে, তবে তার উপর এ মালসমূহের এবং বছরের মাঝে এ জাতীয় মালের মালিক হবে সে মালের যাকাত দেয়া ফরয। সম্পূর্ণ মালের চল্লিশ ভাগের এক ভাগ অর্থাৎ শতকরা আড়াই টাকা হারে যাকাত আদায় করতে হয়।
আর যে ব্যক্তি ঈদুল ফিতরের দিনে নিত্য প্রয়োজনাতিরিক্ত ও ক্ষণমুক্ত নেসাব পরিমাণ যে কোন ধরণের সম্পদের মালিক হয়, তার ওপর নিজের পক্ষ থেকে এবং নাবালেগ সন্তানদের পক্ষ থেকে ফিতরা আদায় করা ওয়াজিব। ফিতরার পরিমাণ ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম গম/আটা বা ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম খেজুর/যব/কিসমিস/পনির অথবা যে কোনো একটির মূল্য।