NID

নতুন ভোটার আবেদন করার নিয়ম [২০২৫]

আপনি কি এখনো ভোটার হননি? নতুন ভোটার আবেদন করতে চান? বা আপনি কি নতুন জাতীয় পরিচয় পত্র চান? কিভাবে নতুন ভোটার নিবন্ধন করবেন তা জানতে এই পোস্টটি পড়ুন।

নতুন ভোটার অন্তর্ভূক্ত হতে যা যা প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি লাগবে তার বিস্তারিত তথ্য নিয়ে এই পোস্ট সাজানো হয়েছে। বর্তমানে, নতুন ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত উক্ত কার্যক্রম চলবে। নতুন ভোটার নিবন্ধনের ক্ষেত্রে সঠিক কাগজপত্র যাচাই করে আঙ্গুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ সম্পূর্ন করে প্রতিনিয়ত ডাটা আপলোড করা হয়ে।

Table of Contents

নতুন ভোটার আবেদন

নতুন ভোটার হিসাবে নিবন্ধিত হওয়ার জন্য আবেদনকারীকে, অনলাইনে নিবন্ধন ফরম পূরণ করে নতুন নিবন্ধন অপশনে ক্লিক করে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে আবেদন সম্পূর্ণ করতে হবে। 

এরপরে আবেদনের প্রিন্ট কপি ও সংযুক্ত দলিলাদি নিয়ে নিজ উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ে জমা দিতে হবে এবং স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে তার ছবি, ১০ (দশ) আঙ্গুলের ছাপ, চোখের আইরিশ ও সিগনেচার প্রদান করতে হবে।

নতুন ভোটার নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র অন্তর্ভুক্তি
১. অনলাইনে (services.nidw.gov.bd/nid-pub/register-account) এই লিংক এ নির্ধারিত ”ফরম-২” পুরণ করতঃ সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসার বরাবর আবেদনপত্র দাখিল করতে হবে।
২. সকল কাগজপত্রাদি নিয়ে অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
৩. ছুটির দিন ব্যাতীত প্রতিদিন সকাল ৯ টা হতে ১২ টা পর্যন্ত নতুন ভোটার অন্তর্ভূক্তি ফরম জমা দিতে হবে। 

কারা ভোটার হতে পারবে?

আপনি কি ভোটার হতে পারেননি? কিন্তু জাতীয় পরিচয়পত্রটি আপনার জরুরি দরকার। জেনে নিন কিভাবে ভোটার রেজিষ্ট্রেশনের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করবেন:

যারা জাতীয় পরিচয়পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন:

  • শব্যক্তিকে বাংলাদেশী হতে হবে।
  • ১৮ (আঠারো) বছর বয়স হতে হবে।
  • বাংলাদেশের কোনো কোর্ট অসুস্থ মস্তিষ্ক বা পাগল বলে ঘোষণা করেনি অর্থাৎ উক্ত ব্যক্তিকে সুস্থ মস্তিষ্কের হতে হবে।
  • নির্দিষ্ট কোন ভোটার এলাকায় নিয়মিত বসবাস করেন।

NID কার্ড করতে কি কি লাগে?

নতুন NID কার্ড বা ভোটার হতে চাচ্ছেন ? ভোটার হওয়ার জন্য কি কাগজপত্র প্রয়োজন জানতে চান? তাহলে নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র বা নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার জন্য আপনাকে  উপজেলা নির্বাচন অফিসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা প্রদান সাপেক্ষে ভোটার অন্তর্ভূক্তি করানো হয়। নতুন NID কার্ড করার জন্য যেসমস্ত দলিলাদি প্রয়োজন সেগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো।

নতুন এনআইডি কার্ড করার জন্য প্রথমে আপনাকে অনলাইনে Bangladesh NID Application System ওয়েবসাইটে বা সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে নতুন ভোটার নিবন্ধন ফরম সংগ্রহ করতে হবে। ভোটার নিবন্ধন ফর্মটি নির্ভূলভাবে পূরণ করতে হবে। আপনার জন্মসনদ, শিক্ষাগত সনদ ও অন্যান্য দলিলাদির সাথে মিল রেখে ভোটার নিবন্ধন ফরমটি পূরন করুন। প্রয়োজনীয় কার্যাবলী সম্পূর্ণ করে উপজেলা নির্বাচন অফিসে জমা প্রদান করুন। 

অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম

জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন একটি চলমান প্রক্রিয়া। আপনি বাংলাদেশের নাগরিক কিন্তু এখনও নিবন্ধিত হননি, আপনার বয়স যদি ১৮ বছর বা বেশি হয়ে থাকে কিন্তু এখনও ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হননি? তাহলে Online এ (services.nidw.gov.bd/nid-pub/register-account ) নতুন ভোটার আবেদন ফরম পূরণ করুন।

নতুন ভোটার নিবন্ধন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
নতুন ভোটার নিবন্ধন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

ভোটার আবেদন ফরম পূরণ করে আপনার সিডিউল মোতাবেক সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করে বায়োমেট্রিক প্রদান করুন। বায়োমেট্রিক প্রদানের সময় আপনার কিছু সংযুক্ত কাগজ পত্র প্রয়োজন হবে, যা নিন্মরুপ-

  • অনলাইনে পূরণকৃত ফর্মের প্রিন্ট কপি। [নিবন্ধন ফরম (ফরম-২)]
  • অনলাইন জন্ম সনদ (অনলাইন জন্ম সনদ এর সত্যায়িত কপি অথবা জন্ম সনদ যাচাই কপি।)
  • নাগরিকত্ব সনদ
  • পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি
  • স্বামী/স্ত্রীর জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি (বিবাহিত পুরুষ/মহিলার ক্ষেত্রে)
  • বিবাহিত মহিলার ক্ষেত্রে নিকাহনামা।
  • চৌকিদারি কর রশিদ/ পৌরকর রশিদ
  • বিদ্যুৎ বিল/গ্যাস বিল/পানি এর বিলের কপি। (যেকোনো ইউটিলিটি বিলের কপি/বাড়ী ভাড়ার রশিদ/হোল্ডিং ট্যাক্স রশিদ। মানে আপনি ঐ এলাকায় সচরাচর বসবাস করেন এরুপ যেকোনো প্রমাণ।)
  • শিক্ষাগত যোগ্যতা সনদ (পিএসসি/জেএসসি/এসএসসি সনদ)।
  • রক্তের গ্রুপ রিপোর্ট। (রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট)
  • প্রবাসী ভোটারদের ক্ষেত্রে পাসপোর্টের কপি এবং সর্বশেষ ভিসার কপি সংযুক্ত করতে হবে। (প্রবাসীদের ক্ষেত্রে)
  • ড্রাইভিং লাইসেন্স / টি.আই.এন (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
  • অঙ্গীকার নামা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) [ডাউনলোড]

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ এবং শিক্ষা সনদের মধ্যে মিল থাকতে হবে।

নতুন ভোটার নিবন্ধনের অঙ্গীকার নামা
নতুন ভোটার নিবন্ধনের অঙ্গীকার নামা

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ অনলাইনে আবেদনদকৃত ফরম-২ অফসেট A4 কাগজে প্রিন্ট করে উপজেলা নির্বাচন অফিসে জমা দিতে হবে।

নতুন ভোটার হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

  • ১। অনলাইন জন্ম সনদ বাংলা ও ইংরেজি
  • ২। সকল শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ (যদি থাকে)
  • ৩। পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র
  • ৪। স্বামী/স্ত্রীর জাতীয় পরিচয়পত্র/জন্ম সনদ (বিবাহিতদের ক্ষেত্রে)
  • ৫।  নাগরিকত্ব সনদ
  • ৬। বিদ্যুৎ বিল
  • ৭। চৌকিদারী ট্যাক্সের সনদ
  • ৯। পূর্বে কখনো ভোটার হন নি এই মর্মে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের প্রত্যয়ন
  • ১০। সরকারি হাসপাতাল প্রদত্ত রক্তের গ্রুপ পরীক্ষার সনদ।

বিশেষ দ্রষ্টব্য

services.nidw.gov.bd সাইটে গিয়ে, নতুন ভোটার হওয়ার জন্য নিবন্ধন করতে হয়। এজন্য এই লিংকে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে, সঠিকভাবে সকল ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে নতুন ভোটার হওয়ার ফরম পূরণ করবেন। এরপর পূরণকৃত ফরম ডাউনলোড করে প্রিন্ট করবেন

এই ফরমে আবেদনকারীকে অবশ্যই স্বাক্ষর প্রদান করতে হবে। একই সাথে ফরমের ৩৪ ও ৩৫নং ক্রমিকে শনাক্তকারী হিসেবে পিতা/মাতা/স্বামীর আইডি ও স্বাক্ষর এবং ৪০,৪১,৪২নং ক্রমিকে অবশ্যই যাচাইকারী হিসেবে কাউন্সিলর/মেম্বারের নাম, আইডি নম্বর, স্বাক্ষর ও সীল দিতে হবে। ফরমে আগে কেন ভোটার হতে পারেনি তার কারণ ক্রমিক ৩২ এ বাদ পড়ার কারণে লিখতে হবে।

*** ৩৪ নং ক্রমিকে শনাক্তকারী হিসেবে পিতা/মাতা/ভাই/বোন (বিবাহিত নারীর ক্ষেত্রে স্বামী/শ্বশুর/শ্বাশুড়ীর যে কোনো একজনের এনআইডি নম্বর এবং ৩৫ নং ক্রমিকে স্বাক্ষর দিতে হবে।

*** ৪০ নং ক্রমিকে যাচাইকারী হিসেবে সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলর/মেম্বারের নাম ৪১ নং ক্রমিকে এনআইডি নম্বর এবং ৪২ নং ক্রমিকে স্বাক্ষর ও সিল দিতে হবে।

এরপর, নতুন ভোটার নিবন্ধনের সময় আপনার দেওয়া নাম্বারে SMS যাবে। SMS পাওয়ার পর অফিসে এসে বায়োমেট্রিক আপডেট করতে হবে।

অফিসে আবেদন জমা দেওয়ার পর ভোটারের ছবি তোলার মেসেজ যাওয়ার তারিখে উপস্থিত হতে না পারলে আবেদনটি পরবর্তীতে কোনো কারণ ছাড়া বাতিল করা হবে। তাই সঠিক সময়ে অফিসে উপস্থিত হয়ে ভোটারের ছবি তুলতে হবে। বিষয়টি অতীব জরুরী।

নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে?
নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে?

নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে?

  • ** অনলাইন জন্ম সনদ।
  • ** পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি।
  • ** পৌরসভা/ইউনিয়ন মেয়র/চেয়ারম্যান কর্তৃক নাগরিকত্ব/জাতীয়তা সনদপত্র।
  • ** পৌরসভা/ইউনিয়ন মেয়র/চেয়ারম্যান কর্তৃক নতুন ভোটার হওয়ার প্রত্যয়নপত্র( আবেদনকারীর বিস্তারিত তথ্য সহ)।
  • ** স্বামী/স্ত্রী’র জাতীয় পরিচয়পত্রকপি/কাবিন নামা(বিবাহিত হলে)।
  • ** বিদ্যুৎ বিল কপি যার বিদ্যুৎ বিল কপি দিবেন তার জাতীয় পরিচয়পত্র কপি।
  • ** বাড়ির কর রশিদ কপি।
  • ** রক্তের গ্রুপ পরিক্ষার প্রতিবেদন।
  • ** পাসপোর্ট কপি, ড্রাইভিং লাইসেন্স কপি, শিক্ষাগত সনদ কপি(যদি থাকে)
  • ** অঙ্গিকারনামা অত্র গ্রাম ও ইউনিয়নের বাসিন্দা এবং প্রথমবার ভোটার হয়েছে মর্মে।
  • ** প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অফিস কর্তৃক চাহিত কাগজপত্রাদি দিতে হবে।

অফিসে আবেদন জমা দেওয়ার পর ভোটারের ছবি তোলার মেসেজ যাওয়ার তারিখে উপস্থিত হতে না পারলে আবেদনটি পরবর্তীতে কোনো কারণ ছাড়া বাতিল করা হবে। তাই সঠিক সময়ে অফিসে উপস্থিত হয়ে ভোটারের ছবি তুলতে হবে। বিষয়টি অতীব জরুরী।

নতুন ভোটার নিবন্ধন

আপনি বাংলাদেশী নাগরিক এবং বয়স ১৮ হলে নতুন ভোটার নিবন্ধন করতে পারবেন। সেজন্য এই নিচের ধাপগুলো ফলো করুন।

০১। প্রথমত services.nidw.gov.bd লিংক হতে নতুন ভোটার নিবন্ধন এর জন্য ফরম ০২ নির্ভূলভাবে পূরণ করতে হবে।

0২। পূরণকৃত ফরম প্রিন্ট আউট করার পর নিবন্ধন ফরমের ৩৪ নং ক্রমিকে শনাক্তকারীর এনআইডি নং লিখতে হবে এবং ৩৫ নং ক্রমিকে শনাক্তকারী স্বাক্ষর করবেন। (শনাক্তকারী হবেন পিতা/মাতা/ভাই/বোন/নিকট আত্বীয়)

০৩। নিবন্ধন ফরমের ৪০, ৪১ ও ৪২  নং ক্রমিকে যাচাই কারী হিসেবে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার/কাউন্সিলর/চেয়ারম্যান/মেয়র যথাক্রমে নাম এনআইডি নং ও সীল সহ স্বাক্ষর প্রদান করবেন।

০৪। নিবন্ধন ফরমের সাথে আবেদনকারীর অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ (যদি থাকে), পিতা, মাতা ও স্বামীর এনআইডি (বিবাহিত মেয়েদের জন্য), কাবিননামা ((বিবাহিত মেয়েদের জন্য) এর সত্যায়িত ফটোকপি সংযুক্ত করতে হবে।

০৫। নাগরিকত্ব সনদ, চেয়ারম্যান/মেয়র/কাউন্সিলর কর্তৃক প্রত্যয়ন পত্র, পৌরকর/ইউপি করের রশিদব্লাডটেস্টের রিপোর্ট এর কপি সংযুক্ত করতে হবে।

এনআইডি (NID) করতে যা যা লাগবে

ভোটার হওয়ার নতুন নিয়ম 

বাংলাদেশের সকল নাগরিকদের জন্য পরিচয় সনদ হচ্ছে ভোটার কার্ড যাকে জাতীয় পরিচয় পত্র বা সংক্ষেপে এনআইডি বলা হয়। দেশের ভিতর এটি পরিচয় প্রমাণের প্রধান মাধ্যম। আঠার বছর পূর্ণ হলে ভোটার আইডি করা সবার জন্য বাধ্যতা মূলক করা হয়েছে আইনে। তাই নিজেকে ভোটারে অন্তর্ভুক্ত করা আবশ্যক কর্তব্য। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন এ কার্ড প্রদানসহ যাবতীয় কাজ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। নতুন ভোটার কিভাবে হবেন কিংবা ভোটার হতে কি কি লাগে বা NID পেতে প্রক্রিয়া কি তা নিয়ে আজকের পোস্টটি সাজানো হয়েছে। 

নতুন ভোটার হওয়ার জন্য কি কি কাগজপত্র লাগে?

নতুন ভোটার হওয়ার জন্য নির্বাচন অফিসে যে সকল কাগজপত্র জমা দিতে হয় তা নিচে দেওয়া হলো-

  • জন্ম সনদের ফটোকপি
  • পিতা মাতার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি
  • চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রত্যায়ন পত্র
  • শিক্ষিত হলে এসএসসি সনদসহ শিক্ষাগত সনদের সত্যায়িত ফটোকপি
  • রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করা হলে তার ফটোকপি
  • বিদ্যুৎ বিল (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
  • জমির কাগজ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) 
  • ভোটার হয় নাই মর্মে অঙ্গিকার নামা
  • বাড়ির টেক্স পরিশোধিত রশিদের ফটোকপি
  • বিবাহিত হলে স্বামী/স্ত্রী জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি ও বিবাহিত সনদ পত্রের ফটোকপি
  • নাগরিক সনদ 

ভোটার হওয়া প্রক্রিয়া

যে কোন সময় অনলাইনে ভোটার নিবন্ধনের আবেদন করতে পারবেন। নিজেকে ভোটার নিবন্ধন করার জন্য অনলাইনে আবেদন করার পর আবেদন কপি প্রিন্ট করে নিন।

অনলাইনে আবেদন কারার পরবর্তী কার্যক্রম হল: 

আবেদন করার পর, ফরম ও অন্যান্য কাগজগুলো আপনার উপজেলার নির্বাচন অফিসে নিয়ে জমা দিতে হবে। তারপর, উপজেলা নির্বাচন অফিসের নির্দেশনা মোতাবেক পরবর্তী কার্যক্রম সম্পাদন করতে হবে।


প্রবাসী নাগরিকের ভোটার নিবন্ধন হতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি

প্রবাসী নাগরিকের নতুন ভোটার নিবন্ধন
প্রবাসী নাগরিকের নতুন ভোটার নিবন্ধন

নতুন ভোটার হতে যা লাগবে

  •  ১. বয়স ১৮ বৎসর হতে হবে (বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ঘোষিত জন্ম তারিখ অনুযায়ী)।
  •  ২. অনলাইন জন্মসনদ।
  •  ৩. পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।
  •  ৪. স্বামী/স্ত্রীর জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি (বিবাহিতদের ক্ষেত্রে)।
  •  ৫. পাসপোর্টের ফটোকপি (প্রবাসী/পাসপোর্টধারীদের ক্ষেত্রে)।
  •  ৬. চৌকিদারী/হোল্ডিং ট্যাক্স/বাড়িভাড়া রশিদ।
  •  ৭. ইউটিলিটি (বিদ্যুৎ/গ্যাস/পানি ইত্যাদি) বিলের ফটোকপি (যদি থাকে)।
  •  ৮. অঙ্গীকারনামা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।
  •  ৯. ইউনিয়ন/পৌরসভা কর্তৃক প্রদত্ত নাগরিকত্ত্ব সনদ।
  • ১০. সার্ভিস বহি/পেনশন বহির ফটোকপি (সরকারি চাকুরিজীবীদের ক্ষেত্রে)।

ভোটার স্থানান্তর হতে যা লাগবে

  • 1. ভোটার স্থানান্তর আবেদন ফরম (ফরম-১৩) পূরন করতে হবে।
  • 2. অনলাইন চেয়ারম্যান সনদ।
  • 3. পৌর মেয়র / চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রত্যয়নপত্র।
  • 4. চৌকিদারি রশিদ/বাড়ী ভাড়া/ হোল্ডিং ট্যাক্সের রশিদ।
  • 5. ইউটিলিটি (বিদ্যুৎ/গ্যাস/পানি ইত্যাদি) বিলের ফটোকপি (যদি থাকে)।
  • 6. চৌকিদারী/হোল্ডিং ট্যাক্স/বাড়িভাড়া রশিদ।
  • 7. আবেদনকারীর পরিবারের যে কোন একজনের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি (আবেদনকারী যে এলাকায় ভোটার স্থানান্তর হতে ইচ্ছুক অবশ্যই সে এলাকার হতে হবে।
  • 8. আবেদন ফরম (ফরম-১৩) এ সনাক্তকারী সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের পুরষ/মহিলা মেম্বার/কাউন্সিলর হতে হবে (নির্ধারিত স্থানে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, ঠিকানা, সাক্ষর ও সীল অবশ্যই থাকতে হবে।
  • 9. আবেদনকারী স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে আবেদন জমা দিতে হবে।

মৃত ভোটারের নাম কর্তন

  • ১. ভোটার কর্তণ ফরম (ফরম-১২) পূরণ করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য / সংরক্ষিত মহিলা সদস্য কর্তক স্বাক্ষরিত হতে হবে।
  • ২. অনলাইন মৃত্যু সনদ (স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ/পৌরসভা হতে ইস্যুকৃত)।
  • ৩. তথ্য প্রদানকারীর আইডি কার্ডের ফটোকপি (অবশ্যই মৃত ব্যক্তির পরিবারের সদস্য হতে হবে।
  • ৪. মৃত ব্যক্তির আইডি কার্ডের ফটোকপি (যদি থাকে) / ভোটার নম্বর।

জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য উপাত্ত সংশোধন

  • ১. শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ (শিক্ষাবোর্ড/ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রদত্ত)।
  • ২. পাসপোর্ট (অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধনের পূর্বে হতে হবে)।
  • ৩. অনলাইন জন্ম সনদ।
  • ৪. হলফনামা (প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক প্রদত্ত)।
  • ৫. সার্ভিসবুক/এমপিও/সংশ্লিষ্ট দলিলাদির ফটোকপি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্তৃক সত্যায়িত (চাকুরিজীবীগণের ক্ষেত্রে)।
  • ৬. অফিস স্মারকে প্রত্যয়ন। [চাকুরিজীবীগণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্তৃক প্রত্যয়ন। পেনশনদারীদের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক/হিসাব রক্ষণ অফিসার কর্তক। অবশ্যই প্রত্যয়ন প্রদানকারীর মোবাইল নম্বর উল্লেখ থাকতে হবে।]
  • ৭. পেনশন বহির ফটোকপি (পেনশনদারীদের ক্ষেত্রে)
  • ৮. পিতা/মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।
  • ৯.নাগরিকত্ব সনদ/ইউটিলিটি বিল (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।
  • ১০.কাবিননামা / বিবাহ সনদ (স্বামী/স্ত্রীর নাম অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রে)।
  • ১১.তালাকনামা (স্বামী/স্ত্রীর নাম কর্তন করার ক্ষেত্রে)।
  • ১২.ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন (অপ্রাপ্ত বয়সে জাতীয় পরিচয়পত্র করেছিল এমন ক্ষেত্রে)।
  • ১৩.স্বাক্ষরশীট / স্বাক্ষরের প্রামানিক দলিল (স্বাক্ষর পরিবর্তনের ক্ষেত্রে)।
  • ১৪.ট্রেজারী চালান/ব্যাংক ড্রাফট/পে-অর্ডার/মোবাইল ব্যাকিং এর মাধ্যমে ফি প্রদানের প্রমানপত্র।

বিঃ দ্রঃ চাহিত সংশোধনীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য দলিল দাখিল করতে হবে।

হারানো জাতীয় পরিচয়পত্র উত্তোলন

  • ১. পূরণকৃত হারানো আবেদন ফরম (ফরম-৬)।
  • ২. সাধারণ ডায়েরী (জিডি) এর মূল কপি (সাধারণ ডায়েরীতে অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর/ভোটার নম্বর থাকতে হবে)।
  • ৩. ট্রেজারী চালান/ব্যাংক ড্রাফট/পে-অর্ডার/মোবাইল ব্যাকিং এর মাধ্যমে ফি প্রদানের প্রমানপত্র।
  • ৪. অনলাইন জন্মসনদ (যদি থাকে)।
  • ৫. পিতা/মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি (যদি থাকে)।
  • ৬. স্বামী/স্ত্রীর জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি (যদি থাকে)।
  • ৭. আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি/ভোটার তালিকার ফটোকপি (যদি থাকে)।

নষ্ট/স্থানান্তরিত জাতীয় পরিচয়পত্র উত্তোলনঃ

  • ১.পূরণকৃত হারানো আবেদন ফরম (ফরম-৬)।
  • ২.আবেদনকারীর মূল জাতীয় পরিচয়পত্র।
  • ৩.ট্রেজারী চালান/ব্যাংক ড্রাফট/পে-অর্ডার/মোবাইল ব্যাকিং এর মাধ্যমে ফি প্রদানের প্রমানপত্র।
  • ৪.অনলাইন জন্মসনদ (যদি থাকে)।

শেষ কথা

নতুন ভোটার আবেদন করার এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আপনি সহজেই ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করতে পারবেন এবং দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। নিয়মিত এই তথ্যগুলো আপডেট করা হয়, তাই সর্বশেষ তথ্যের জন্য নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল সাইট বা হেল্পলাইন থেকে যাচাই করে নিন।

আপনার ভোটার নিবন্ধন সফল হোক, দেশের উন্নয়নে আপনার অংশগ্রহণ হোক!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Table of Contents

Index
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker on our website.